সংগৃহীত ছবি
জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ চূড়ান্ত এবং বাস্তবায়নের উপায় বিবেচনা করতে দ্বিতীয় সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐকমত্য কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সনদ চূড়ান্তকরণ এবং বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নির্ধারণে এরইমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও সুপারিশমালা পর্যালোচনা করা হয়৷আজও কয়েকটি দল এ বিষয়ে মতামত জমা দিয়েছে। এসব মতামতকে বিবেচনায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷
সভায় সনদের চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া এবং তা বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় গতকাল (বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনে দিন শুরু হওয়া আলোচনা অব্যাহত রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত মতামত ও পরামর্শসমূহ বিশ্লেষণ করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত পর্যালোচনার ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহেই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন। এরপর চূড়ান্ত করা সনদ ও বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ একসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর নিকট পাঠানো হবে। সভায় সনদের ভাষাগত যথার্থতাও পুনর্মূল্যায়ন করা হয়।
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
উল্লেখ্য, জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে এরইমধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে সভা করেছে ঐকমত্য কমিশন। এ প্রক্রিয়ায় কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে মতামত আহ্বান করে। এ পর্যন্ত ২৬টি দলের পক্ষ থেকে মতামত পাওয়া গেছে৷
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে এক হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গুরোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৬৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৮৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৪৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৯ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৫ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৭০ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রংপুর বিভাগে ১৯ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিভিন্ন ইউনিটের বাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদমর্যাদার ২৭৩ জন কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।সোমবার (৩ নভেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।জনস্বার্থে জারি করা এই প্রজ্ঞাপনগুলো অনুযায়ী, পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে সাব-ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (নিরস্ত্র) থেকে ইন্সপেক্টর অব পুলিশে (নিরস্ত্র) পদোন্নতি পেয়েছেন ১৪৮ জন কর্মকর্তা।সাব-ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (সশস্ত্র) থেকে ইন্সপেক্টর অব পুলিশে (সশস্ত্র) পদে উন্নীত হয়েছেন ৯৭ জন।পুলিশ সার্জেন্ট পদমর্যাদার ২৮ জন কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন ইন্সপেক্টর অব পুলিশে (শহর ও যানবাহন)।সর্বমোট ২৭৩ জন কর্মকর্তার পদোন্নতির এই আদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর মিরপুরে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বাসটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এ হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে মিরপুর সেনপাড়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়েছে ‘আলিফ পরিবহন’-এর একটি যাত্রীবাহী বাস।বাসের চালকের ভাষ্যমতে, তিনি প্রতিদিনের মতো বাসটি চালিয়ে সেনপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে বাস থামানোর ইশারা দেন। চালক বাস থামালে তারা বাসে উঠে তাকে এবং হেলপারকে মারধর করে জোর করে নামিয়ে দেয়।এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েন এবং দ্রুত বাস থেকে নেমে যান। পরে হামলাকারীরা বাসটির সামনের কাচ লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে, যাতে কাচ ভেঙে যায়। এরপর তারা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে এলাকা ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসিনা ফেরদৌস জানান, বাসটির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই দ্বন্দ্ব থেকেই এই আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে আমরা বাসটি জব্দ করেছি এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক আটক করার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।এই ঘটনাকে ঢাকা আন্তর্জাতিক আইনের ঘোর লঙ্ঘন এবং ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ন্যক্কারজনক উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লোটিলা আটক এবং কর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ইসরায়েল এমন একটি সময়ে চরম অমানবিকতা দেখালো, যখন গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলছে। বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে সকল আটক মানবাধিকারকর্মী ও শান্তিকামী কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। একইসঙ্গে, তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে- গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে বেআইনি দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন কঠোরভাবে মেনে চলা। গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করা।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মানবিক সহায়তা বহনকারী এই ফ্লোটিলা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশ্ববাসীর সংহতির প্রতীক। যেখানে সাধারণ মানুষ জীবন, মর্যাদা ও জীবিকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ ফিলিস্তিনি জনগণের এই ভয়াবহ দুর্দশা ও অব্যাহত কষ্টের সময়ে তাদের পাশে অবিচল সংহতি প্রকাশ করছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.