দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে মিলিয়ে স্বচ্ছ ব্যবসায়ীর চরিত্র হনন
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১৬ পিএম
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য খাতে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে একটি অসাধু সিন্ডিকেট। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য সরবরাহ করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অশুভ চক্রের মূল উদ্দেশ্য সৎ, স্বচ্ছ ও সততার সঙ্গে ব্যবসা করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যাতে উন্নতমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে না পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুযোগসন্ধানী এই চক্রটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে কিছু সাংবাদিককে সংবাদ প্রকাশে উৎসাহিত করছে। আর ওই সাংবাদিকরাও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উদ্ভট ও মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছেন। এমনই অপ্রচারের শিকার হয়েছেন স্বাস্থ্য খাতের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী জাহের উদ্দীন সরকার ও তার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি।
সোমবার একটি দৈনিকে ‘লুটপাটেই যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ম’-শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে জাহের উদ্দীন সরকারকে জড়িয়ে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে- ‘মিঠুর বন্ধু জাহের উদ্দীন সরকার বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি নামে স্বাস্থ্য ব্যবসা করেন। করোনাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি কালো তালিকাভুক্ত করে অধিদপ্তর। কিন্তু ধূর্ত জাহের ব্যবসা ঠিক রাখতে জেনেসিস ট্রেডিং কোম্পানি, মার্কেন্টাইল ট্রেড, ইউনিভার্সেল ট্রেড ও এসপি ট্রেডিং হাউস নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন। এর মধ্যে জেনেসিস একটি প্যাকেজে ২ কোটি ২১ লাখ টাকার যন্ত্র সরবরাহ করে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ দাম বেশি নিলেও সরবরাহ করেছে নিম্নমানের সরঞ্জাম। ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে এসপি ট্রেডিং হাউস ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার কাজ করেছে। সম্প্রতি দুদক ভুয়া বিলের মাধ্যমে প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ যে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে, সেখানে জাহেরও রয়েছেন।’
মিঠু-জাহের সরকার বন্ধুত্ব : প্রতিবেদনের উল্লিখিত মিঠুর সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহের উদ্দীন সরকার বলেন যে, ‘মিঠু কখনও আমার বন্ধু ছিল না বা তার সাথে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক নাই। আমি সব সময় সততা এবং ন্যায়ের সাথে কাজ করেছি। কখনো অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় দেইনি। আমি নানা অনিয়মে সমালোচিত ওই ঠিকাদারের সাথে কখনো কোথাও কোনো কাজ করিনি। আমি স্বাস্থ্য খাতে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অনেকে দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনেন এবং জানেন। আমার প্রতিপক্ষের সাথে আমার কাজের সখ্যতা ছিল এ ধরনের কোনো প্রমাণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যক্তি দিতে পারবে না বা দেখাতে পারবে না। স্বাস্থ্য খাতে অনেক দুষ্টচক্র কাজ করে, সেটা সবাই জানে। কিন্তু আমি সব সময় সততার সাথে স্বাস্থ্য খাতে একাই কাজ করেছি। বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার প্রতিপক্ষরা দুর্নীতি ও লুটপাটের মহাচক্র তৈরি করে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক হয়রানি ও ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বন্ধুত্ব হয় সম মন-মানসিকতা ও সমনৈতিকতার ভিত্তিতে। আমার ব্যবসায়িক কাজের উদ্দেশ্য হলো জনগণের সেবা প্রদান করা আর অন্যদের উদ্দেশ্য হলো অনিয়মের মাধ্যমে লুটপাট করে নিজের আখের গোছানো। সুতরাং লুটপাটকারীদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের প্রশ্নই উঠে না।’
করোনাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ : করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতে কাজের বিষয়ে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয় দাবি করে জাহের উদ্দীন সরকার বলেন, ‘আমি করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবার কোনো প্রতিষ্ঠানে করোনা চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহের কোনো কাজই করিনি। করোনাকালে আমার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষ ও স্বাস্থ্য খাতের দুষ্টচক্র এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে অবৈধ পন্থায় করোনা রোগীর জন্য বহুগুণ উচ্চমূল্যে নিম্নমানের করোনা চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছে বা সরবরাহ না করেই অনেকে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছে; যা নিয়ে তখন দেশের সকল গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।কিন্তু আমি সমন্বিত দুষ্টচক্রের এসব অপতৎপরতা ও অসৎ কর্মকাণ্ড বুঝতে পেরে বিবেকের তাড়নায় করোনাকালে কোনো সরঞ্জামাদি সরবরাহের কোথাও কোনো কাজ করিনি।’
কালোতালিকাভুক্তির অভিযোগ : ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে স্বাস্থ্য খাতের দুষ্টচক্রের ষড়যন্ত্রের কারণে মিথ্যা অভিযোগ এনে তার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল জানিয়ে জাহের সরকার বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট কালোতালিকাভুক্তির ওই সিদ্ধান্ত বেআইনি গণ্য করে তা স্থগিত করেছেন। ফলে এখন আর বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালোতালিকাভুক্ত বলার আইনগত কোনো সুযোগ নেই।’
করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগে সরবরাহকৃত মেডিকেল যন্ত্রপাতির শুধুমাত্র আফটার সেলস সার্ভিস (বিক্রয় পরবর্তী সেবা) প্রদান করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন. ‘করোনাকালীন রোগীদের যাতে কোনোক্রমেই চিকিৎসাসেবা ব্যাহত না হয়- সেজন্যই ওই সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছিলাম। যেমন- করোনাকালে জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালটি (মহাখালী) করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় অসামান্য অবদান রেখেছে এবং বর্তমানেও রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয় করে আধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করে সুনাম অর্জন করেছে। রোগীদের চিকিৎসাসেবায় এ অসামান্য অবদান আমার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পূর্বের সরবরাহকৃত মেডিকেল যন্ত্রপাতির মাধ্যমেই হয়েছে। বর্তমানেও জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে আমার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পূর্বের সরবরাহকৃত মেডিকেল যন্ত্রপাতির মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। সুতরাং কারোনাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগে আমার প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত করে অধিদপ্তর-মর্মে প্রকাশিত প্রতিবেদন; সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকাশিত এ মিথ্যা সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভুয়া বিল নিয়ে মামলা : এ বিষয়ে জাহের সরকার বলেন, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃক সকল ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে PACS মেশিন সরবরাহের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে কার্যাদেশ ও চুক্তি মোতাবেক স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী PACS মেশিনটির সকল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। সরবরাহকৃত মেশিনগুলো সার্ভে কমিটি সার্ভে সম্পন্ন করার পর মালামাল গ্রহণ করে। মালামালগুলো স্টোর কিপারের স্টক লেজারে লিপিবদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে মেশিনগুলো হাসপাতালের ৫টি বিভাগে স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে অদ্যাবধি PACS মেশিনটি রোগীদের চিকিৎসা সেবায় চলমান। অথচ PACS নামক মেশিন সরবরাহ না করেই ভুয়া বিল দাখিল করে সরকারের ৬ কোটি ৬ লাখ ৯৯ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে জাহের সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানকালে অনুসন্ধানে সহযোগিতার জন্য দুদকের পক্ষ থেকে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। সে মোতাবেক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দুদকের তদন্ত টিম কার্যাদেশ অনুযায়ী সরবরাহ করা যন্ত্রপাতি দেখতে পায়। সে সময় সরেজমিনে দুদকের তদন্ত টিমকে PACS মেশিনটিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি কার্যাদেশ মোতাবেক একটি একটি করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা অভিযোগের বিষয়ে শুনানির জন্য ডাকলে আমরা শুনানিতে উপস্থিত হই। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা শুনানি গ্রহণের সময় চুক্তিপত্র ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী PACS মেশিন সরবরাহ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র বুঝে নেন এবং লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। কিন্তু সরেজমিনে তদন্তকালে তদন্ত কমিটি এবং অভিযোগের বিষয়ে শুনানির সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চুক্তিপত্র ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী PACS মেশিনটি সরবরাহ করা হয়নি বা বুঝে পায়নি- এমনটি কখনও মৌখিকভাবে বলেনি কিংবা লিখিতভাবেও অবহিত করেননি। এরপরও সুকৌশলে সত্য ঘটনাকে গোপন করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন, যা আমাদের জন্য ন্যায়বিচার পরিপন্থী। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি- ‘এই মুহূর্তে নিরপেক্ষ দুদক টিম এবং সম্মানিত গণমাধ্যম কর্মীরা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে গেলে PACS মেশিনটি দেখতে পাবেন যার মাধ্যমে আমরা যে ষড়যন্ত্রের শিকার তার প্রকৃত সত্যতা উদ্ঘাটিত হবে।’
কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা : কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে প্রকাশিত শুধুমাত্র বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি ব্যতীত আর কোনো প্রতিষ্ঠানই তার মালিকানাধীন নয়। অতএব, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির পাশাপাশি অন্য আরও যে সকল প্রতিষ্ঠান তার মালিকাধীন ও বিভিন্ন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে জাহের উদ্দীন সরকার বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিপক্ষের চক্রান্ত ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (স্মারক নং-৪৮৩৫৯/১, তারিখ : ১২/১২/২০১৯) নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন (স্মারক নং-৪১৯, তারিখ : ১৬/০১/২০২০) কর্তৃক আমার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানিকে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়। স্বাস্থ্য খাতের ‘সিন্ডিকেট ও দুষ্টচক্র’ ব্যাপক লুটপাট করার সুযোগ নেওয়ার জন্য এ কাজ করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি), বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান কিংবা স্বাস্থ্যবিষয়ক সংসদীয় কমিটি হতে আমার প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক সার্জিক্যাল কোম্পানি থেকে সরকারি হাসপাতালে সরবরাহকৃত মেডিকেল যন্ত্রপাতি নিয়ে অদ্যাবধি কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হয়নি।’
সাবেক দুই লাইন ডিরেক্টরকে জড়িয়ে অপপ্রচার : জাহের সরকার বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মাজাহারুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হাসপাতাল শাখায় আমি এক টাকারও যন্ত্রপাতি, চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করিনি। যে কেউ চাইলেই বিষয়টি প্রমাণ করতে পারবেন। সুতরাং, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই দুই পরিচালককে জড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খ্যাতিমান এ ব্যবসায়ী প্রায় তিন যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছেন, যা স্বাস্থ্য খাতে অদ্বিতীয়। মূলত তিনি তুলনামূলক কম দামে, উন্নত ব্র্যান্ডের ও গুণগত মানের মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেন এবং নিয়মিত আফটার সেলস সার্ভিস দিয়ে থাকেন। আর এই স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনাই তার জন্য স্বাস্থ্য খাতের দুষ্টচক্র ও অসৎ সিন্ডিকেটের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। কার্যত স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের দুর্নীতি ও অনিয়ম আড়াল করতে স্বনামধন্য কোম্পানি বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ