নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১২:০০ এএম
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, গণভবন কখনোই সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল না। বরং এটি ছিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘করতোয়া’, যেটিকে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, কয়েক দিন ধরে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন কেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। তাদের মতে, জাদুঘর হওয়া উচিত জাদুঘরের জায়গায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গণভবন মূলত অতিথি ভবন ছিল। এখানে একসময় গুম, খুন, লুটপাটের পরিকল্পনা এবং জুলাই হত্যাযজ্ঞের মতো ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।
তিনি উদাহরণ টেনে আরও বলেন, ইতিহাসে বহু স্থাপনাকেই পরে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে। যেমন—পোল্যান্ডের নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, জাপানের হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলার স্থান, ভিয়েতনামের কু চি টানেল, যুক্তরাষ্ট্রের গেটিসবার্গ যুদ্ধক্ষেত্র, দক্ষিণ আফ্রিকার রোবেন দ্বীপ কারাগার, প্যারিসের বাস্তিল দুর্গ, ভারতের জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং আমস্টারডামের আনা ফ্রাঙ্কের লুকিয়ে থাকার ঘর—সবই আজ জাদুঘর বা স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে সংরক্ষিত।
কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “গণভবন জাদুঘর করার বিরোধিতা তাদেরই, যাদের কাছে জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নয় এবং যারা এখনো আশায় আছেন, সেই হত্যাকারীরা একদিন ফিরে আসবে।”
ভোরের আকাশ//হ.র