ছবি: সংগৃহীত
এশিয়া কাপে তিনবারই পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। আজ (৫ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং পাকিস্তান। এবার নারী বিশ্বকাপে।
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান প্রথম ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশের কাছে। নারী ক্রিকেটে একদিনের ফরম্যাটে অতীতে কোনওদিন পাকিস্তান হারাতে পারেনি ভারতকে। বিশ্বকাপে তারা যে দল নিয়ে এসেছে এবং যে ফর্মে রয়েছে, তাতে এবারও পাকিস্তানের তুলনায় ভারত শক্তিশালী, ফেবারিট।
তবে ফল যাই হোক, ম্যাচ শুরুর আগেই একটা বিতর্ক সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। কারণ, মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হ্যান্ডশেক বিতর্ক ও বৃষ্টির আশঙ্কা। কারণ, ভারতীয়রা জানিয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে তারা হ্যান্ডশেক করবে না। যদিও মাঠের খেলা ভারত লক্ষ্য রাখছে তাদের অপরাজিত ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দিকে।
দুই দল এখন পর্যন্ত ১১টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে এবং প্রতিবারই জয় পেয়েছে ভারত। প্রতিটি ম্যাচেই ভারত জিতেছে কমপক্ষে ৮০ রানে বা ৫ উইকেটের ব্যবধানে— অর্থাৎ পাকিস্তান একবারও জয়ের কাছাকাছি যেতে পারেনি।
শেষবার যখন দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপে, ভারতের জয়ের পর দেখা গিয়েছিল এক সুন্দর দৃশ্য- ভারতের খেলোয়াড়রা মেতে উঠেছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বিসমা মারুফের ছয় মাসের কন্যা শিশুকে নিয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা পেরিয়ে, সেটি ছিল এক মানবিক মুহূর্ত যা এখনো অনেকে মনে রেখেছেন।
ভারতীয় দল শুরু করেছে দুর্দান্তভাবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অমানজোত কৌর ও দীপতি শর্মার লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং দলকে জয়ের পথে নিয়ে যায়। স্পিন আক্রমণে স্নেহ রানা, শ্রী চরনি এবং দীপতি শর্মা দারুণ ছন্দে আছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। ব্যাটিং লাইনআপ এখনও দুর্বল। তবে সিদরা আমিন ও মুনীবা আলি সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ফর্মে আছেন। সিদরা শেষ তিন সপ্তাহে ১২১*, ১২২ ও ৫০* করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবুও শ্রীলঙ্কায় তার পারফরম্যান্স ভালো নয়- পাঁচ ইনিংসে মোটে ২৪ রান।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
প্রতিকা রাওয়াল, স্মৃতি মান্ধানা, হারলিন দিওল, হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা, রিচা ঘোষ (উইকেটরক্ষক), অমানজোত কৌর, স্নেহ রানা, ক্রান্তি গৌদ, শ্রী-চরনি।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ
মুনিবা আলি, ওমাইমা সোহেল, সিদরা আমিন, আলিয়া রিয়াজ, নাটালিয়া পারভেজ, ফাতিমা সানা (অধিনায়ক), রামিন শামিম, ডায়ানা বেগ, সিদরা নবাজ (উইকেটকিপার), নাশরা সান্ধু, সাদিয়া ইকবাল।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল দল। তবে দলের তিনজন কোচিং স্টাফ ভিসা জটিলতায় আজ দলের সঙ্গে যেতে পারেননি।রোববার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ে অর্পিতা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন দলটি। তবে সহকারী কোচ জয়া চাকমা, গোলরক্ষক কোচ ইমন এবং ম্যানেজার মিরোনা ভিসা না পাওয়ায় আপাতত দেশে রয়েছেন।দলটির হেড কোচ ও সব খেলোয়াড়সহ অন্যান্য কর্মকর্তার ভিসা সম্পন্ন হলেও, এই তিনজনের ভিসা এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায়। যেহেতু রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছুটির দিন, তাই আজ ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না।সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল বা পরশু (৬ বা ৭ অক্টোবর) তারা আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।এর আগে ক্রিকেটার সৌম্য সরকারও আফগানিস্তান সিরিজে ভিসা জটিলতার কারণে দলে থেকেও যেতে পারেননি, যা ক্রীড়া অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।আগামী ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর জর্ডানে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী টুর্নামেন্টের বাছাই পর্ব। মূল লড়াইয়ের আগে প্রস্তুতি হিসেবে বাংলাদেশ দল দুবাইয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে—৭ অক্টোবর সিরিয়ার বিপক্ষে৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেএই দুটি ম্যাচ শেষে ১০ অক্টোবর জর্ডান রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। বাফুফে জানিয়েছে, বয়সভিত্তিক নারী দলের বিদেশে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন এবারই দীর্ঘ বিরতির পর সম্ভব হয়েছে।জর্ডানে বাছাইপর্বে বি গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৩ অক্টোবর স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ, ১৭ অক্টোবর দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে।তিন দলের এই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দলই পরবর্তী বছর মূল পর্বে জায়গা পাবে।উল্লেখ্য, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল।ভোরের আকাশ//হর
চিলিতে চলছে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ, আর সেখানে জয়ের ধারা ধরে রেখে দুর্দান্তভাবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ডি গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী পর্বে উঠেছে।রোববার (৫ অক্টোবর) ভোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায় আলবিসেলেস্তে যুবারা। পুরো ম্যাচে ৬১ শতাংশ বল দখলে রেখে তারা নেয় ১৩টি শট, যদিও লক্ষ্যে ছিল মাত্র একটি—আর সেই একটিই এনে দেয় জয়ের গোল।৭৪তম মিনিটে আনদ্রাদার নিখুঁত পাস থেকে ডিফেন্ডার ডিলান তমাস গোরোসিতো গোলটি করেন, যা ম্যাচের একমাত্র ব্যবধান গড়ে দেয়।এর আগে ইতালি একটি গোল করলেও ভিএআরে ফাউলের কারণে তা বাতিল করে দেন রেফারি। ফলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা, তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে যায় তারা।অন্যদিকে একই দিনে হতাশার খবর আসে ব্রাজিল শিবিরে। প্রথম দুই ম্যাচে মেক্সিকোর সঙ্গে ড্র ও মরক্কোর বিপক্ষে হারের পর স্পেনের বিপক্ষে জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হতো সেলেসাও যুবাদের জন্য।কিন্তু লড়াই করেও গোলের দেখা মেলেনি তাদের। অষ্টম মিনিটে জোয়াও ক্রুজের দারুণ ভলি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পুরো ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও স্পেনের গোলরক্ষক ফ্রান গঞ্জালেজকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল।৪৭তম মিনিটে পাবলো গার্সিয়ার পাস থেকে ইকার ব্রাভো স্পেনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন। পরের সময়টা ব্রাজিলের মরিয়া চেষ্টায় কেটেছে, কিন্তু গোল শোধ করতে পারেনি তারা।ফলে ৩ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে সি গ্রুপের তলানিতে থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২০ দল।ভোরের আকাশ//হর
শারজাহর মরুভূমির তপ্ত আবহে জ্বলে উঠল লাল-সবুজের আগুন! সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। রোববার তৃতীয় ম্যাচে ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা—কিন্তু সেই আনুষ্ঠানিকতাই হয়ে উঠল ঐতিহাসিক। সাইফ হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিং তাণ্ডবে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে আফগানিস্তান। ৪০ রানের মধ্যেই হারায় শীর্ষ তিন উইকেট। মাঝের দিকে দারউইশ রাসুলি (৩২) ও সিদ্দিকুল্লাহ আতাল (২৮) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও নাসুম আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বোলিং ঝড়ে টিকতে পারেনি তারা। শেষ দিকে মুজিব উর রহমান ১৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ এনে দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ১৪৩/৯ রানে।বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাইফউদ্দিন—৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব নিয়েছেন ২টি করে, আর শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন পেয়েছেন একটি করে উইকেট।১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। পারভেজ ইমন (১৪) দ্রুত ফিরলেও তানজিদ হাসান (৩৩) ও সাইফ হাসান ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত মজবুত করেন। মাঝপথে মুজিব উর রহমানের এক ওভারে জাকের আলি (১০) ও শামিম হোসেন (০) দ্রুত আউট হয়ে কিছুটা চাপ তৈরি হলেও সাইফ ছিলেন দৃঢ়।টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক পূর্ণ করে ৩৫ বলে ৬৪ রানের ঝলমলে ইনিংসে ম্যাচ শেষ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান (১০ অপরাজিত)।বাংলাদেশ জয় তুলে নেয় ১২ বল হাতে রেখে, ৬ উইকেট বাকি থাকতেই।৩ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এই হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায় যোগ করল। সাইফ হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও বোলারদের নিখুঁত নিয়ন্ত্রণে শারজাহর এই রাতটা রইল সম্পূর্ণভাবে টাইগারদের নামে।ভোরের আকাশ//হ.র
এশিয়া কাপের ‘নো হ্যান্ডশেক’ বিতর্কের দেখা মিলল নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। টস শেষে ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর পাকিস্তানের অধিনায়ক ফতিমা সানার সঙ্গে হাত মেলাননি।এশিয়া কাপে ‘নো হ্যান্ডশেক’ বিতর্কের কারণে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ বেড়েছিল। ভারতের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সূর্যকুমার যাদবের মতো হারমনপ্রিতও এদিন এড়িয়ে যান পাক অধিনায়ককে।টসের জন্য অনেকক্ষণ দুই অধিনায়ক পাশাপাশি দাঁড়ালেও পাক অধিনায়ক ফাতিমার দিকে তাকাতে দেখা যায়নি ভারতের অধিনায়ক হারমনপ্রিতকে।তবে মাঠের কোনও একটি বিষয়ে দুই অধিনায়ককেই হাসতে দেখা যায়। সরকারের নির্দেশে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ম্যাচের আগেই হারমনপ্রিতদের পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত না মেলানোর পরামর্শ দিয়েছিল। সে মতেই কাজ করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।তবে এশিয়া কাপের তুলনায় এদিন টসের সময় পরিবেশ ছিল বেশ স্বাভাবিক। কেননা ‘নো হ্যান্ডশেক’ ইস্যুতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আয়োজকরা আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। তাই দু’দলের কোনও অধিনায়ককেই করমর্দনের উদ্যোগও নিতে দেখা যায়নি।পাকিস্তান একাদশমুনিবা আলী, সাদাফ সামস, সিদরা আমিন, রামিন শামীম, আলিয়া রিয়াজ, সিদরা নেওয়াজ, ফাতিমা সানা (অধিনায়ক), নাটালিয়া পারভেজ, ডায়না বেগ, নাসরা সানধু ও সাদিয়া ইকবাল।ভারত একাদশপ্রতিকা রাওয়াল, স্মৃতি মান্দানা, হারলিন দেওল, হারমানপ্রিত কৌর (অধিনায়ক), জেমিমা রড্রিগুয়েজ, দীপ্তি শর্মা, রিচা ঘোষ, স্নেহ রানা, রেনুকা সিং, ক্রান্তি গৌদ ও শ্রী চরনি।ভোরের আকাশ/মো.আ.