এক সময় মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে রাতের আকাশে দেখা বস্তুর প্রকৃতি সম্পর্কে ভেবেছে। বিংশ শতাব্দীতে রকেটের বিকাশ এবং ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, যন্ত্র, প্রাণী এবং তারপর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে মানুষকে মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। তবে প্রযুক্তি এই অর্জনগুলিকে সম্ভব করার অনেক আগেই, মহাকাশ অনুসন্ধান ইতিমধ্যেই অনেক মানুষের মন কেড়ে নিয়েছিল। কিন্ত থেমে নেই মহাকাশ অনুসন্ধান। তারই ধারাবাহিকতায় এবার, এক জোড়া যমজ বাদামি বামন তারাকে প্রদক্ষিণ করা বিরল এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন খোঁজ পাওয়া এই গ্রহের নাম ২এম১৫১০(এবি)বি। ভিন্ন ধরনের গ্রহটি যমজ বাদামি বামন নক্ষত্রের চারপাশে ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রদক্ষিণ করছে। নতুন এই গ্রহের খোঁজ মহাবিশ্বে গ্রহ কীভাবে তৈরি হয় ও কক্ষপথে আবর্তন করে, তার সম্পর্কে দীর্ঘদিনের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। গ্রহটি যে যমজ বামন তারার চারপাশে ঘুরছে, সেগুলো বাইনারি হিসেবে পরিচিত। এসব তারা একে অপরকে এমনভাবে প্রদক্ষিণ করছে, যা পৃথিবী থেকে মনে হয় একে অপরের সামনে দিয়ে যাচ্ছে। গ্রহটির কক্ষপথ তার নক্ষত্রের কক্ষপথের সমান লম্বা। এই বিরল গ্রহটিই প্রথম গ্রহ, যা একটি মেরু কক্ষপথ অনুসরণ করছে।এই দুটি বাদামি বামনের ওজন প্রায় সমান। প্রতিটির ওজন সূর্যের ভরের মাত্র ৩ শতাংশ। কক্ষপথে আবর্তন করতে প্রায় ২১ দিন সময় নেয়। এই জোড়া বামন আরেকটি তৃতীয় বাদামি বামন থেকে প্রায় ২৫০ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিট দূরে অবস্থিত। দুটি বাদামি বামন তারার নাম ২এমএসএস জে১৫১০৪৭৮৬-২৮১৮১৭৪। ২০১৮ সালে বামন তারাগুলো আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তিন বামনের উপস্থিতির জন্য পুরো অবস্থা সেখানে বেশ জটিল। সিস্টেমটি আরগাস মুভিং গ্রুপের অন্তর্গত, প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ বছর পুরোনো তরুণ নক্ষত্রের একটি কাঠামো। বাদামি বামন সিস্টেম বিজ্ঞানীদের নতুন বস্তুর বিবর্তনের মডেল পরীক্ষা করতে অনেক তথ্য দিচ্ছে।আমরা লক্ষ করেছি যে দুটি বাদামি বামনের কক্ষপথ একে অপরের চারপাশে সূক্ষ্মভাবে প্রভাবিত করছে। সাধারণত গ্রহ তাদের হোস্ট নক্ষত্রের মতো প্রায় একই সমতলে প্রদক্ষিণ করে। ১৬টি পরিচিত সার্কামবাইনারি ধরনের গ্রহের বেশির ভাগই দুটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। অন্যদিকে নতুন গ্রহটি তারার কক্ষপথ খাঁড়াভাবে প্রদক্ষিণ করছে। বললেন বিজ্ঞানী ললিতা সাইরাম।সূত্র: দ্য ব্রাইটার সাইড ভোরের আকাশ/এসআই
২ দিন আগে
অলিম্পিয়াডের আদলে জাতীয় পর্যায়ে আগামী ১০মে থেকে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ। রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন ক্যাটগরিতে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা।এসময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী মোশতাক জহির তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যুথবদ্ধ মেলবন্ধনের ও গুরুত্বারোপ করেন।বুধবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন ভি-টিউটরের কো-ফাউন্ডার ও চিফ লার্নিং অফিসার কাজী শামীম।তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হবে এ প্রতিযোগিতা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস প্রফেশনালস, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩০০ জন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে গ্রুমিং শেসন। এজন্য ইউটিউবে মাইক্রসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন টিউটোরিয়াল। প্রতিযোগিতার কাঠামো অনুযায়ী, বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ তিনজনকে “চ্যাম্পিয়ন” হিসেবে নির্বাচিত করা হবে। সেখান থেকে জাতীয় পর্যায়ের জন্য বাছাই করা হবে শীর্ষ ১০ জনকে। জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবেন মাইক্রোসফট সার্টিফিকেশন অর্জনের সুযোগ।এ ছাড়া এলএস (লং লিস্টেড) প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে সেরা ৩ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ‘গালা রাউন্ড’, যার আগে আয়োজন করা হবে একটি বিশেষ গ্রুমিং সেশন। গালা রাউন্ডের বিজয়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রতিযোগিতার মোট পুরস্কার মূল্য যুক্তরাষ্ট্র সফরসহ ২০ লক্ষ টাকা। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম স্থানের জন্য ৮,০০০ ডলার, দ্বিতীয় স্থান ৪,০০০ ডলার এবং তৃতীয় স্থান ২,০০০ ডলার পাবেন।ব্যক্তিগত ইমেইল ও ফোন নম্বর দিয়ে ক্যারিয়ার গঠনের ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ভি-টিউটরের ওয়েবে নিবন্ধন করে বাংলাদেশের ১৩ থেকে ২২ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকলেও নিবন্ধন ফি হিসেবে দিতে হবে ৩০০ টাকা। দ্বিতীয় রাউন্ড চলবে ২১ মে পর্যন্ত। জাতীয় রাউন্ড হবে ২৩ মে এবং ২৪ মে গালা রাউন্ড।এই উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতায় পারদর্শী ও আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা। এসময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী মোশতাক জহির তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যুথবদ্ধ মেলবন্ধনের ও গুরুত্বারোপ করেন|অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেদোয়ান হক বলেন, ৩৭তম বিসিএসে এত বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ হয়েছিল যে তা ব্রুনাইয়ের জনসংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রবণতা আমাদের জনশক্তিকে অকার্যকর করে তুলছে। আমাদের নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, বদলাতে হবে চিন্তাধারা।ভি-টিউটরের কো-ফাউন্ডার কাজী শামীম বলেন,বাংলাদেশের তরুণদের আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই, যেখানে তারা আন্তর্জাতিক মানের দক্ষতা ও সার্টিফিকেশন অর্জন করে বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এমওএস চ্যাম্পিয়নশিপ শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি সচেতনতামূলক আন্দোলন।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ (এমডিপি) অধ্যাপক ড. রিদওয়ানুল হক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদ ওয়াসিফ রেজা এবং আয়োজনের প্রধান স্পন্সর মেঘনা গ্রুপ অফ ইনডাস্ট্রিজ-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার কাজী মো: মহিউদ্দিন ও হসপিটালিটি পার্টনার রেডিসন ব্লুর সেলস ও মার্কেটিং পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম। ভোরের আকাশ/এসআই
৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে চীন সরকারের অনুমতির ওপর। চীন যদি রাজি হয় তবে একটি নতুন মার্কিন মালিকানাধীন কোম্পানি টিকটক পরিচালনা করবে। ১৯ জুনের মধ্যে চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটির মার্কিন অংশ বিক্রি না হলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে জনপ্রিয় এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি আবারও সময়সীমা বাড়াতে পারেন।যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মার্কিন কংগ্রেস ২০২৪ সালের শুরুতে একটি আইন পাস করে, যেখানে বলা হয়—চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা বিক্রি করতে হবে। সময়সীমা না মানলে অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে। তবে ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে এপ্রিল পর্যন্ত সময় বাড়ান এবং পরে তা ১৯ জুন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেন। এবার আবারও সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন তিনি। প্রয়োজনে তিনি আবারও সময়সীমা বাড়াতে পারেন।আমেরিকান সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া রোববার (৪ মে) প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, আমি চাই এই চুক্তিটা হয়ে যাক। আমার হৃদয়ে টিকটকের জন্য একটু মিষ্টি জায়গা রয়েছে। টিকটকের জন্য আমার হৃদয়ে একটু উষ্ণ জায়গাও রয়েছে। কারণ আপনারা জানেন, তরুণদের মধ্যে ৩৬ পয়েন্ট ব্যবধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছি আমি। সেটা অনেক বড় ব্যাপার। টিকটক একটি আকর্ষণীয় অ্যাপ, তরুণদের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমরা চাই এটি নিরাপদ থাকুক। আমি চাই চুক্তিটা সম্পন্ন হোক।ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই এক নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার মধ্যে ৭৫ দিনের জন্য টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয় এবং চার এপ্রিল আরও ৭৫ দিনের জন্য এই সময়কাল বাড়িয়েছেন ট্রাম্প।এদিকে, ট্রাম্পের নতুন রাজস্ব নীতির জবাবে চীন বলেছে, চীনের ওপর ওই নীতি প্রয়োগ করলে টিকটক বিক্রির অনুমোদন মিলবে না।রয়টার্স লিখেছে, টিকটকের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে চীন সরকারের অনুমতির ওপর। চীন যদি রাজি হয় তবে একটি নতুন মার্কিন মালিকানাধীন কোম্পানি টিকটক পরিচালনা করবে। যদি না হয় তবে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাপটি।তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান শুল্কবিষয়ক উত্তেজনা নিয়ে। ট্রাম্পের নেতৃত্বে চীনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করার পর বেইজিং টিকটক চুক্তিতে সম্মতি দিতে গড়িমসি করছে। এতে করে পুরো বিষয়টি আটকে গেছে।টিকটকের মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়ে একটি মার্কিন মালিকানাধীন কোম্পানি গঠনের পরিকল্পনা চললেও এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। ডেমোক্রেটিক সিনেটররা বলছেন, ট্রাম্পের এই সময়সীমা বাড়ানোর কোনও আইনি অধিকার নেই এবং পূর্ববর্তী চুক্তির খসড়াও আইনগত শর্ত পূরণ করেনি।তবে বাইটড্যান্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আলোচনা এখনো চলছে এবং সমঝোতা সম্ভব, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্কবিষয়ক বিরোধ নিরসন হয়।টিকটকের ভবিষ্যৎ এখনো ঝুলে আছে একটি চুক্তির দড়িতে। ট্রাম্প সময়সীমা বাড়ালেও রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের কারণে চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এ অবস্থায় মার্কিন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় অ্যাপটির ভবিষ্যৎ কি হবে, তা জানতে তাকিয়ে থাকতে হবে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত। ভোরের আকাশ/এসআই
৬ দিন আগে
পৃথিবী ও পৃথিবীর বাইরে তথা মহাকাশে শক্তি উৎপাদন করছে সূর্যের আলো ও তাপকে কাজে লাগিয়ে। থেমে নেই বিজ্ঞানীরা। সৌর প্যানেলের সক্ষমতা বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। ‘যুগান্তকারী’ পোর্টেবল সোলার বা সৌর প্যানেল তৈরি করছেন গবেষকরা, এরই ধারাবাহিকতায় প্রচলিত সিলিকন-ভিত্তিক উপকরণের বদলে টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি শক্তিশালী সৌর প্যানেল তৈরি করেছেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রচলিত সৌর প্যানেলে সিলিকন-ভিত্তিক উপকরণ ব্যবহার করা হলেও নতুন প্যানেলের ফটোভোলটাইক কোষে টাইটানিয়াম ও সেলেনিয়ামের স্তর রয়েছে। টাইটানিয়াম ও সেলেনিয়ামের স্তরযুক্ত এই সৌর প্যানেল সাধারণ সৌর প্যানেলের চেয়ে প্রায় এক হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। নতুন এই সৌর প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সূর্যের আলো থেকে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। সোলার এনার্জি ম্যাটেরিলস অ্যান্ড সোলার সেলস নামের একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। টাইটানিয়াম সাধারণভাবে শক্তিশালী ও ক্ষয় প্রতিরোধী ধাতু। বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যে টাইটানিয়ামের ব্যবহার করা হলেও এই ধাতুর নিষ্কাশন প্রক্রিয়া বেশ ব্যয়বহুল।টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা টাইটানিয়ামের নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার খরচ কমানোর কৌশলও আবিষ্কার করেছেন। এর ফলে ভবিষ্যতে টাইটানিয়াম ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যও তৈরি করা সম্ভব হবে।আকরিক থেকে অক্সিজেন অপসারণে অনেক ব্যয় হয় বলে টাইটানিয়াম ধাতু উৎপাদন কম করা হয়। আমরা বিরল-পৃথিবী ধাতুর ওপর ভিত্তি করে একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করছি যা টাইটানিয়াম থেকে নতুন উপায়ে অক্সিজেন অপসারণ করে। আরেকটি বিরল উপাদান ইট্রিয়াম ব্যবহার করে টাইটানিয়াম নিষ্কাশন করা হচ্ছে। গলিত টাইটানিয়ামকে ইট্রিয়াম ধাতুর সঙ্গে মিশিয়ে একটি কম খরচ অক্সিজেনমুক্ত টাইটানিয়াম খাদ তৈরি করা হয়েছে। এই টাইটানিয়ামের তৈরি সৌর প্যানেল অন্য সব সৌর প্যানেলের চেয়ে শক্তিশালী। এতে নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে বেশ পরিবর্তন আসবে জানান বিজ্ঞানী তোরু এইচ ওকাবে। সূত্র: আর্থ ডটকম ভোরের আকাশ/এসআই
১ সপ্তাহ আগে