বিশ্ব বাজারে শুক্রবার স্বর্ণের দাম সামান্য কমেছে। যদিও আগের দিনের তুলনায় মূল্য হ্রাস পেয়েছে, পুরো সপ্তাহজুড়ে ধাতুটির দামে উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গেছে। দুর্বল ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সুদহার কমানোর জল্পনা বিশ্ববাজারে প্রভাব ফেলছে। ফেডের (ফেডারেল রিজার্ভ ) কড়াকড়ি মন্তব্য থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা ডিসেম্বরেই সুদহার কমতে পারে বলে আশা দেখছেন।শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) লন্ডন সময় সকাল ৬টা ৩৮ মিনিটে স্পট সোনার দাম দাঁড়ায় প্রতি আউন্স ৪,১৮৩.৩১ ডলারে। এতে সাময়িক কমতি দেখা দিলেও সাপ্তাহিক হিসাবে দাম বেড়েছে ৪.৬ শতাংশ। ডিসেম্বর ডেলিভারির মার্কিন ফিউচার সোনাও ০.২ শতাংশ কমে লেনদেন হচ্ছে প্রতি আউন্স ৪,১৮৫.৯০ ডলারে। এদিকে ডলার সূচক টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ ধরে পতনের মুখে, যা অন্যান্য মুদ্রায় সোনা কেনাকে আরও সহজ করেছে।গোল্ডসিলভার সেন্ট্রালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রায়ান ল্যান জানান, ডলারের দুর্বলতা এবং জল্পনামূলক বিনিয়োগই এই সপ্তাহে সোনাবাজারকে শক্তিশালী করেছে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, ফেড শিগগিরই সুদহার কমানোর পথে যেতে পারে।দেশের বাজারেও সোনার দাম নতুনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকায়। এর আগে বৃহস্পতিবার বাজুস প্রতি ভরিতে ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়ায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৫ পিএম
বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘস্থায়ী সরকারি অচলাবস্থা (শাটডাউন) ও দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের সোনায় আগ্রহ বেড়েছে। একই সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) আরও সুদের হার কমানোর প্রত্যাশায় শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সিএনবিসির প্রতিবেদন মতে, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে স্পট গোল্ডের দাম ০.৮ শতাংশ বেড়ে আউন্স প্রতি ৪,০১০ ডলারে দাঁড়ায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা এখনও অব্যাহত আছে। স্বর্ণের দামের পেছনের মূল কারণ হলো—বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ ক্রয় ও সুদের হার কমার সম্ভাবনা।অন্যদিকে শুক্রবার স্পট সিলভারের দাম ১.২ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪৮.৫৮ ডলারে পৌঁছেছে। প্লাটিনাম ০.৪ শতাংশ বেড়ে ১,৫৪৭.৪৫ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ০.৭ শতাংশ বেড়ে ১,৩৮৪.১৮ ডলারে উঠেছে। তবে সপ্তাহের হিসাবে এই তিনটি ধাতুর দামই নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে।বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবর মাসে সরকারি ও খুচরা খাতে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি ব্যয়সংকোচন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। দুর্বল চাকরির বাজার সাধারণত ফেডকে সুদের হার কমানোর দিকে উৎসাহিত করে।বাজার পর্যবেক্ষকদের হিসেবে, ডিসেম্বরেই ফেড রিজার্ভের আরও একটি সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা এখন ৬৭ শতাংশ, যা আগে ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ। গত সপ্তাহে ফেড সুদের হার কমিয়েছে এবং চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছেন—এটাই সম্ভবত এ বছরের শেষ হার হ্রাস।এএনজেড ব্যাংকের পণ্য বিশ্লেষক সোনি কুমারি বলেন, এখন বাজারের নজর মূলত ম্যাক্রোইকোনমিক সূচক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কখন শাটডাউন কাটিয়ে উঠবে সেদিকে। এই অনিশ্চয়তা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের চাহিদা আরও বাড়াচ্ছে।দীর্ঘস্থায়ী কংগ্রেসীয় অচলাবস্থার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সরকার অচলাবস্থা চলছে, যা বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি তথ্যনির্ভর ফেডকেও বেসরকারি খাতের সূচকের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য করছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে চাহিদা যতটা অনুমান করা হচ্ছিল, বাস্তবে তা আরও বেশি। গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে পরিশোধনাগারগুলো পূর্ণগতিতে চলায় চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে স্বল্পমেয়াদে বাজারে সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।শুক্রবার (১১ জুলাই) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১.৭২ ডলার বা ২.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০.৩৬ ডলারে। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ১.৮৮ ডলার বা ২.৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৮.৪৫ ডলার। খবর রয়টার্সেরবিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার এখন বুঝতে পারছে যে সরবরাহ সীমিত। প্রাইস ফিউচারস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ফিল ফ্লিন বলেন, ‘সরবরাহ নিয়ে টানাপোড়েন রয়েছে-এখন তা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ছে।এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে টানা ১১ সপ্তাহ তেল ও গ্যাস রিগের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সর্বশেষ এমন অবস্থা দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালের জুলাইয়ে, যখন করোনা মহামারিতে জ্বালানির চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছিল। তবে দীর্ঘমেয়াদে চিত্র ভিন্ন হতে পারে। আইইএ একদিকে সরবরাহ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়ালেও, অপরদিকে চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়েছে, যা ভবিষ্যতে বাজারে উদ্বৃত্ত তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে।বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ওপেক প্লাস চাইলে দ্রুত তেলের সরবরাহ বাড়াতে পারে। এতে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত সরবরাহের ঝুঁকি রয়েছে। তবে, আপাতত রাশিয়া, সৌদি আরবসহ জোটভুক্ত দেশগুলো চাহিদার চাপ সামাল দিতে স্বল্পমেয়াদে উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নভাক জানিয়েছেন, চলতি বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে অতিরিক্ত উৎপাদনের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্যদিকে সৌদি আরব আগস্টে চীনে ৫১ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করতে যাচ্ছে, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।তবে, দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে কিছুটা সংশয় রয়েছে। ওপেক প্লাস তাদের ২০২৫ সালের ‘ওয়ার্ল্ড অয়েল আউটলুক’ প্রতিবেদনে ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, বিশেষত চীনের অর্থনৈতিক গতির ধীরগতির কারণে।রাজনৈতিক অস্থিরতাও তেলের দামে প্রভাব ফেলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া নিয়ে সোমবার ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’ দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ইউরোপীয় কমিশন নতুন করে রাশিয়ার ওপর ভাসমান তেলমূল্য নির্ধারণসহ একটি নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ উত্থাপন করতে যাচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ জুলাই ২০২৫ ১১:১০ পিএম
বিশ্ববাজারে ফের কমল জ্বালানি তেলের দাম
যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক পুনর্বহালের শঙ্কা এবং ওপেক প্লাস জোটের সম্ভাব্য উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে আরও একবার কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীনের দুর্বল চাহিদা ও আমেরিকায় তেলের মজুত বেড়ে যাওয়ার তথ্য। খবর রয়টার্সবৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) লন্ডনের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৮ সেন্ট বা ০ দশমিক ৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৮ দশমিক ৫৩ ডলারে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম কমে হয়েছে ৬৬ দশমিক ৮৮ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ৫৭ সেন্ট কম।তেলের দামে এই পতনের পেছনে মূলত দুটি বিষয় কাজ করছে- এক, ৯ জুলাইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ শুল্ক আবার চালু করতে পারে এমন আশঙ্কা এবং দুই, ওপেক+ জোট দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে আভাস মিলেছে ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।এ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশ চীনে পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধি গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। জুন মাসে চাহিদা দুর্বল হয়েছে এবং নতুন রপ্তানি আদেশ কমেছে বলে জানিয়েছে একটি বেসরকারি জরিপ সংস্থা।মার্কিন জ্বালানি তথ্য সংস্থা (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত ৩.৮ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়ে হয়েছে ৪১৯ মিলিয়ন ব্যারেল। অথচ বিশ্লেষকরা ধারণা করেছিলেন, মজুত কমে যাবে অন্তত ১.৮ মিলিয়ন ব্যারেল।ভোরের আকাশ/জাআ