ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৫ ০৪:৫০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এমন যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা হয়েছে অসংখ্য বার। কিন্তু রাস্তা থেকে দূর হয়নি ফিটনেসবিহীন গাড়ি। আবারও ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। রোববার (১৫ জুন) টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও ঈদুল আজহার ঈদযাত্রা খুব খারাপ হয়নি। ঈদের আগে ছুটি ছিল দুদিন। সময় কম থাকায় সড়কে চাপ ছিল। যাওয়ার সময় যানজটটা বেশি হয়েছে। রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও খুব খারাপ যাত্রা হয়নি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়াতে রাস্তায় কিছু সমস্যা হয়েছে। তবে খুব বেশি নয়।
তিনি বলেন, যারা বেশি ভাড়া আদায় করেছে, তাদের কাছ থেকে ভাড়া সেই টাকা নিয়ে যাত্রীদের দেওয়া হয়েছে। ট্রেন অনটাইমে ছিল। কমলাপুর রেল স্টেশনেও খুশি ছিল সবাই বলে জানান সড়ক উপদেষ্টা।
এদিকে, এখনও লক্কড়-ঝক্কড় পরিবহনের দখলে রাজধানীর সড়ক। সরকার ছয় মাস সময় বেঁধে দিলেও আসেনি ইতিবাচক পরিবর্তন। এর জন্য মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে দায়ী করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ।
ঢাকার রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়, কালো ধোঁয়ায় সড়ক অন্ধকার করে ছুটে চলছে বহু বাস। অনেকগুলোরই সিগনাল লাইট নষ্ট, ভাঙা গ্লাস আর চাকার অবস্থাও নাজুক। মরিচায় আচ্ছাদিত জোড়াতালি দেয়া বডিও খসে পড়ার উপক্রম। এমন লক্কড়-ঝক্কড় পরিবহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজধানীর প্রতিটি সড়কে। অথচ রাজধানীতে চলতি মাস থেকে গণপরিবহনের এমন চিত্র আর দেখার কথা ছিল না।
গেল বছরের অক্টোবরে ৬ মাস সময় বেঁধে দিয়ে ফিটনেসবিহীন এসব যানবাহন বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। বাস্তবতা হলো, সরকারি ঘোষণা তোয়াক্কা না করেই সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন। সেবার মানেও কোনো পরিবর্তন না আসার অভিযোগ যাত্রীদের।
যাত্রীরা বলছেন, বেশির ভাগই বাসেরই গ্রাস ভাঙা থাকে। বৃষ্টির কারণে বসা যায় না। এছাড়া ফ্যানগুলোও নষ্ট থাকে। গরমে খুব অস্থির লাগে।
এদিকে কোনোরকম জোড়াতালি আর নামমাত্র রঙ দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছন বাস মালিকদের কেউ কেউ।
ওয়ার্কশপে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, দৃশ্যত পরিবর্তন হলেও কার্যত কোনো সমাধান হয় না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ