ছবি: সংগৃহীত
খুব শিগগিরই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে জুলাই সনদের বিষয়বস্তু এবং এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব ও এবিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের অবস্থান সম্পর্কে সভাকে অবহিত করা হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ঐকমত্য কমিশন সব রাজনৈতিক দল থেকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা পেয়েছে। এছাড়া, গণমাধ্যমগুলো ঐকমত্য কমিশনকে অকল্পনীয় সমর্থন দিয়েছে।
কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের সব সদস্যকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানিয়েছেন। কমিশনের কাজের চূড়ান্ত অগ্রগতি সম্পর্কে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকের বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আসিফ নজরুল ও আদিলুর রহমান খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) আয়োজিত চারটি স্বল্পমেয়াদী কোর্সের সনদ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। চার সপ্তাহব্যাপী এসব কোর্সে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা। সভাপতিত্ব করেন বিসিটিআইয়ের প্রধান নির্বাহী আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।চারটি কোর্সের মধ্যে ছিল— বেসিক ফিল্ম কোর্স, ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স, চলচ্চিত্র সম্পাদনা প্রশিক্ষণ কোর্স ও চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনয় প্রশিক্ষণ কোর্স। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।প্রধান অতিথি মাহফুজ আলম বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন নয়, এটি জাতির গল্প বলার শক্তিশালী মাধ্যম।”তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নির্মাণ করা গেলে বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্বের বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব।বিশেষ অতিথি মাহবুবা ফারজানা বিসিটিআইয়ের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বলেন, “নতুন প্রজন্মকে চলচ্চিত্র শিক্ষার মাধ্যমে ইতিবাচক ভাবনায় অনুপ্রাণিত করছে বিসিটিআই।”অনুষ্ঠানে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহম্মদ হিরুজ্জামান এনডিসি, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নার্গিস আক্তার, শাকুর মজিদ, ফজলে হকসহ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।আয়োজনের শেষ পর্বে ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর অংশ হিসেবে বিসিটিআই প্রশিক্ষণার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।ভোরের আকাশ//হর
দেশের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে পানির স্তর দ্রুত বাড়তে থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।রোববার (৫ অক্টোবর) এক বিশেষ বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।সংস্থাটির বার্তায় বলা হয়েছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ উজানের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং ভারতের উজানের অংশে (বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে) টানা বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে ১১৮ মিলিমিটার, নীলফামারীর ডালিয়ায় ৮৫ মিলিমিটার, এবং কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরীতে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।অন্যদিকে ভারতের দার্জিলিংয়ে ২৬১ মিলিমিটার, কোচবিহারে ১৯০ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ১৭২ মিলিমিটার, এবং শিলিগুড়িতে ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাটে ৮৯ মিলিমিটার ও সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, নদীসংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। পানি বৃদ্ধির গতি নজরে রাখা ও প্রয়োজন হলে জরুরি সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যা মোকাবিলায় জরুরি ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রস্তুতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ//হর
নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয় সম্পূর্ণরূপে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।রোববার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ আশার কথা জানান।পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সরকারি অফিসগুলোকে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক থেকে সরিয়ে আনতে সচিবালয়কে দিয়েই যাত্রা শুরু হয়েছে। আশা করি, নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ১ জানুয়ারি থেকে সচিবালয় একদম প্লাস্টিকমুক্ত হবে।তিনি বলেন, পানির বোতলসহ অন্যান্য একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ করা হবে। যদিও দেশে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক আইনত নিষিদ্ধ না, সরকার এটি নিরুৎসাহিত করছে। বিভিন্ন দূতাবাস ও বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে নিজেদের ক্যাম্পাসকে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করেছে।এদিন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ সচিবালয়ের ২ ও ৫ নম্বর প্রবেশপথে বাস্তবায়ন কার্যক্রম মনিটর করেন। কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ ও ফাইল সংগ্রহ করে তাদের কাপড়ের বিকল্প ব্যাগ সরবরাহ করা হয়। সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক পোস্টার, বোর্ড ও স্ট্যান্ডি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যরা সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বহনে তল্লাশি চালিয়ে আসছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই সনদ ইস্যুতে গণভোটের পক্ষে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে এক ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যে পৌঁছেছে দলগুলো। এটি বড় ধরনের অর্জন। আশা করি, অন্যান্য বিষয়েও দ্রুত একমত হবো। আগামী ৮ অক্টোবর এ বিষয়ে আবারও বৈঠকে বসবে কমিশন।তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইতোপূর্বে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন অনেকে এ বিষয়ে কিছুটা সরে আসছেন। এ জন্য দলগুলোকে ধন্যবাদ। আশা করি, একটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিতে পারবো। প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আমরা ১৫ অক্টোবরের মধ্যে একটি মিমাংসায় আসতে পারবো।তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে তিন চতুর্থাংশ দলের কাছে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেকে নাম দিয়েছেন, অনেকে এখনও দেননি। দ্রুত নাম দিতে তিনি দলগুলোকে অনুরোধ করেন।ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, দুই-এক দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আবারও বৈঠকে বসবে কমিশন। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবিপার্টি) ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। কমিশনের সদস্য হিসেবে ছিলেন– বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।ভোরের আকাশ/এসএইচ