ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ মে’র মধ্যে যে কোনো সময় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোন স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, এবার একই সপ্তাহে দুটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) সকাল এক ফেসবুক পোস্টে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পোস্টে তিনি লেখেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিলাম ১১ই মে (প্রথম পূর্বাভাস) ও ১৪ মে (দ্বিতীয় পূর্বাভাস)। ২য় পূর্বাভাসে উল্লেখ করেছিলাম যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি মে মাসের ২৬ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর নাম দেওয়া হবে শক্তি।
তিনি আরও লিখেছেন, একই সপ্তাহে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা আছে। আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ও বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি পরে সৃষ্টি হতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক অফিসের প্রস্তুত করা নামের লিস্টের পরবর্তী দুইটি নাম হলো ‘শক্তি’ ও ‘মন্থা’। ফলে, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে যে সাগরে ২০২৫ সালের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবে তার নাম হবে শক্তি ও দ্বিতীয়টির নাম হবে মন্থা।
মোস্তফা কামাল পলাশ আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে সেটি কোন উপকূলে আঘাত হানবে এবং এর শক্তি কেমন হবে তা নির্ভর করছে আরব সাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে তার ওপরে।
বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে তার দুয়েকদিন আগেই যদি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি শেষ হয়ে যায় তবে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কিছুদিনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।আইন উপদেষ্টা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই আগামী নির্বাচনের ঘোষণা আসবে। সবাই ভোট দিতে পারবে।তিনি বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়েও ভয়াবহ তথ্য রয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনটি অনেক ভালো নির্বাচন হবে।ড. আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। বিশেষ করে আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন।হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সরকার কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মামলাসহ প্রায় ১৬ হাজার মামলা এরইমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও সাধারণ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছে। এ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম পরবর্তী সরকার এসে অবশ্যই ধরে রাখবে।ভোরের আকাশ/জাআ
নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে, একদিনও দেরি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।শফিকুল আলম বলেন, একটা বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন ইলেকশন (নির্বাচন) দেরি হবে না। ইলেকশন প্রফেসর ইউনূস যে সময় বলেছেন, তার থেকে একটা দিনও দেরি হবে না।তিনি বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) প্রথমে বলেছিলেন এপ্রিলের প্রথমে। তারপর আমরা লন্ডনে বলেছি যদি অনেকগুলো সংস্কার হয়... কাজগুলো এগিয়ে যায় সেক্ষেত্রে এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে। আমরা সেই জায়গায় এখনো আছি। এটা একটা দিনও দেরি হবে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ওমানে অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীদের সুখবর দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।তিনি লিখেছেন, অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য বড় সুখবর দিয়েছে ওমান সরকার। অবৈধ প্রবাসীদের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা আরও পাঁচ মাস বাড়ানো হয়েছে।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইনি অবস্থান সংশোধনের সুযোগ চলতি বছরের ৩১ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়েছে।ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ওমানে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীদের বৈধকরণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে কেউ নিজ থেকে বৈধকরনের জন্য যোগযোগ করলে জরিমানাও দিতে হবে না। যাদের বৈধ কাগজ নেই, তাদের এ সুযোগ গ্রহণ করার অনুরোধ করছি। প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।ওমানের শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনসাধারণের অনুরোধ ও উপকারভোগীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়ার স্বার্থে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে আরো অধিকসংখ্যক প্রবাসী ও নিয়োগকর্তা শ্রম আইনের আওতায় বৈধতা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ হওয়া খালি বাসা ১০ দিনের মধ্যে ‘দখল’ নিতে হবে। এ নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, সিনিয়র, সচিব, বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।ঢাকা শহরে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বাসা-বাড়ি কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়।বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী বাসা খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বাসার দখল গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অনেক সময় বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কিছু বরাদ্দগ্রহীতা বাসা খালি থাকা সত্ত্বেও বাসার দখলভার গ্রহণ করেন না।এতে বাসাটি দীর্ঘদিন খালি থাকার কারণে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বাসার দখল ধরে রাখার কারণে অন্য কর্মচারীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।এমতাবস্থায় বরাদ্দপত্রের শর্ত মোতাবেক বাসাটি খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে দখলভার গ্রহণ করতে বলা হলো। দখলভার গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তা দ্রুততার সঙ্গে আবাসন পরিদপ্তরকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ