× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভূ-রাজনীতির তপ্ত হাওয়া বিশ্ববাজারে

নিখিল মানখিন

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১২:২৬ এএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভূ-রাজনীতির মাঠে সফলতা পাচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং সংকুচিত হয়ে পড়ছে মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্র। যুদ্ধ-বিগ্রহে বিশ্ববাসীর বিমুখতা দেখে ভূ-রাজনীতির ধরন পাল্টিয়ে ‘বিশ্ববাজার’ উত্তপ্ত রাখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনটি মনে করছেন  কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সাম্রাজ্যবাদী ‘মন্তব্য ও সিদ্ধান্ত’ গ্রহণ করে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বিশেষ করে শুল্কারোপ ইস্যু বিশ্বের তিন মহারথী চীন, রাশিয়া ও ভারতকে একই ছাতার নিচে নিয়ে যাচ্ছে।ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশের পর সর্বশেষ চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় বিশ্ববাজারের অস্থিরতা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে শেয়ারবাজারে পতনের ঘটনাও অব্যাহত রয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে বিশ্ববাণিজ্যের সব সেক্টরে বিনিয়োগকারীদের মাঝে।  

কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ দীর্ঘদিনের। এবার যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেটে পড়েছে ভারত। রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে রয়েছে বহু বছরের বন্ধুত্বের সুসম্পর্ক। এতদিন সীমান্ত সমস্যাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিরোধ থাকলেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক আচরণে কাছাকাছি চলে এসেছে চীন ও ভারত। এভাবে বেশি মাত্রায় চাপপ্রয়োগ করতে গিয়ে এশিয়ার তিন মহারথী ‘চীন-রাশিয়া-ভারত’কে ঐকমত্যে আসার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক শক্তি ‘ন্যাটো’র বিপরীতে ইতোমধ্যে আলোচনায় চলে এসেছে চীন নেতৃত্বাধীন সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন (এসএসিও)।

রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বিশ্ববাণিজ্যকে এলোমেলো করে দিয়েছেন, তখন ভারত, চীন ও রাশিয়া ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমন এক লক্ষণ এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও তার শুল্কের রোষানল থেকে রেহাই পাননি। 

ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, বাণিজ্যিক হুমকি এবং একতরফা নীতি প্রয়োগে চাপে পড়েছে প্রায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ।  তবে এবার এসব চাপ ও হুমকিকে গুরুত্ব না দিয়ে একজোট হতে পারে বিশ্বের অন্যতম তিন মহাশক্তি রাশিয়া-চীন ও ভারত। মার্কিন বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক হুমকিকে পাত্তা না দিয়ে একসঙ্গে কৌশলগত অবস্থান নিচ্ছে রাশিয়া-চীন ও ভারত। যা বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুনমাত্রা যোগ করতে পারে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেখানে কেবল সামরিক শক্তি ব্যবহারই তার রাজনৈতিক কতৃত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে। এখানে সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক সহাবস্থান এবং শক্তির ভারসাম্য সৃষ্টি করার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব চীন ও রাশিয়ার মতো দেশকেও উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অস্থিরতার মধ্যেই শি, পুতিন ও মোদির উপস্থিতি নিঃসন্দেহে গ্লোবাল সাউথের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে শক্তিশালী সংহতির একটি বার্তা। পাশাপাশি, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা বিশ্বে একঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার জন্য এটি একটি কূটনৈতিক সাফল্য।

চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা ট্রাম্পের 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নীতি নিয়ে শুরু থেকেই দ্বন্দ্ব চলছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের। পাল্টাপাল্টি হুমকি ও শুল্কারোপে পিছিয়ে নেই দেশ দুটির কোনোটিই। চীনের নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা কার্যকরের পর সেই উত্তেজনার পালে আবারও হাওয়া লাগলো। ওই পরিকল্পনায় বিরল খনিজ রপ্তানি ও উৎপাদন প্রযুক্তি, সামরিক ও সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

চীনের এই নীতি কার্যকর হওয়ার পর গত ১০ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, চীন প্রতিনিয়ত শত্রুতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। যা বিশ্ববাজারকে স্থবির করে দেবে। চীনসহ বিশ্বের সব দেশ এতে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হবে বলেও সতর্ক করেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী রপ্তানির ওপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে এবং ১ নভেম্বরের মধ্যে ‘সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার’-এর ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ জারি করা হবে- যা বর্তমান শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার নয় দিন আগে কার্যকর হবে। এছাড়াও, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং-এর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিলেরও হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, এ অবস্থায় তার সঙ্গে দেখা করার কোনো কারণ আছে বলে তিনি মনে করেন না।

ভূ-রাজনীতির প্রভাব বিশ্ববাজারে : বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, বিবিসি, এএফপিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্ববাণিজ্য ব্যবস্থা নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। দশকের পর দশক ধরে গড়ে ওঠা মুক্তবাণিজ্যের ধারণা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সংরক্ষণবাদের ঢেউ ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। এই অনিশ্চয়তার কেন্দ্রে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাণিজ্যনীতি, যা শুধু ওয়াশিংটনের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে না, বরং এর ঢেউ আঁছড়ে পড়ছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতির সবচেয়ে বড় এবং প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর, যা ইতোমধ্যেই কয়েক বছর ধরে চলমান একটি ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ হিসেবে পরিচিত। এই বাণিজ্য যুদ্ধ শুধু দুটি বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ছিল যে, চীন ‘অন্যায্য’ বাণিজ্য অনুশীলন, যেমন- মেধাস্বত্ব চুরি, রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি এবং বাজারে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে তাদের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বাড়াচ্ছে। 

এর প্রতিক্রিয়ায়, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপ করে, যা কিছু ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশেরও বেশি ছিল। যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের পণ্যের বিশাল চাহিদা তৈরি করে রেখেছে এবং বিপরীতে মার্কিন পণ্য তেমন আমদানি করে না, তাদের ওপর আরও কঠোর শুল্কের বোঝা চাপানো হচ্ছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র একদিকে যেমন তার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চাইছে, অন্যদিকে তার দেশীয় শিল্পকে বিদেশি প্রতিযোগিতার হাত থেকে রক্ষা করতে চাইছে। ফলে, বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই নীতির ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।

হিন্দুস্তান টাইমসের  এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন শুল্কবৃদ্ধি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটনের নবজাগরিত বাণিজ্য জাতীয়তাবাদ আজ বিশ্ববাণিজ্যকে চরম হুমকিতে ফেলছে। এটি শুধু অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের গল্প নয় এগুলো ক্ষমতা ও দুর্বলতার এমন এক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, যেখানে ভূ-রাজনীতির আত্মকেন্দ্রিকতা বিশ্ব অর্থনীতির কাঠামোকেই নড়বড়ে করে তুলছে। যে বৈশ্বিক অর্থনীতি একসময় দক্ষিণ এশিয়ার সস্তা শ্রম ও দ্রুত উৎপাদনের ওপর ভর করে চলত, এখন সেই ব্যবস্থাই তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

আজকের অর্থনীতি অনেক জটিল হলেও ইতিহাস আমাদের সতর্ক করে বাণিজ্যপ্রাচীর কখনোই স্থিতি আনে না, বরং প্রতিশোধ, বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তা ডেকে আনে। বর্তমান পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক কারণ এটি ঘটছে এমন এক অস্থির ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যেখানে ইউক্রেন যুদ্ধ, মার্কিন-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতি আস্থাহীনতা একই সঙ্গে কাজ করছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল অর্থনীতি হিসেবে ভারত এখনো এগিয়ে। বৃহৎ অভ্যন্তরীণ বাজার, শক্তিশালী ভোক্তা ব্যয় ও ডিজিটাল পরিবর্তনের কারণে দেশটি এখনো বিশ্বের দ্রুততম প্রবৃদ্ধিশীল বড় অর্থনীতি হিসেবে টিকে আছে। তবুও, এর প্রান্তে ফাটল ধরছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তার সুরক্ষাবাদের ভূ-রাজনৈতিক মূল্য বিবেচনা করা। দ্রুত বর্ধনশীল অংশীদারদের দূরে ঠেলে দিয়ে, তারা কার্যত চীনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করছে। চীন ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিগুলোর জন্য শুল্ক-ছাড় ও নতুন ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। এটি যেমন কৌশলগত পদক্ষেপ, তেমনি বুদ্ধিদীপ্ত কূটনীতিও। যদি ওয়াশিংটন শুল্ককে রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত করতে থাকে, তবে ২০২৬ হয়তো শুধু প্রবৃদ্ধির মন্থরতার বছর হবে না, বরং সেই যুগের অবসান চিহ্নিত করবে যে যুগে উন্নয়নশীল দেশগুলো বুঝতে পারবে, বিশ্ববাজারও এখন শক্তির রাজনীতিতেই চালিত, ন্যায্যতায় নয়।

কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা যা বলেন : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার দত্ত  সাংবাদিকদের বলেন, এটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র তার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপ করে, তবে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রবণতা বাড়বে, যা বিশ্ববাণিজ্যকে সংকুচিত করবে।

এর ফলে, বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। পণ্য উৎপাদন ও বিতরণে জটিলতা বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তা এবং উৎপাদক উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়তে পারে, আর উৎপাদকদের জন্য উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বাজার হারানোর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

তিনি বলেন, এই নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়মনীতির প্রতি বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা যে মুক্ত ও অবাধ বাণিজ্যের ধারণা নিয়ে কাজ করে, এই ধরনের সংরক্ষণবাদী নীতি তার মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এর ফলে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগের কর্মকর্তা ড. সেলিম জাহান গণমাধ্যমকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক যুদ্ধকে শুধু একটি বাণিজ্য কিংবা অর্থনৈতিক বিষয় বলে ভাবার কোনো সুযোগ নেই, এটি দেশটির বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। যুক্তরাষ্ট্র শুল্ককে তার পররাষ্ট্র নীতির একটি পন্থা হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তার আধিপত্যের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যে সব দেশ এই সত্যটি ধারণ করে অগ্রসর হয়েছে, তারাই কার্যকরভাবে শুল্ক-আলোচনা থেকে লাভবান হয়েছে।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
ভারতের রাজস্থানে চলন্ত বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, প্রাণ গেল ১৯ জনের

ভারতের রাজস্থানে চলন্ত বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, প্রাণ গেল ১৯ জনের

ভারতীয় কাশির সিরাপ সেবনে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ভারতীয় কাশির সিরাপ সেবনে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ভারতীয় কাশির সিরাপ সেবনে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ভারতীয় কাশির সিরাপ সেবনে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ভারতে কাশির সিরাপ খেয়ে ১ মাসে ১৭ শিশুর মৃত্যু!

ভারতে কাশির সিরাপ খেয়ে ১ মাসে ১৭ শিশুর মৃত্যু!

বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে সুখবর

বিশ্ববাজারে তেলের দাম নিয়ে সুখবর

 পিরোজপুরে জিয়ানগর উপজেলায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

পিরোজপুরে জিয়ানগর উপজেলায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

 হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

 সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এক হত্যাকান্ড

সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এক হত্যাকান্ড

 নীলফামারীতে ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

নীলফামারীতে ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

 কোন প্রক্রিয়ায় গণভোট

কোন প্রক্রিয়ায় গণভোট

 জীবননগরে ভেজাল ও নিম্নমানের দস্তাসার বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

জীবননগরে ভেজাল ও নিম্নমানের দস্তাসার বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

 সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮ পরিবারের ১১টি ঘরসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই

সৈয়দপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৮ পরিবারের ১১টি ঘরসহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই

 মান্দায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

মান্দায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

 মনোনয়ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করতে চান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

মনোনয়ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করতে চান অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

 যশোর সীমান্তে ৯০ লাখ টাকার চোরাচালানী মালামালসহ দুইজন আটক

যশোর সীমান্তে ৯০ লাখ টাকার চোরাচালানী মালামালসহ দুইজন আটক

 মহেশখালীতে এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযান

মহেশখালীতে এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর অভিযান

 ভ্যানচালক হত্যার প্রতিবাদে শার্শায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

ভ্যানচালক হত্যার প্রতিবাদে শার্শায় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ

 উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

 বিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকের মৃত্যু

বিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকের মৃত্যু

 নারায়ণগঞ্জে আত্মহত্যার মহামারী: পাঁচ বছরে প্রাণ দিলেন দেড় হাজার মানুষ

নারায়ণগঞ্জে আত্মহত্যার মহামারী: পাঁচ বছরে প্রাণ দিলেন দেড় হাজার মানুষ

 কেকেবিএইউতে ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

কেকেবিএইউতে ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

 নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি মডেল থানার এমদাদুল

নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি মডেল থানার এমদাদুল

 স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

 কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান, ৫ দালাল গ্রেফতার

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান, ৫ দালাল গ্রেফতার

সংশ্লিষ্ট

কোন প্রক্রিয়ায় গণভোট

কোন প্রক্রিয়ায় গণভোট

উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

পার্বত্য অঞ্চলে বাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালক

পার্বত্য অঞ্চলে বাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালক

চার জেলায় নতুন ডিসি

চার জেলায় নতুন ডিসি