ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ই দায়িত্ব হস্তান্তর হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, একমাত্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ই দায়িত্ব হস্তান্তর হবে। ক্ষমতায় যেই আসুক। অন্য কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ফন্দি-ফিকির ৫ আগস্টের মতোই প্রতিরোধের মুখে পরবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ট্রাভেল এজেন্সির নামকরণের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি পরিহার এবং নামকরণ নিয়ে সম্ভাব্য জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টদের কাছে বিতরণ করা হয়েছে।এতে বলা হয়, ট্রাভেল এজেন্সির নামকরণের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি পরিহার এবং জালিয়াতি ও প্রতারণা রোধকল্পে Online Travel Agency Management System (OTAMS) সফটওয়্যার-এ ইউজার আইডির জন্য সাইনআপ রিকোয়েস্ট করার সময় আবশ্যিকভাবে নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুসরণ করেনতুন এজেন্সির নাম প্রস্তাব দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হলো-১. ট্রাভেল এজেন্সির নাম প্রস্তাবের আগে নামের মূল শব্দ বা কিওয়ার্ড ইতোমধ্যে ব্যবহৃত হয়েছে কি না তা অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর এজেন্সির তথ্য যাচাই সার্চ বক্স থেকে যাচাই করে নিতে হবে।২. ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বিদ্যমান কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মূল নাম বা কিওয়ার্ড (Keyword)-এর সঙ্গে হুবহু বা আংশিক মিল রেখে নতুন কোন এজেন্সির নাম প্রস্তাব করা যাবে না।৩. বিদ্যমান কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মূল নামের সঙ্গে কোন শব্দ, বর্ণ কিংবা চিহ্ন সংযোজন ও বিয়োজন করে নতুন ট্রাভেল এজেন্সির নাম প্রস্তাব করা যাবে না।৪. ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন শব্দ ট্রাভেল এজেন্সির নামের ক্ষেত্রে পরিহার করতে হবে। যেমন- ওভারসিজ, হজ-ওমরাহ, ভিসা, কনসালটেন্সি, এডুকেশন, ইত্যাদি।৫. সাইনআপ রিকোয়েস্টের সময় ট্রাভেল এজেন্সির মৌলিক ও অর্থবহ নাম প্রস্তাব করতে হবে। অন্যথায় সাইনআপ রিকোয়েস্ট বাতিল করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০২৬ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে এ বছর আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা প্রশাসক এবং স্বাধীনতা ও একুশে পদকে ভূষিত সুধীজনকে মনোনয়ন প্রস্তাব সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, একুশে পদক দেওয়া সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য বছরের মতো ২০২৬ সালে সরকার ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা (সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, চারুকলাসহ সকল ক্ষেত্র), মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা, গবেষণা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, সমাজসেবা, রাজনীতি, ভাষা ও সাহিত্য এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তি (জীবিত/মৃত), গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে একুশে পদক দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এ সংক্রান্ত সব তথ্য ও নীতিমালা এবং মনোনয়ন প্রস্তাবের ফরম সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.moca.gov.bd) এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশে ৮ আগস্ট পর্যন্ত আগামী ১০ দিন অনলাইন ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ। দলটির কিছু নেতাকর্মী এ সময় সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা, বিশৃঙ্খলা কিংবা ভাঙচুর চালাতে পারে বলেও ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এমন আশঙ্কা করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।এই প্রেক্ষাপটে সোমবার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে একটি বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে ডিএমপি কমিশনার, সিটি এসবি, বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারসহ দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারের কাছে।চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়, ‘এই সময়ে ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো দেশব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে বা উসকানি সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টাও হতে পারে।’এমন পরিস্থিতিতে দেশের সকল ইউনিটকে নিজ নিজ এলাকায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনের ওপর নজরদারি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার এবং সাইবার গোয়েন্দা কার্যক্রম তীব্র করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।এদিকে, মঙ্গলবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, জুলাই-আগস্ট পুরোটা সময়ই সতর্কতার; তবে এই কয়েকদিনের আইনশৃঙ্খলা সতর্কতা সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনার বিষয়ে কিছু জানা নেই।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অবশেষে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা দ্রুত কার্যকর হতে চলেছে। গত ১৫ জুলাই দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শূন্য থাকা প্রধান শিক্ষকের পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। নিয়োগে যোগ্যদের প্রাধান্য দেওয়ার তাগিদও দিয়েছেন তিনি। তার নির্দেশনার দুই সপ্তাহের মধ্যেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৫ হাজার ৫০২টি। বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৯৬ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। আর শূন্য পদ রয়েছে ৩৪ হাজার ১০৬টি।এর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য। যার ১০ শতাংশ সংরক্ষিত রেখে অবশিষ্ট ২ হাজার ৩৮২টি পদে স্বতন্ত্রভাবে সরাসরি নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অচিরেই এসব পদে নিয়োগের জন্য পিএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।এছাড়াও, জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন সংক্রান্ত ৭৩/২০২৩ নম্বর সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হবে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর জনবল ঘাটতি অনেকাংশে পূরণ হবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম আরও উন্নত ও গতিশীল হবে। সরকারের প্রত্যাশা, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মান কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ