কলম্বো টেস্টে দুই মাইলফলকের অপেক্ষায় লিটন দাস
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই ম্যাচে দু’টি বড় মাইলফলক স্পর্শের সুযোগ নিয়ে মাঠে নামবেন টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন দাস।
দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে থাকার পাশাপাশি লিটন বাংলাদেশের দশম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫০তম ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করবেন। ২০১৫ সালের জুনে ফতুল্লায় ভারতের বিপক্ষে অভিষেক করা লিটন এখন পর্যন্ত খেলেছেন মোট ৪৯টি টেস্ট। তার ব্যাটিং রেকর্ডও অসাধারণ; ৩৪.২৯ গড়ে করেছেন ২৮৮১ রান, যার মধ্যে আছে ৪টি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফসেঞ্চুরি।
লিটনের আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৫০ বা তার বেশি টেস্ট খেলা ক্রিকেটাররা হলেন— মুশফিকুর রহিম (৯৭), মুমিনুল হক (৭২), সাকিব আল হাসান (৭১), তামিম ইকবাল (৭০), মোহাম্মদ আশরাফুল (৬১), তাইজুল ইসলাম (৫৪), মেহেদি হাসান মিরাজ (৫৩), হাবিবুল বাশার (৫০) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫০)।
তবে লিটনের আরেকটি মাইলফলক স্পর্শের সুযোগ রয়েছে—বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটরক্ষক ডিসমিসালের রেকর্ড অর্জন। বর্তমানে মুশফিকুর রহিম ও লিটনের মধ্যে এই রেকর্ড ভাগাভাগি হয়েছে। দু’জনেরই সমান ১১৩টি ডিসমিসাল (৯৮ ক্যাচ ও ১৫ স্টাম্পিং) রয়েছে, তবে লিটনের এই কৃতিত্ব এসেছে মাত্র ৪৯ ম্যাচে, যেখানে মুশফিক খেলেছেন ৯৭টি টেস্ট।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ, যার ৪৪ ম্যাচে ৮৭টি ডিসমিসাল (৭৮ ক্যাচ ও ৯ স্টাম্পিং) রয়েছে। চার নম্বরে আছেন বর্তমান উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান, যিনি ১১ ম্যাচে করেছেন ৩৪টি ডিসমিসাল।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা লিটনের সামনে থাকা এই দুই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আসছে নতুন ফিল্ডিং বিধি। পাওয়ার-প্লে আর নির্দিষ্ট ৬ ওভারে সীমাবদ্ধ থাকছে না। ম্যাচ ছোট হয়ে এলে ইনিংসের মোট বলের আনুমানিক ৩০ শতাংশ সময় থাকবে ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতায়। এই নতুন নিয়মটি প্রথমবারের মতো কার্যকর হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে।এখন পর্যন্ত ২০ ওভারের ম্যাচে শুরুর ৬ ওভারকে ধরা হতো পাওয়ার-প্লে হিসেবে, যেখানে শুধু দুইজন ফিল্ডার বৃত্তের বাইরে থাকতে পারতেন। কিন্তু বৃষ্টি বা অন্যান্য কারণে ম্যাচ ছোট হলে এই ৬ ওভারের নিয়ম ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করত।নতুন নিয়মে, ম্যাচ যত ওভারে গড়ায়, তার প্রায় ৩০ শতাংশ বলের জন্য থাকবে ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতা। আইসিসি মনে করছে, এতে ব্যাট ও বলের লড়াই আরও ভারসাম্যপূর্ণ হবে এবং খেলার প্রতিযোগিতামূলক চরিত্র বজায় থাকবে।এই নিয়মটি প্রথম চালু হয় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা ‘টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট’-এ। সেখানে সফল প্রয়োগের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নিয়মটি আনতে উদ্যোগ নেয় আইসিসি। নতুন ব্যবস্থায় ওভারের মাঝপথে পাওয়ার-প্লে শেষ হলেও খেলায় কোনো জটিলতা দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।আগামী ১০ জুলাই শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই নিয়মের বাস্তব প্রয়োগ দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আইসিসি বেশ কিছু নতুন নিয়ম সংযোজন করেছে ক্রিকেটে। এর মধ্যে রয়েছে টেস্টে স্টপ ক্লক চালু, লালা ব্যবহারে আর বল পরিবর্তনের বাধ্যবাধকতা না থাকা, ডিআরএসে অতিরিক্ত রিভিউয়ের সুযোগ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে পুরো সময়ের জন্য বদলি খেলোয়াড় ব্যবহারের অনুমতি। ভোরের আকাশ/হ.র
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি নানা গুঞ্জন চললেও শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবেই থাকছেন এই পর্তুগিজ তারকা। সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসর তার সঙ্গে আরও দুই বছরের জন্য নতুন চুক্তি করেছে।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে রোনালদোর সঙ্গে নতুন চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি।২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে রোনালদো প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে আল নাসরের সঙ্গে প্রথম চুক্তি করেন, যার মেয়াদ ছিল চলতি জুন পর্যন্ত। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেটি নবায়ন করল ক্লাবটি।গত মাসে আল ফাতেহর বিপক্ষে পরাজয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদোর এক পোস্ট ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এই অধ্যায় শেষ। তবে গল্প এখনও বাকি।’ এরপর থেকেই অনেকে মনে করেছিলেন, রোনালদো হয়তো সৌদি অধ্যায় শেষ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও আল নাসরেই নতুন করে পথচলা শুরু করছেন তিনি।নতুন চুক্তি নিয়ে রোনালদোও তার অনুভূতি জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, "একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো। আবেগ-স্বপ্ন একই। চলো একসঙ্গে ইতিহাস গড়ি।" ভোরের আকাশ/হ.র
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে আরও একটি ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ৪৫৮ রানের বিপরীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৪৭ রান করা বাংলাদেশের সামনে পাহাড়সম চাপ। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ৬ উইকেটে ১১৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে টাইগাররা। শুধু চাপ নয়, বাস্তবতাও ভয়াবহ। লঙ্কানদের প্রথম ইনিংস থেকে এখনও ৯৬ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ, হাতে আছে মাত্র চারটি উইকেট। ক্রিজে আছেন লিটন দাস ১৩ রানে ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১১ রানে অপরাজিত। এমন পরিস্থিতিতে চতুর্থ দিনে মাঠে নামবে বাংলাদেশ মনে প্রশ্ন, কতক্ষণ প্রতিরোধ গড়তে পারবে তারা?দৃঢ় শুরু থেকে ছন্নছাড়া শেষ লঙ্কানদের : শুক্রবার সকালটা শুরু হয় বাংলাদেশের জন্য আশার আলো হয়ে। দ্বিতীয় দিনে ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা। আগের দিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করা পাথুম নিশাঙ্কা ১৫৮ রান করে ফিরে যান তাইজুল ইসলামের বলে। আগের ইনিংসেই তার ছিল ১৮৭ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। এবারও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দলকে এনে দেন শক্ত ভিত। সকালের প্রথম সেশনে নাইটওয়াচম্যান প্রবাথ জায়াসুরিয়া ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে তুলে নেয় বাংলাদেশ। ধনাঞ্জয়া মাত্র ৭ রান করে ফিরে যান, জায়াসুরিয়া থামেন ১০ রানে। এরপর কামিন্দু মেন্ডিস ৩৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান নাঈম হাসানের বলে। তবে দিনের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে। লোয়ার অর্ডারের সঙ্গে ব্যাট করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাত্র ৮৭ বলে ৮৪ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। তবে সম্ভাব্য শতক হাতছাড়া হয় রানআউটের কারণে। কুশলের বিদায়ের পর আর টিকতে পারেনি লঙ্কান টেলেন্ডাররা। ৪৫৮ রানে থামে ইনিংস। তাইজুল ইসলাম দারুণ বল করেছেন। ৪২.৫ ওভারে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৭তম ফাইফার তুলে নেন। দেশের বাইরে এটি তার পঞ্চম বার ৫ উইকেট এই তালিকায় তিনি এখন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে।আবারও পুরনো চিত্র, ভেঙে পড়া ব্যাটিং : প্রথম ইনিংসে বড় ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা দৃঢ়তা আশা করছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম ফিরেন যথাক্রমে ১৯ ও ১২ রানে। দ্রুত ফিরে যান মুমিনুল হকও তার সংগ্রহ ১৫ রান। এরপর একটু স্থিতি আনেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু শান্ত ১৯ রানে ফেরেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে। ২৬ রান করে মুশফিকও ফিরে গেলে ১০০ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দিনের একেবারে শেষে ফেরেন মেহেদী মিরাজ (১৫), আর তখনই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করা হয়। ক্রিজে আছেন লিটন দাস, যিনি এদিনও শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩ রানে অপরাজিত থেকে তিনি চতুর্থ দিন শুরু করবেন।অপ্রতিরোধ্য লঙ্কানরা, হতাশ বাংলাদেশ : শ্রীলঙ্কার বোলাররা দ্বিতীয় ইনিংসেও নিখুঁত লাইন-লেংথে আক্রমণ চালিয়ে গেছেন। প্রভাব বিস্তার করেছেন স্পিনার প্রবাথ জায়াসুরিয়া ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। পাশাপাশি থারিন্ডু ফার্নান্দো ও আসিথা ফার্নান্দো ঠিক সময়ে উইকেট এনে দিয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যর্থতা চোখে পড়েছে। টপ অর্ডার একের পর এক ভুল শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। উইকেট স্বাভাবিক, বল খুব একটা ঘুরছিল না। তারপরও এমন আত্মবিশ্বাসহীন ব্যাটিং হতাশ করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।ফলো-অন এড়াতে দরকার ৯৬, চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার : চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্পষ্ট সমীকরণ প্রথমে বাকি ৯৬ রান করে ফলো-অন এড়ানো, এরপর ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই। হাতে আছে চার উইকেট, তার মধ্যে একটি আবার টেলএন্ডার। ব্যাটিংয়ের যা অবস্থা, তাতে করে ইনিংস হার যেন সময়ের অপেক্ষা! এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো শুধু কঠিন নয়, প্রায় অসম্ভব। কলম্বোতে আবারও ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেলে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে টানা দ্বিতীয় টেস্টে একই চিত্রই দেখতে হবে বাংলাদেশকে পরাজিত, নতজানু ও আত্মবিশ্বাসহীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম দুর্ভাগ্যজনক এক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাত ভেঙে গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বেকহ্যামের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম। ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। যেখানে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন বেকহ্যাম। তার ডান হাত স্লিং পাউচে বাঁধা, পরনে হাসপাতালের গাউন। সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে চিকিৎসা-সহায়ক যন্ত্রপাতিও।ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো, ড্যাডি। তার আরেকটি পোস্টে বেকহ্যামের হাতে থাকা একটি ব্রেসলেট চোখে পড়ে, যার পুঁতিতে লেখা, শিগগির সুস্থ হয়ে ওঠো। মাত্র কদিন আগেই ‘নাইটহুড’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন বেকহ্যাম।তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বা তার চোট কতটা গুরুতর—সেসব বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি বেকহ্যাম দম্পতি বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফুটবলপ্রেমীরা দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন জনপ্রিয় এই তারকার জন্য।উল্লেখ্য, ডেভিড বেকহ্যাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান ও পিএসজির মতো ক্লাবে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে জাতীয় দলে খেলেছেন ১১৫ ম্যাচ, করেছেন ১৭ গোল। ভোরের আকাশ/জাআ