ডিসিদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ১২ নির্দেশনা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়া এবং হয়রানিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিতসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিসিদের।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) পাঠানো চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার এমন নির্দেশনা ডিসিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জমির নামজারি বা রেজিস্ট্রেশন জনগণের সব সেবাই হয়রানি এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে হতে হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজ করতে হবে। মন দিতে হবে ঠিকঠাক দায়িত্বপালনে, পরিহার করতে হবে সরকারের সবধরণের স্তুতি বাক্য। পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
এছাড়া দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখাসহ জমি রেজিস্ট্রেশন, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা দেওয়া হয় দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আইন পুরোপুরি মেনে চলার। যেখানে সব রকমের ভয়ভীতি, তদবির ও স্তুতিবাক্য পরিহারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ডিসিদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সরকারের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।সোমবার (৩১ মার্চ) ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপে এই শুভেচ্ছা জানান তিনি।আলাপকালে এই দুই নেতা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসবেন এবং তাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল থাকবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানান শেহবাজ শরিফ।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ ছাড়া, তিনি বাংলাদেশি একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এই দলে প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লাও অন্তর্ভুক্ত।শেহবাজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক খুবই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
সবার প্রতি ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আহত হয়ে যারা স্বাভাবিক জীবন হারিয়েছে তাদের জন্য দোয়া করব। তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য গড়ে হবে। আমরা যেন স্থায়ী একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য কাজ করতে হবে। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে নিজেদের আত্মাহুতি দিয়েছেন আমরা অবশ্যই তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।এর আগে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত শুরু হয়। ঈদের এ জামাতে আরও অংশগ্রহণ করেন- প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লিরা।জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতের দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম। এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়।এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ আতাউর রহমান।নামাজের আগে ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নসীহত করে বয়ান করেন। তিনি বলেন, রোজাদারদের জন্য ঈদ আল্লাহর উপহার। এটি আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আমরা পবিত্রতা ও তাকওয়ার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করছি।তিনি আরও বলেন, আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করার জন্য রমজান মাস দিয়েছেন। তিনি আমাদের জন্য রহমতের দরজা খোলা রেখেছেন। রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সারাবছর জীবন পরিচালনা করতে হবে।অন্যদিকে, অন্যবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম জামাত সকাল ৭টায় এবং এর এক ঘণ্টা পর পর আরও তিনটি জামাত এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।ঈদ জামাত ঘিরে বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশ গেটগুলোতে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। দক্ষিণ গেটে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে। এ গেটে দুটি আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়েন। ঈদের এ জামাতে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ডিসিদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ১২ নির্দেশনা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়া এবং হয়রানিমুক্ত নাগরিক সেবা নিশ্চিতসহ ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিসিদের।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) পাঠানো চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার এমন নির্দেশনা ডিসিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে- জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট বা জমির নামজারি বা রেজিস্ট্রেশন জনগণের সব সেবাই হয়রানি এবং দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে হতে হবে। এক্ষেত্রে সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজ করতে হবে। মন দিতে হবে ঠিকঠাক দায়িত্বপালনে, পরিহার করতে হবে সরকারের সবধরণের স্তুতি বাক্য। পুলিশি তদন্ত ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
এছাড়া দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখাসহ জমি রেজিস্ট্রেশন, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করারও তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা দেওয়া হয় দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আইন পুরোপুরি মেনে চলার। যেখানে সব রকমের ভয়ভীতি, তদবির ও স্তুতিবাক্য পরিহারে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ডিসিদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম সরকারের নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।সোমবার (৩১ মার্চ) ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপে এই শুভেচ্ছা জানান তিনি।আলাপকালে এই দুই নেতা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসবেন এবং তাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল থাকবে, এমন প্রত্যাশার কথা জানান শেহবাজ শরিফ।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ ছাড়া, তিনি বাংলাদেশি একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এই দলে প্রখ্যাত গায়িকা রুনা লায়লাও অন্তর্ভুক্ত।শেহবাজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক খুবই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে যাচ্ছে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
সবার প্রতি ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, আহত হয়ে যারা স্বাভাবিক জীবন হারিয়েছে তাদের জন্য দোয়া করব। তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য গড়ে হবে। আমরা যেন স্থায়ী একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য কাজ করতে হবে। যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে নিজেদের আত্মাহুতি দিয়েছেন আমরা অবশ্যই তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। যত বাধাই আসুক ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।এর আগে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত ঈদের নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত শুরু হয়। ঈদের এ জামাতে আরও অংশগ্রহণ করেন- প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লিরা।জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতের দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম। এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়।এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ আতাউর রহমান।নামাজের আগে ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নসীহত করে বয়ান করেন। তিনি বলেন, রোজাদারদের জন্য ঈদ আল্লাহর উপহার। এটি আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আমরা পবিত্রতা ও তাকওয়ার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করছি।তিনি আরও বলেন, আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করার জন্য রমজান মাস দিয়েছেন। তিনি আমাদের জন্য রহমতের দরজা খোলা রেখেছেন। রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সারাবছর জীবন পরিচালনা করতে হবে।অন্যদিকে, অন্যবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যার মধ্যে প্রথম জামাত সকাল ৭টায় এবং এর এক ঘণ্টা পর পর আরও তিনটি জামাত এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।ঈদ জামাত ঘিরে বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশ গেটগুলোতে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। দক্ষিণ গেটে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর দেখা গেছে। এ গেটে দুটি আর্চওয়ে দিয়ে মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেখা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়েন। ঈদের এ জামাতে প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন