নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫ ১২:০৮ পিএম
সমন্বয়ক পরিচয়ে অপকর্ম
শিপংকর শীল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অপকর্মে ছড়িয়ে পড়েছেন সংগঠনটির বেশ কিছু নেতা। খোদ রাজধানীতে চাঁদাদাবি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। টাঙ্গাইলে মিষ্টি নামে এক সমন্বয়ক সাবেক এক এমপির বাড়ি দখল করেছিলেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কর্মকর্তা ও তার গাড়ি চালককে অপহরণ করেছিল কয়েকজন। তাদের মধ্যে একজন সমন্বয়ক বলে পুলিশ জানিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে এক সমন্বয়কের ব্যাগে ইয়াবা ও ছুড়ি পাওয়া গেছে। কয়েকটি অপরাধের ঘটনায় ১৮ সমন্বয়কে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এদিকে সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ অপরাধ করলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এখন আর সমন্বকের অস্তিত্ব নেই।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা সংগঠনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক মনে করে সাধারণ মানুষও এতে অংশ নেয়। ব্যাপক প্রাণহানির পর গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব বাড়তে থাকে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সংগঠনটির কিছু নেতা অপকর্ম শুরু করে। অবশ্য সংগঠনটি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়নি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছেন নেতারা।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাসা ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও ১০ কোটি টাকা চাঁদাদাবির মামলায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দানকারী মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিষ্টি জেলার বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে। তার স্বামীর নাম শাহ আলমাস। তিনি টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে সমন্বয়ক পরিচয়ে মানসিক ভারসাম্যহীনদের নিয়ে শহরের ছোট কালিবাড়ীতে অবস্থিত জোয়াহেরের ছয়তলা ভবনটি দখলে নেয় মিষ্টি। বাড়ির তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন লোকদের নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন তিনি। এতে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে মানসিক ভারসাম্যহীনদের সরিয়ে নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিষ্টিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে গভীর রাতে মুচলেকা দিয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি।
এ ঘটনায় জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা বাদী হয়ে রোববার রাত ৮টার দিকে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আকুরটাকুর পাড়ায় আমার ছয়তলা ভবনের কলাপসিবল গেটের ছয়টি তালা ভেঙে মিষ্টির নেতৃত্বে ৮-৯ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন লোক নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে বাড়িটি দখল নেয়। এ সময় তারা ভেতরে লুটপাট চালায়। বাসার ভেতর থেকে তারা নগদ পাঁচ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে। এছাড়া প্রায় ৫০ লাখ টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে মিষ্টিকে জিজ্ঞাসা করলে সে ১০ কোটি টাকা চাঁদাদাবি করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বাড়িটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরীফ বলেন, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক নারী সাবেক সংসদ সদস্যের বাসাটি অবৈধভাবে দখল করে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জন নারী-পুরুষকে আবাসনের চেষ্টা করে। পরে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়। বাড়িটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় এবং মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে সন্তোষের বড়ইতলার পূর্বের বাসায় স্থানান্তর করা হয়। সরকারের ব্যবস্থাপনায় তাদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ জানান, মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বৈষম্যবিরোধী নেতার ব্যাগে ইয়াবা : নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংগঠককে আটক করা হয়েছে। গত রোববার বেলা ১১টার দিকে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নাছির আহমদ।
আটক জিদান হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সংগঠক। তার ব্যাগ তল্লাশি করে চারটি ইয়াবা এবং একটি ছুরিও জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এ সময় হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবী ইকবাল হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।
আটকের ঘটনার পর জিদানকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান জেলা কমিটির আহ্বায়ক নিরব রায়হান ও সদস্যসচিব জাবেদ আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার কারণে জিদান হোসেনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হল।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, কয়েকদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে দালাল চক্রের আধিক্য বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ আসছিল। রোববার সকালে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারি চলার সময় জিদান, ইকবাল ও তাদের কয়েকজন সহযোগী গোয়েন্দা দলের লোকজনের ওপর চড়াও হয় এবং তাদেরকে কিছুক্ষণ অবরুদ্ধও করে রাখে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে দুজনকে আটক করে। এ সময় বাকিরা পালিয়ে যায়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার বলেন, দালালচক্রের আধিক্য বেড়ে যাওয়াতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাসপাতালে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়। পরে যৌথ বাহিনী দুজনকে আটক করে। এর বেশি আমি জানি না। সদর থানার ওসি নাসির আহমদ বলেন, অভিযানের দলকে অবরুদ্ধ করা, তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া এবং ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে পুলিশ।
কলাবাগানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুট : রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ১৪ সমন্বয়ককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। কলাবাগান থানার ওসি মুক্তারুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ বিভিন্ন পদের ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা রাজধানীর রাসেল স্কোয়ারে শেখ কবির নামের এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক অফিসে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় কিছু টাকা পয়সা ও চারটি কম্পিউটার নিয়ে যায় তারা।
জানা যায়, ভুক্তভোগী শেখ কবিরের পান্থপথের ৪৭ লেক সার্কাসের একটি কনস্ট্রাকশন সাইট রয়েছে। যার নাম কাবিক্রো লি.। হঠাৎ করে রাতে সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালায় ২০ জন যুবকদের একটি দল। সেখান থেকে ড্রয়ার ভেঙে তারা টাকাও নেয়। পরে ভুক্তভোগী ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল সেখানে গিয়ে তাদের আটক করে। লুট হওয়া টাকা থেকে প্রায় অর্ধলাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর দাবি, চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর করে তিন লাখ টাকা নিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় ১৪ জনসহ অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনের নামে মামলা হয়েছে।
মিরপুরে বাসায় তল্লাশি : বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পল্লবী থানা ইউনিটের আহ্বায়ক জামিল তাজের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন যুবক ডিওএইচএস-এর একটি বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির মালিক জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পল্লবী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযানের সময় শিক্ষার্থীরা বাড়ির মালিক ও স্থানীয় কমিটির সঙ্গে তর্কে জড়ান ও জোরপূর্বক বাসায় প্রবেশ করেন। তারা বাসার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও সাবেক এমপি মোতালেবকে খোঁজ করেন। বাসার লোকজন জানান, তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি। পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন আহমেদ বলেন, আমি পৌঁছানোর আগেই দলটি বাসায় ঢুকে পড়ে। ছাত্ররা সেই বাসায় কাউকে পায়নি। পরে আমি সেটি ঊর্ধ্বতনদের জানাই ও ওসি স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী ছাত্রদের চলে যেতে বলি। কয়েকজনকে সঙ্গে করে থানায় নিয়ে এলেও তাজসহ কয়েকজন সেখানে থেকে যায়।
পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, তারা অভিযানের বিষয়টি আগেই আমাদের জানালে তাদের নিষেধ করা হয়। কিন্তু তবুও অভিযানে যায় তারা। এ ঘটনায় কাউকেই আটক করা হয়নি। তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে দুইজনকে অপহরণ : চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তা ও তার চালককে বাসা থেকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার পর শুক্রবার সকাল পর্যন্ত নগরের আকবরশাহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অপহরণের পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন নগরের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের নাজমুল আবেদিন, একই ওয়ার্ডের সিটি গেট এলাকার নইমুল আমিন ইমন, আকবরশাহ থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার আরাফাত হোসেন ফাহিম ও রিসতি বিন ইউসুফ। তাদের মধ্যে নাজমুল আবেদীন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, এই নামে তাদের কোনো সদস্য নেই।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাজমুলের নেতৃত্বে নগরের আকবরশাহ থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসা থেকে প্যাসিফিক জিন্সের এজিএম আবেদিন আল মামুনকে অপহরণ করা হয়। তার গাড়িচালক জুয়েলকেও জিম্মি করে তারা। পরে গাড়িতে নগরের পতেঙ্গা সাগরপাড়, কর্নেলহাট জোন্স রোড, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকে দলটি। এর মধ্যে মামুনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলির সঙ্গে যোগাযোগ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। লিলি তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ করেন। বাকি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক লিখে দেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে নগরের জাকির হোসেন সড়কের অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে মামুন ও জুয়েলকে রেখে সটকে পড়ে দলটি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এরপর সকাল ৯টা পর্যন্ত একাধিক অভিযানে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ইমনের বাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, কমিটি ঘোষণার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা কেউ আমাদের সদস্য নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করেছি।
যা বলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি বা দখলবাজি করতে গেলে তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গত শুক্রবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়ক পরিচয়ের আর অস্তিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগের জায়গায় নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্র সংগঠন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটি থেকে একটি রাজনৈতিক দল হয়েছে। ফলে বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়ক পরিচয় আর এক্সিস্ট করে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আহ্বান থাকবে, কেউ এই পরিচয় ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।