নিত্যানন্দ মহারাজের আবির্ভাব উৎসব আজ
পরমহংস সত্যানন্দ মহারাজ ও ১০৮ স্বামী মঙ্গলদাশ মোহন্ত মহারাজ যোগসিদ্ধাশ্রমের প্রয়াত আশ্রমাধ্যক্ষ মহাত্মা স্বামী নিত্যানন্দ পুরী মহারাজের ৭৩তম আবির্ভাব উৎসব আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার শুভদিনে মহাত্মা স্বামী নিত্যানন্দ পুরী মহারাজের শুভ আবির্ভাব দিবসটি পালিত হবে।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের স্বামী সত্যানন্দ ও মঙ্গলদাস মোহন্ত কালাবাবা যোগসিদ্ধাশ্রমে এ উৎসবের আয়োজন করা হবে। আজ ভোরে পবিত্র চণ্ডীপাঠ, সকালে গীতাপাঠ ও পুষ্পযজ্ঞ এবং দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করে উৎসবটি পালন করা হবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু, সন্ন্যাসী ও স্বামীজির ভক্ত সেখানে উপস্থিত থাকবেন। শুভ আবির্ভাব উৎসবে পৌরহিত্য করবেন আশ্রম অধিপতি শ্রী অজিত বিশ্বাস (পুরী) মহারাজ।
যোগসিদ্ধাশ্রম প্রাঙ্গণের মাঙ্গলিক কর্মসূচি ও স্মৃতিচারণ সভার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর নিত্যানন্দ পুরী মহারাজকে স্মরণ করা হবে। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে নিজ আশ্রমে পরলোকগমন করেন নিত্যানন্দ পুরী। যোগসিদ্ধাশ্রমটিতে ছয় ধর্মের অংশগ্রহণে আন্তঃধর্ম সম্মেলন ও সম্প্রীতি সভার প্রবর্তক তিনি। যেখানে অংশ নিয়ে সম্প্রীতির ও মানবতার কথা বলতেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম, শিখ ও বাহাইয়ের ধর্মগুরু ও প্রজ্ঞাবানরা। নিত্যানন্দ পুরী মহারাজ এ পুণ্যময় রথযাত্রার দিনে রাউজান উপজেলার কোয়াপাড়া গ্রামে আবির্ভূত হন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
পরমহংস সত্যানন্দ মহারাজ ও ১০৮ স্বামী মঙ্গলদাশ মোহন্ত মহারাজ যোগসিদ্ধাশ্রমের প্রয়াত আশ্রমাধ্যক্ষ মহাত্মা স্বামী নিত্যানন্দ পুরী মহারাজের ৭৩তম আবির্ভাব উৎসব আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার শুভদিনে মহাত্মা স্বামী নিত্যানন্দ পুরী মহারাজের শুভ আবির্ভাব দিবসটি পালিত হবে।চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের স্বামী সত্যানন্দ ও মঙ্গলদাস মোহন্ত কালাবাবা যোগসিদ্ধাশ্রমে এ উৎসবের আয়োজন করা হবে। আজ ভোরে পবিত্র চণ্ডীপাঠ, সকালে গীতাপাঠ ও পুষ্পযজ্ঞ এবং দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ করে উৎসবটি পালন করা হবে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাধু, সন্ন্যাসী ও স্বামীজির ভক্ত সেখানে উপস্থিত থাকবেন। শুভ আবির্ভাব উৎসবে পৌরহিত্য করবেন আশ্রম অধিপতি শ্রী অজিত বিশ্বাস (পুরী) মহারাজ।যোগসিদ্ধাশ্রম প্রাঙ্গণের মাঙ্গলিক কর্মসূচি ও স্মৃতিচারণ সভার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর নিত্যানন্দ পুরী মহারাজকে স্মরণ করা হবে। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে নিজ আশ্রমে পরলোকগমন করেন নিত্যানন্দ পুরী। যোগসিদ্ধাশ্রমটিতে ছয় ধর্মের অংশগ্রহণে আন্তঃধর্ম সম্মেলন ও সম্প্রীতি সভার প্রবর্তক তিনি। যেখানে অংশ নিয়ে সম্প্রীতির ও মানবতার কথা বলতেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম, শিখ ও বাহাইয়ের ধর্মগুরু ও প্রজ্ঞাবানরা। নিত্যানন্দ পুরী মহারাজ এ পুণ্যময় রথযাত্রার দিনে রাউজান উপজেলার কোয়াপাড়া গ্রামে আবির্ভূত হন।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সালের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই হিসেবে শুক্রবার (২৭ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে হিজরি নববর্ষ। ফলে আগামী ৬ জুলাই (রোববার) দেশব্যাপী পালিত হবে পবিত্র আশুরা।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।তিনি জানান, চাঁদ দেখা সংক্রান্ত তথ্য দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়সমূহ, আবহাওয়া অধিদফতর এবং মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। এতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে মহররম মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, ওয়াকফ প্রশাসক মো. নূর-ই-আলমসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী মহররম মাসের দশম দিনটি ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। এই দিনটি ইসলামী ঐতিহ্যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ দিনে রোজা পালন করে থাকেন। নবী মুহাম্মদ (সা.) এ দিন রোজা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছিলেন। হাদিস শরিফে এসেছে, আশুরার রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বিগত বছরের ছোটখাটো গুনাহ ক্ষমা করে দেন (মুসলিম, হাদিস: ১১৬২)। অনেক মুসলমান এ দিন এবং তার আগের বা পরের দিন মিলিয়ে দুদিন রোজা পালন করে থাকেন।ভোরের আকাশ/হ.র
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে বুধবার (২৫ জুন) রাত পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৪৬ হাজার ৬০৮ জন দেশে ফিরেছেন।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ২২ হাজার ১৪৯ জন, সৌদি পতাকাবাহী সাউদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ২১ হাজার ২৫ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ৮ হাজার ৪৪১ জন দেশে ফিরেছেন। মোট ১৩৪টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে এখন পর্যন্ত। এর মধ্যে ৫৮টি ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের, ৫৪টি সাউদিয়ার এবং ২২টি ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের।হজ পালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৮ জন বাংলাদেশি সৌদি আরবে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এদের মধ্যে ২৫ জন মক্কায়, ১১ জন মদিনায় এবং জেদ্দা ও আরাফায় ১ জন করে মারা গেছেন।সৌদি আরবের সরকারি হাসপাতালগুলো এ পর্যন্ত ৩০৮ জন বাংলাদেশিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে এখনো ২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই। ভোরের আকাশ/আজাসা
প্রাচীন সভ্যতার সূতিকাগার পশ্চিম এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দেশ ইরান। ভৌগলিক, রাজনৈতিক, শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে যুগে যুগে দেশটি ইসলামী বিশ্বে রেখেছে গৌরবময় ভূমিকা। এই ভূখণ্ডেই জন্ম নিয়েছেন ইতিহাসের অসংখ্য মুসলিম মনীষী, যারা জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্ম, দর্শন, সাহিত্য ও চিকিৎসাবিদ্যায় রেখেছেন যুগান্তকারী অবদান।ইরানে জন্ম নেওয়া খ্যাতিমান মুসলিম মনীষীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— ইমাম গাজালী, মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ, আল-বেরুনী, ওমর খৈয়াম, শেখ সাদী এবং ইবনে সিনা। তাদের সৃষ্টিকর্ম ও চিন্তাভাবনা আজও বিশ্বজুড়ে চর্চিত ও প্রাসঙ্গিক।ইমাম মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজখুরাসানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণকারী এই মনীষী ছিলেন হাদিস শাস্ত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশারদ। সহীহ মুসলিম নামে সুপ্রসিদ্ধ হাদিসগ্রন্থের সংকলক তিনি। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমণ করে তিনি হাদিস সংগ্রহ করেন এবং প্রায় ১৮টি গ্রন্থ রচনা করেন, যদিও বর্তমানে শুধু সহীহ মুসলিমই পাওয়া যায়।ইমাম গাজালী১০৫৮ সালে খোরাসানের তুস নগরীতে জন্ম নেওয়া ইমাম গাজালী ছিলেন প্রখ্যাত দার্শনিক, ফকিহ, সুফি ও যুক্তিবিদ। তিনি প্রায় ৪০০ গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে "এহইয়া উলুমুদ্দীন" ও "তাহাফাতুল ফালাসিফা" অন্যতম। পাশ্চাত্য ও গ্রিক দর্শনের কঠোর সমালোচক তিনি ইসলামি দর্শনকে শুদ্ধ পথে ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এজন্য তাঁকে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।আল-বেরুনী৯৭৩ সালে খাওয়ারিজমে জন্ম নেওয়া আল-বেরুনী ছিলেন বহু প্রতিভার অধিকারী—তিনি ছিলেন গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, ঐতিহাসিক, ভূগোলবিদ, ঔষধতত্ত্ববিদ, দার্শনিক এবং ধর্মতত্ত্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। তিনি প্রায় ১৪৬টি গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে ৯৫টি ছিল জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিত নিয়ে। "কিতাব আল-সায়দালা ফি আল-তিব্ব" তার চিকিৎসাশাস্ত্রভিত্তিক বিখ্যাত বই।ওমর খৈয়াম১০৪৮ সালে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণকারী ওমর খৈয়াম ছিলেন একাধারে কবি, গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ। তিনি ত্রিঘাত সমীকরণের বাস্তব সমাধান এবং দ্বি-পদী রাশিমালার বিস্তার করেন। ইউক্লিডের সমান্তরাল স্বীকার্যের সমালোচনার মাধ্যমে অ-ইউক্লিডীয় জ্যামিতির সূচনা করেন। তার কবিতাও বিশ্বসাহিত্যে সমাদৃত।ইবনে সিনা (আভিসেনা)৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া ইবনে সিনা ছিলেন প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসাবিদ ও দার্শনিক। তার রচিত "কানুন ফিততিব" শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়েছে। এছাড়া "কিতাবুশ শিফা" তার দার্শনিক বিশ্বকোষ। চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন, মনোবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা—সব ক্ষেত্রেই তার অবদান আজও স্মরণীয়।ইরানের এই মনীষীদের অবদান শুধু ইসলামি সভ্যতা নয়, বরং গোটা মানবসভ্যতার জন্য অনন্য সম্পদ। আধুনিক যুগে তাদের সৃষ্ট জ্ঞান এখনো নতুন গবেষণার অনুপ্রেরণা হয়ে রয়ে গেছে।ভোরের আকাশ//হ.র