ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ই দায়িত্ব হস্তান্তর হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, একমাত্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়ই দায়িত্ব হস্তান্তর হবে। ক্ষমতায় যেই আসুক। অন্য কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের ফন্দি-ফিকির ৫ আগস্টের মতোই প্রতিরোধের মুখে পরবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
সদ্য প্রয়াত ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে আজ। সকাল ১১টার দিকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। পরে শোক র্যালির মাধ্যমে শেষ বিদায় জানিয়ে এই ভাষাসৈনিকের মরদেহ ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজে দান করা হবে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন তিনি।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৯৬ বছর। বর্তমানে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ওমরাহ পালনের নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব সরকার। ভ্রমণ প্রক্রিয়াকে আরও সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ করতে শুক্রবার খালিজ টাইমস প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে হোটেল বুকিং ও পরিবহন—সবকিছুই সরকারি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি আরও অন্তত ১০টি শর্ত কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে ওমরাহযাত্রীদের।নতুন নিয়মের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো১. হোটেল বুকিং বাধ্যতামূলকভিসা আবেদনের সময়ই অনুমোদিত হোটেল মাসার সিস্টেম বা নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে বুক করতে হবে।২. আত্মীয়ের বাসায় থাকলে সৌদি আইডি প্রমাণযদি কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে চান, তবে হোস্টের ইউনিফাইড সৌদি আইডি ভিসার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সফর সময় পরিবর্তন হলেও সিস্টেমে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে।৩. পর্যটক ভিসায় ওমরাহ নিষিদ্ধএখন থেকে পর্যটক ভিসায় ওমরাহ পালন করা যাবে না। যারা এভাবে চেষ্টা করবেন, তাদের থামিয়ে দেওয়া হবে। একইভাবে মদিনার রিয়াজুল জান্নাতেও প্রবেশ বন্ধ থাকবে।৪. ওমরাহ ভিসা বাধ্যতামূলকশুধুমাত্র নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওমরাহ ভিসা নিতে হবে। চাইলে ই-ভিসা অথবা অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে প্যাকেজ বুকিং করে ভিসা নেওয়া যাবে।৫. কঠোর ভ্রমণসূচিভিসার সঙ্গে ভ্রমণসূচি জমা দিতে হবে, যা পরে আর পরিবর্তন বা স্থগিত করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করলে জরিমানা দিতে হবে।৬. কিছু দেশের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধাযুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা বা শেনজেনভুক্ত দেশের ভিসাধারীরা নির্দিষ্ট শর্তে ভিসা অন অ্যারাইভাল পাবেন। শর্ত হলো— আগে এসব দেশে অন্তত একবার ভ্রমণ থাকতে হবে এবং ভিসার মেয়াদ হতে হবে এক বছর।৭. বিমানবন্দরে বুকিং যাচাইসৌদি আরবে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে হোটেল ও পরিবহন বুকিং যাচাই করা হবে। কিছু অনুপস্থিত থাকলে ভ্রমণে বাধা বা জরিমানা হতে পারে।৮. পরিবহনে সরকারি অনুমোদন বাধ্যতামূলকশুধু নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদিত ট্যাক্সি, বাস বা ট্রেন ব্যবহার করতে হবে। পথচারী ট্যাক্সি বা অননুমোদিত গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না।৯. হারামাইন ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়সূচিহারামাইন এক্সপ্রেস ট্রেন রাত ৯টার পর বন্ধ থাকে। তাই এ সময়ের পর পৌঁছালে আগে থেকেই অনুমোদিত পরিবহন বুক করে রাখতে হবে।১০. নিয়ম ভাঙলে কড়া জরিমানাযে কোনো নিয়ম লঙ্ঘন করলে হজযাত্রী ও এজেন্ট উভয়কেই বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে।সৌদি সরকারের এসব নতুন নিয়ম ওমরাহ যাত্রাকে আরও নিয়ন্ত্রিত ও শৃঙ্খলিত করবে। তবে যাত্রীদের জন্য বাড়তি সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চলার বাধ্যবাধকতা তৈরি হলো।ভোরের আকাশ//হ.র
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না। বরং এটি ছিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘করতোয়া’, যেটিকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।পোস্টে তিনি লেখেন, কয়েক দিন ধরে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন কেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। তাদের মতে, জাদুঘর হওয়া উচিত জাদুঘরের জায়গায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গণভবন মূলত অতিথি ভবন ছিল। এখানে একসময় গুম, খুন, লুটপাটের পরিকল্পনা এবং জুলাই হত্যাযজ্ঞের মতো ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।তিনি উদাহরণ টেনে আরও বলেন, ইতিহাসে বহু স্থাপনাকেই পরে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে। যেমন—পোল্যান্ডের নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, জাপানের হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলার স্থান, ভিয়েতনামের কু চি টানেল, যুক্তরাষ্ট্রের গেটিসবার্গ যুদ্ধক্ষেত্র, দক্ষিণ আফ্রিকার রোবেন দ্বীপ কারাগার, প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ, ভারতের জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং আমস্টারডামের আনা ফ্রাঙ্কের লুকিয়ে থাকার ঘর—সবই আজ জাদুঘর বা স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে সংরক্ষিত।কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “গণভবন জাদুঘর করার বিরোধিতা তাদেরই, যাদের কাছে জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নয় এবং যারা এখনো আশায় আছেন, সেই হত্যাকারীরা একদিন ফিরে আসবে।”ভোরের আকাশ//হ.র
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অঙ্গীকার ও মানবিক সংহতির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএনজিএর উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন ড. ইউনূস। সেখানে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশ নেন।প্রেস সচিব জানান, বক্তব্যে ড. ইউনূস বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছেন যে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় অটল।শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, তিন রাজনৈতিক দলের ছয়জন প্রতিনিধিকে নিয়ে এ সফরে গঠিত দলটি ছিল বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোচ্ছে।ড. ইউনূস সফরে ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে গণতন্ত্র, বাণিজ্য, জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেলসহ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিয়ে ড. ইউনূস বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের ভূমিকাও গুরুত্ব পায়।রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ড. ইউনূস সফরের কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় হিসেবে এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে মোট ৯৬ মিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।এছাড়া তিনি জাতিসংঘকে অনুরোধ করেন বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের অগ্রগতি নিয়ে একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনার। যা আন্তর্জাতিক মহলে আস্থা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নযাত্রায় স্বচ্ছতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে।ইউএনজিএ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনাও উন্মোচিত হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির বিষয়ে অগ্রগতি হয়, যা প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ//হ.র