গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিএনপির র্যালি আজ
গাজা ও রাফায় ইজরায়েলি বর্বরোচিত নৃশংসতার প্রতিবাদে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে র্যালি করবে বিএনপি।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় র্যালি শুরু হবে। এটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার হয়ে বাংলামটরে গিয়ে শেষ হবে। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ জনগণকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঢাকা ছাড়াও দেশের সব মহানগরে আজ এই কর্মসূচি পালন করবেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ ও সংহতি র্যালিতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
‘পিআর পদ্ধতি বা শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হবে না’, এমন হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।তিনি বলেছেন, “জামায়াতে ইসলামী নিম্নকক্ষে পিআর দাবি করছে, সেটা তারা করতেই পারে। পিআর ইস্যুটা তারা জোর দিয়ে সামনে এনেছে। তারা জনমত তৈরি করছে। সেই অধিকার তাদের আছে। ‘কিন্তু পিআর না হলে নির্বাচন হবে না’, সেই অবস্থান অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই অবস্থান দায়িত্বশীল হবে না। এই অবস্থানে কেউ গেলে বলতে হবে আপনি শক্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মীমাংসা চাইছেন এবং আপনি পরিস্থিতি সংঘাতের দিকে ঠেলছেন। কিংবা হঠাৎ সারজিস আলম বলে উঠলো যে, শাপলা না পেলে হবে না। কিন্তু এটা কোনো দায়িত্বশীল বক্তব্য নয়।”বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সম্পাদকীয়তে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।জোনায়েদ সাকি বলেন, “কোনো কোনো রাজনৈতিক দল যে জায়গায় যাচ্ছে, তাতে তারা বলতে চায় ‘আমি এটা না হলে ওটা করব না, অথবা আমার অমুক জিনিস না পেলে কীভাবে নির্বাচন হয়, তা দেখে নেবো।’ কিন্তু এই ভাষাগুলো ভালো না; এগুলো ইতিবাচক না; গণতান্ত্রিকও না। সবাইকেই একটা যুক্তি সংগত জায়গায় দাঁড়ানো দরকার।”তিনি বলেন, ‘প্রথম ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আমাদের মধ্যে একটা পদ্ধতিগত জায়গা তৈরি হয়েছিল। বিষয়টা এমন ছিল যে, যা কিছু ঐকমত্য হবে না, সেটা জনগণ মীমাংসা করবে; নির্বাচন মীমাংসা করবে। এটা পদ্ধতি হিসেবে না নিয়ে শক্তি পরীক্ষার জায়গায় গেলে সংঘাত টেনে আনা হবে। কারণ শক্তি পরীক্ষায় এক দল শক্তি দেখাতে গেলে তো আরেক দল শক্তি দেখাতে যাবে। কাজেই অনিবার্য সংঘাত তৈরি হবে।’গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে আর্টিকেল ৭০ ইস্যুতে ৪টি একসেপশনের কথা বলা হয়েছিল। প্রথম ২টি একসেপশনে সবাই রাজি। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে আরও ২টি একসেপশনের কথা বলা হয়। তখন মীমাংসাটা হলো যে, এই ২টি এমনভাবে রাখা হোক, যেন দলগুলো তাদের ইশতেহারে নিয়ে যেতে পারে। নির্বাচনী ইশতেহারে নিয়ে গেলে বিএনপি ওই ৪ একসেপশন নিয়ে যাবে। যারা ২ একসেপশনের সমর্থক, তারা ২ একসেপশন নিয়ে যাবে। যে জয় লাভ করবে, সেই অনুযায়ী আর্টিকেল ৭০ সংস্কার করা হবে। সেটা তখন আমরা সেভাবে গ্রহণ করেছিলাম। ধরে নিয়েছিলাম সেভাবেই যাবে।’তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপথে হঠাৎ উচ্চ কক্ষের পিআর নিয়ে বিতর্ক শুরু হলো, তারপর এটার কোনো মীমাংসা হলো না। ওইটা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক বাদানুবাদ থেকে তখন দেখা গেল নিম্ন কক্ষে পিআরের দাবিটা বারবার সামনে আসছে। কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার যে, নিম্ন কক্ষের পিআর কিন্তু ঐকমত্যের আলোচনায় আসেনি। অর্থাৎ, অ্যাজেন্ডাই হয়নি। যদিও এখন কোনো একটা দল দাবি উত্থাপন করতেই পারে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একদিনে ৭০টি নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে বিলুপ্ত করা হয়েছে ৩টি পুরনো কমিটি।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।দলীয় সূত্র জানায়, সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার ও নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতেই ছাত্রদল এই ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিলুপ্ত হওয়া তিন কমিটির জায়গায় শিগগিরই নতুন কমিটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। ভোরের আকাশ/হ.র
ব্যক্তিস্বার্থকে কেন্দ্র করেই প্রবাসীরা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। বিদেশের মাটিতেও বিএনপি এবং আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের সংঘর্ষ-সহিংতার কারণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠছে, কারস্বার্থে প্রবাসীরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন, এটাই ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।বিশ্লেষকদের ধারণা, নিজ দেশে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া বা ক্ষমতার কাছাকাছি আসার সহজ উপায় হলো প্রবাসীদের মধ্যে বলয় তৈরি করে দেশের বড় কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। রাজনৈতিক ক্ষমতাকে অবলম্বন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে তাদের এই প্রয়াস। তাছাড়া, ক্ষমতাসীন দলের নেতৃস্থানীয়দের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে এসব প্রবাসী যখন দেশে আসেন, তখন স্থানীয়রা এদের যোগাযোগের পরিধি দেখে এদেরকে অনেকটা সমীহ করে চলে। সর্বোপরি, প্রবাসীদের মধ্যে ব্যক্তি লাভের হিসেবটাই রয়েছে অনেক বেশি।প্রথমত : নিজ দেশের চেয়ে প্রবাসে থাকাকালে রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের কাছাকাছি আসার সুযোগ হয়। দ্বিতীয়ত : বাধাঁহীনভাবে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গভীর সেতুবন্ধন তৈরি হয়। তৃতীয়ত : নিজেকে সমাজে জাহির করার একটা উপায় তৈরি হয়। চতুর্থ: ব্যক্তিস্বার্থের ক্ষেত্রেই বড় উদ্দেশ্য থাকে নিজ দেশে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া বা ক্ষমতার কাছাকাছি আসার পথ উম্মোচন হয়। পঞ্চম: যে দলের সঙ্গে প্রবাসে যুক্ত থাকেন, দেশে ফিরে দলটির মনোনয়ন নিয়ে এমপি, মন্ত্রী ও মেয়র হওয়ার স্বপ্ন থাকে। ৬ষ্ঠ: কেউ আবার প্রবাসে সময় কাটানোর জন্য এবং পরিচয় সংকটের কারণে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।রাজনীতি করলে কোনো না কোনো একটা পদবি পাওয়া যা তিনি পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কেউ আবার মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে বাংলাদেশের নানান দুর্নীতি করার একটি লক্ষ্য থাকে। বাংলাদেশে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, তাদের সান্নিধ্যে আসতেই অনেক প্রবাসীরা লোভে পড়ে রাজনীতিতে যুক্ত হয়। এছাড়াও প্রবাসে রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহনের পথ সুগম হয় বলে মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানত দুই ধরনের মানুষ রাজনীতি করেন ১. আদর্শগত কারণে। ২. দেশে একজন মন্ত্রী-এমপির সান্নিধ্যে যাওয়া যেমন কঠিন, প্রবাসে তাদের পাওয়া ততই সহজ। এ জন্যই এখানে যে কোনো এমপি মন্ত্রী আসলে তাদের সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্যদিয়ে সহজেই ঘনিষ্ঠ হওয়া যায়। যার অন্যতম লক্ষ্য ব্যক্তিস্বার্থ আদায় করা। অনেকে আবার রাজনীতি করতে চান প্রবাসে। অর্থাৎ যে দেশে থাকেন সে দেশের মূল ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ থেকে। কেউ কেউ আবার অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিলেও তারা নিজ দেশের উন্নয়নের জন্য অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বার্থে এই রাজনীতি করছেন বলেও মনে করছেন রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।রাজনৈতিক দলগুলোর একাধীক নেতা বলছেন, প্রবাসীদের থেকে রাজনৈতিকভাবে কোনো উপকার না হলেও ফান্ড তো আসছে। সেখানে তাদের অনেক বড় লভ্যাংশ আছে। প্রচুর আয় হচ্ছে। এছাড়া অনেক নেতাই সেখানে গিয়ে দিনের পর দিন থাকছেন, তাদের ভরণ-পোষণের তো একটা ব্যাপার আছে! বড় বড় নেতা সে সুযোগ নিচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। এ সুযোগ বিভিন্ন স্তরের ক্ষুদ্র নেতারাও নিচ্ছেন। প্রবাসে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে যেসব বাংলাদেশী বসবাস করছেন, তারা কেন নিজ দেশ থেকে সুদূর বিদেশে অবস্থানের পরও নিজেদেরকে স্বদেশের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখছেন। বাংলাদেশকে ভালোবাসেন প্রবাসে রাজনীতি সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।দেশের মানুষের জন্য তাদের মন কাঁদে। দলের আদর্শ এবং চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তা ছড়িয়ে দিতে চান বিশ্বময়। দেশি রাজনীতি কেন বিদেশে এমন বিষয় নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে। এতে উঠে এসেছে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা দাবি করেন, অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিলেও তারা নিজ দেশের উন্নয়নের জন্য অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বার্থে এই রাজনীতি করছেন। তবে, বিগত সময়ের পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রবাসে থেকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তরা দেশে এসে বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন পেয়ে এমপি, মন্ত্রী ও মেয়র হওয়ার নজির রয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বের আশীর্বাদে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী লন্ডন থেকে দেশে এসে সিলেটে দলটির মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে জুলাই গণ-অভ্যত্থানে আওয়ামী লীগের শাসনের পতন হলে দেশ ছেড়ে আবার লন্ডন চলে গেছেন মি. চৌধুরী। পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। তিনি বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক ছিলেন। তানভীর হাসান ছোটমনি জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সধারণ সস্পাদক ছিলেন।তিনি টাঙ্গাইল-২ আসনের সাংসদ ছিলেন। হাবিবুর রহমান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্মসধারন সম্পাদক ছিলেন। হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জুড়ী উপজেলার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক। প্রবাস থেকে একাধীক ব্যক্তি বাংলাদেশে এসে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন-বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। পাশাপাশি বিদেশে থাকা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ক্ষেত্রেও অনেক উদাহরণ রয়েছে এবং এখন নতুন করেও তৈরি হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের শাসনকাল ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেকারণে যুক্তরাজ্যে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের তৎপরতা রয়েছে খুব বেশি।ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেশ থেকে পলায়নের মধ্যদিয়ে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর লন্ডন বিএনপির অনেকেই এখন দেশে এসেছেন। শুধু যুক্তরাজ্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বসবাসকারী বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত অনেকেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার চিন্তা থেকে বাংলাদেশমুখী হয়েছেন বলে দলটির একাধীক সূত্রে জানা গেছে।এ বিষয়ে লন্ডন প্রবাসী এক সাংবাদিক বলেন, ব্রিটেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পেছনে নানা বাস্তবতা কাজ করে। কেউ কেউ বাংলাদেশে ক্ষমতার কাঠামোর কাছাকাছি থাকতে চান, কেউ আবার দেশে জমি রক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা তদবিরের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হন।যুক্তরাষ্ট্রের চিত্রটাও একইরকম বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের বসবাসরত একাধিক ব্যক্তি। প্রবাসে যারা দেশের কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেই দল ক্ষমতায় গেলে তাদের জন্য তদবির করা সহজ মনে করছেন লন্ডনে বসবাসকারী একাধিক বাংলাদেশি।তারা বলেন, দেশে মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে দেখা করা বেশ কঠিন। কিন্তু দলের নেতারা যখন লন্ডনে আসেন, তখন সেখানকার সমর্থকেরা তাদের সংবর্ধনা দেওয়াসহ যথেষ্ট সময় দিয়ে থাকেন। এগুলোও এক ধরনের বিনিয়োগ। সেই নেতারা মন্ত্রী-এমপি হলে অতীতের বিনিয়োগের প্রতিদান পাওয়ারও সুযোগ তৈরি হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সব ধরনের লিগ্যাল সমস্যার সমাধান হলেই দেশে ফিরবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’-তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।মির্জা ফখরুল বলেন, উনি দেশে আসবেন যে মুহূর্তে উনার সব লিগ্যাল প্রবলেমগুলো সলভ হয়ে যাবে। যে মুহূর্তে আমরা মনে করব যে, পলিটিক্যালি টাইম ইজ রেডি ফর হিজ অ্যারাইভাল। তার ফেরার ক্ষেত্রে এখনো লিগ্যাল প্রবলেম আছে। উনাকে তো আমরা চাচ্ছি। উনি আমাদের নেতা, এই জাতির নেতা এখন। তার সমস্ত সিকিউরিটি সমস্ত কিছু আমাদের নিতে হবে। সেই জন্যই আমরা পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা যখন মনে করব যে পলিটিক্যালি তার আসার সময় হয়েছে, তখন তিনি আসবেন।এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে সতদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্নের নেতৃত্ব দিতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি। আপনারা দেখতে পাবেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান এসে কেবল বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্নের নেতৃত্ব দেবেন। জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের সবার নেতা তারেক রহমান বলেন তিনি।তিনি বলেন, এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। তারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, জনগণের ওপরে চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তিনি মন্তব্য করেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের আহ্বানে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে ভোটারদের কাছে, জনগণের কাছে ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছেন। তারা সেই কাজে ব্যস্ত আছেন এবং কর্মচাঞ্চল্য চলছে।তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে ১৮ মাস আগে থেকে আমাদের এই কাজ শুরু হয়েছে। আপনারা যেটাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বলেন, অর্থাৎ মনোনয়ন, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা যা সিট আছে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি। কাজেই কে প্রার্থী হবেন কে হবেন না, তা আমাদের স্থানীয় নেতা, জেলার নেতা ও আমাদের দলের পক্ষ থেকে জরিপ এবং সর্বোপরি জনগণের ভালোবাসায় যারা এলাকায় জনপ্রিয় বিএনপি তাদের মনোনয়ন দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ