বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৪ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
দেশের স্বাস্থ্য খাত ও জনগনের স্বাস্থ্য সেবা ঘিরে আবারও ভয়ানক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ভুল তথ্য সরবরাহ করে সরকারকে বিভ্রান্ত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ ব্যাহত করে নিজেদের অনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে চক্রটি। সুযোগ সন্ধানী এই চক্রটি এমন অবৈধ কাজে কিছু সাংবাদিককেও ব্যবহার করছে। আর চক্রটির সঙ্গে স্বার্থকেন্দ্রিক সমঝোতায় লিপ্ত ওই সকল সাংবাদিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উদ্ভট, মনগড়া ও মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছেন। এমনই অপতথ্য সরবরাহের শিকার হয়েছে জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি খ্যাতনামা যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং যন্ত্রপাতি গ্রাহকদের বক্তব্যে জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানীর সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতির গুণগত মান শতভাগ বজায় থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।
জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানির সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতিসমূহ নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. মাহমুদুর রহমান। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটির সরবরাহকৃত বিভিন্ন মেডিকেল যন্ত্রপাতি দেশের অনেক হাসপাতালে সচল রয়েছে। এখন পর্যন্ত যন্ত্রপাতিসমূহের ব্যাপারে অধিদপ্তরে কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি এবং সরবরাহকৃত মানসম্পন্ন প্রতিয়মান হয়েছে।’
দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে আড়াল করতেই মনগড়া প্রতিবেদন: অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটকে আড়াল করতেই স্বনামধন্য জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানির বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর শামিল।
উল্লেখ্য, গত সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘লুটপাটেই যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম’-শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানিকে জড়িয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে- ‘জেনেসিস একটি প্যাকেজে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনস্ত বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ কোটি ২১ লাখ টাকার যন্ত্র সরবরাহ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে’।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে বক্তব্যে জানা গেছে, নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ ও বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
দরপত্রে যেভাবে কাজ পেল জেনেসিস: প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা এর জন্য ২০২৩ সালের ৭ জুন একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। ইজিপি পদ্ধতিতে এই দরপত্র আহ্বান করা হয়। ১১টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেয়। দরপত্র ওপেনিং কমিটির প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ১১টি দরদাতার মধ্যে এক্সিবায়ো হেল্থ কোং সর্বনিম্ন দরদাতা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের দর দেওয়া হয় এক কোটি ৮৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হয় জেনেসিস ট্রেডিং কোং। এই প্রতিষ্ঠানের দর দুই কোটি ৭ লাখ ৪৩১২ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মেসার্স আরপি এন্টারপ্রাইজের দর দুই কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ২০০ টাকা। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেসার্স ওশ্যান এন্টারপ্রাইজের দর দুই কোটি ৩৪ লাখ ৫৮ হাজার। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেসের দর দুই কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে মেসার্স এশিয়া ট্রেডিং-এর দর দুই কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা। সপ্তম অবস্থানে রয়েছে ওএমসি হেলথকেয়ার (প্রা.) লিমিটেডের দর দুই কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অষ্টম অবস্থানে রয়েছে এমপেক্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের দর দুই কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। নবম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউজের দর দুই কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দশম অবস্থানে রয়েছে জেনেটিক ট্রেডিং-এর দর দুই কোটি ৯২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। একাদশ অবস্থানে রয়েছে মেডিট্রেড করপোরেশনের দর তিন কোটি ৪৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। কিন্তু দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা হয়ে কাজ পেয়েছে জেনেসিস ট্রেডিং কোং।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখা যায়-প্রথম সর্বনিম্ন দরদাতা এক্সিবায়ো হেল্থ কোম্পানির দাখিল করা কাগজপত্র ত্রুটিপূর্ণ। এ কারণে দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা হলেও দরপত্রের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ‘নন-রেস্পনসিভ’ ঘোষণা করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। ফলে দরপত্র তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জেনেসিস ট্রেডিং কোং সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে পরিগণিত হয়। আর এ কারণেই কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন শেষে জেনেসিস ট্রেডিং কোং-কে কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব দেয় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। ঐ দরপত্রে দুটি আইটেমে মেডিকেল যন্ত্রপাতি চাওয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যাদেশ পাওয়ার পর এই কোম্পানিটি ৭৪টি অটোমেটেড সেল কাউন্টার সরবরাহ করে; যা ইউরোপ ব্র্যান্ডের।
এছাড়া ২০টি ইসিজি মেশিন সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি; যা ইউএসএফডিএ সনদ প্রাপ্ত পণ্য, যা সবদিক থেকেই গুণগত মানসম্পন্ন। ফলে দরপত্র অনুযায়ী সব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনোও অনিয়ম, দুর্নীতি বা স্বজনপ্রীতি হয়নি।
অথচ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানি একটি প্যাকেজে দুই কোটি ২১ লাখ টাকার যন্ত্র সরবরাহ করে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ দাম বেশি নিলেও সরবরাহ করেছে নিম্নমানের সরঞ্জাম।
হাসপাতালের ব্যবহারকারী যা বলছেন: দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেনেসিস ট্রেডিং কোং. হতে সরবরাহকৃত মেডিকেল যন্ত্রপাতি গুনগতভাবে মানসম্পন্ন এবং কার্যকর।
এ ব্যাপারে চাদঁপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাবরেটরি ইনচার্জ খোরসেদ আলম ভোরের আকাশকে জানান, সরবরাহকৃত এইচ-৩৬০, সিবিসি মেশিনটি খুবই কার্যকর এবং মানসম্পন্ন, যা দ্বারা রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় সম্ভব হচ্ছে।
এ মেশিনের গুনগতমান ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন-গ্রাহকরা (রোগী) সন্তষ্ট এবং ডাক্তারাও তাতে সন্তষ্ট।
চট্রগ্রামের মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাবরেটরি ইনচার্জ আব্দুল মান্নান বলেন, সরবরাহকৃত এইচ-৩৬০, সিবিসি মেশিনটি ভালো সার্ভিস দিচ্ছে এবং কোন সমস্যা হয়নি। রোগীদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ল্যাবরেটরি ইনচার্জ রইস উদ্দীন বলেন, সরবরাহকৃত এইচ-৩৬০, সিবিসি মেশিনটি ঠিক আছে, ভালো এবং রোগীদের চিকিৎসা সেবায় যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আরো কয়েকটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেনেসিস ট্রেডিং কোং কর্তৃক মেশিনগুলো ভালো সার্ভিস দিচ্ছে, রোগীরাও ভালো সেবা পাচ্ছেন।
অপ্রচারের নেপথ্যে কী: জানা গেছে, কার্যাদেশ পাওয়ার পর জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এই যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। সরবরাহকৃত প্রতিটি হাসপাতালেই উক্ত যন্ত্রপাতিগুলো ভালোভাবেই কার্যকর রয়েছে। অর্থাৎ, এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয়ের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করছেন। অথচ, জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানির সরবরাহ করা পণ্যগুলোকে নিম্নমানের হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ডাহা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। এ ধরনের প্রতিবেদন স্বাস্থ্য খাতের সংশ্লিষ্টদেরও বিভ্রান্ত করতে পারে এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হতে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাতকে অস্থিতিশীল করতে একটি সিন্ডিকেট মাঠে নেমেছে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই চক্রটি বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চক্রটি ‘ঘোলা জলে মাছ শিকার’ করতে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও অপপ্রচার চালাচ্ছে।
জেনেসিস কর্তৃপক্ষ যা বলছেন: জেনেসিস ট্রেডিং কোং কর্তৃক সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতির গুণগত মান শতভাগ বজায় থাকার বিষয়টি দৃঢ়তার সঙ্গে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
জেনেসিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সততা, স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহের কাজ করে আসছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ আরো জানায় যে, ঢাকার সকল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতালসহ দেশের প্রায় সব জেলা-উপজেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যথাযথভাবে উন্নত ও মানসম্পন্ন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য তাদের রয়েছে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ কারিগরি টিম।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে কম মূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন উন্নত ব্র্যান্ডের মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং গ্রাহকদের আফটার সেলস সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। সকল সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে উত্তম সেবামূলক কাজের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন এবং দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়োজিত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানী কর্তৃপক্ষ দেশে-বিদেশে বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে প্রতিষ্ঠানটির মেডিকেল যন্ত্রপাতির গুণগত মান নিশ্চিত না করে কোনো আমদানি ও গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করে না। যন্ত্রপাতির গুণগত মান নিশ্চিত করার পরই রোগীদের সেবায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়। এ ব্যাপারে দেশের স্বাস্থ্য খাতে গ্রাহকদের প্রতিষ্ঠানটির বেশ সুনাম রয়েছে।
জানা গেছে, জেনেসিস ট্রেডিং কোং, হতে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ), মহাখালী, ঢাকা’র মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহকৃত মানসম্পন্ন এইচ-৩৬০, সিবিসি, এনালাইজার ব্র্যান্ড ইরবা এবং ইসিজি ব্র্যান্ড ইডান মেশিনগুলো শুধু এসব প্রতিষ্ঠানেই নয়, স্বনামধন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত ব্র্যান্ডের শত শত মেশিন সরবরাহ করছে। যা নিরবিচ্ছিন্নভাবে রোগীদের সেবায় এবং রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে আন্তরিকভাবে এ খাতের সকল দুষ্টচক্র’কে দমন করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটনের উদ্যোগ নিতে হবে। যা জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য জরুরী।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
