ছবি: সংগৃহীত
শেষ দুই ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি ইতালি। তাই আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সেই লক্ষ্যে নিজেদেরই কিংবদন্তি ডিফেন্ডার জেনারো গাত্তুসোর কাঁধে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিতে যাচ্ছে ইতালি। এমনটাই জানিয়েছেন ইতালি দলের ম্যানেজার জিয়ানলুইজি বুফন। ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৬-৪ গোলে হারিয়ে ২০০৬-এ শেষবার বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ইতালিয়ানরা। সেবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তকমা কুড়াতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন বুফন, গাত্তুসো দু’জনই।
২০১৮ রাশিয়া ও ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া ইতালি এবারের বাছাইপর্বেও নিজেদের তেমনভাবে মেলে ধরতে পারছে না। শুরুতেই নরওয়ের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে দলটি। পরের ম্যাচে মালডোভাকে ২-০ গোলে হারায় ইতালিয়ানরা। আরও একটি বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকার শঙ্কায় বরখাস্ত করা হয় কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তিকে।
শনিবার অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইতালির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ‘রাই’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের সাবেক সতীর্থের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দেয়ার কথা জানান বুফন।
ইতালির এই কিংবদন্তি গোলকিপার বলেন, আমরা কাজ সম্পন্ন করেছি, এখন শুধু চূড়ান্ত কিছু বিষয়ের অপেক্ষা। সভাপতি ও পুরো ফেডারেশন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। তবে আমি মনে করি, শেষ পর্যন্ত আমরা সেরা সিদ্ধান্তই নিয়েছি। যদিও স্পালেত্তিকে বরখাস্তের পর ইতালির প্রথম পছন্দের ছিলেন ক্লদিও রানিয়েরি। কিন্তু ইতিমধ্যে এই ৭৩ বছর বয়সী ইতালিয়ান কোচ স্বদেশি ক্লাব রোমার বিশেষ পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং কোচিং থেকে অবসর নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের পর বুটজোড়া তুলে রাখা জেনারো গাত্তুসোর কোচিং অধ্যায় শুরু হয় তিন বছর পর, সুইস ক্লাব সিয়নের প্লেয়ার-কোচ হিসেবে। সেখানে তার স্থায়িত্বকাল ছিল স্রেফ ১ মাস ও ৩ ম্যাচ। কোচ গাত্তুসর একমাত্র ট্রফি আসে ২০২০-এ, নাপোলিকে ইতালিয়ান কাপ জেতানোর মাধ্যমে। ইতালির পরবর্তী মিশন ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দু’টি ম্যাচ। আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে ও ৮ই সেপ্টেম্বর ইসরাইলের বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে মাঠে নামবে আজ্জুরিরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি আয় করছে, যার বড় অংশই আসছে আইপিএল থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোর্ডের মোট আয়ের ৫৯.১০ শতাংশই এসেছে এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের এ বছরের মোট আয় ৯,৭৪২ কোটি রুপি, যার মধ্যে শুধু আইপিএল থেকেই এসেছে ৫,৭৬১ কোটি রুপি।এছাড়া, নারী আইপিএল (ডব্লিউপিএল), আন্তর্জাতিক ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব এবং বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকেও বোর্ডের আয় হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি রুপি এবং আইসিসি থেকে এসেছে ১,০৪২ কোটি রুপি—যা মোট আয়ের প্রায় ১০.৭০ শতাংশ।বোর্ডের আর্থিক ভিত্তিও অত্যন্ত শক্তিশালী। বিসিসিআইয়ের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি রুপি, যেখান থেকে সুদের মাধ্যমে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি আয় হয়।অর্থনীতিবিদদের ধারণা, আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। ফলে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এখন কেবল বোর্ডের নয়, বরং গোটা ক্রিকেট অর্থনীতির জন্যই একটি নির্ভরযোগ্য স্তম্ভে পরিণত হয়েছে। আইসিসির অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাও দিন দিন বাড়ছে ভারতীয় বোর্ডের ওপর। ভোরের আকাশ/হ.র
ম্যাক্স সিক্সটি টি-টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আবারও অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার ব্যাট-বলের নৈপুণ্যে গ্র্যান্ড কেম্যান ফেলকন্সকে ১৩ রানে হারিয়েছে মায়ামি ব্লেজার্স।জিমি পাওয়েল ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তোলে মায়ামি ব্লেজার্স। জবাবে খেলতে নেমে ফেলকন্স ১০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে থামে ৯৭ রানে।দলের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ১১ বলে ২৯ রান করেন সাকিব। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। মালিন্দা পুষ্পাকুমারার এক ডেলিভারিতে লং-অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও দলকে ভালো শুরু এনে দেন সাকিব।এরপর অ্যাঞ্জেলো পেরেরা ২২ বলে ৪৫ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন। ফলে নির্ধারিত ওভারে মায়ামির স্কোর দাঁড়ায় ১১০।বোলিংয়েও দুর্দান্ত ছিল মায়ামি। শিহান জয়াসুরিয়া ৩ উইকেট নেন মাত্র ১৮ রানে। সাকিব ২ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে ম্যাচের অন্যতম নায়ক ছিলেন সাকিব। তার অলরাউন্ড কীর্তিতে মায়ামি ব্লেজার্স তুলে নেয় গুরুত্বপূর্ণ জয়।ভোরের আকাশ/হ.র
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নানারকম অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে। কখনো দুই অর্ধ দুই মাঠে খেলা, কখনো মাঝপথে ভেন্যু পরিবর্তন। এবার সেই তালিকায় যোগ হলো ফুটবলারদের বড় শাস্তির খবর।বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার মোসাম্মৎ সাগরিকা সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। একই সঙ্গে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানও লাল কার্ড পান। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, লাল কার্ডের শাস্তি এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা। তবে ম্যাচ রেফারি ও কমিশনারের রিপোর্টের ভিত্তিতে সাফ উভয় ফুটবলারের নিষেধাজ্ঞা তিন ম্যাচে বাড়িয়েছে। পাশাপাশি দুজনকেই ৫০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।গতকাল সাফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা বরাবর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।এ ধরনের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে এত বড় শাস্তি দেখে বিস্মিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যদিও আপিল করার সুযোগ থাকলেও বাফুফে সেই পথে হাঁটছে না, কারণ আপিলের জন্য বাড়তি অর্থ জমা দিতে হবে। জরিমানার অর্থ শেষ পর্যন্ত বাফুফেকেই পরিশোধ করতে হবে। স্বাগতিক হিসেবে সাফ থেকে যে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে বাফুফে, সেখান থেকেই হয়তো জরিমানার টাকা সমন্বয় করা হবে।আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভুটান। এই ম্যাচসহ সাগরিকাকে পরবর্তী ম্যাচ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী ২১ জুলাই নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচ হতে পারে টুর্নামেন্টের অলিখিত ফাইনাল। সেই ম্যাচে ফিরবেন সাগরিকা।বাফুফের মতে, নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানই প্রথম উত্তেজনার সূত্রপাত করেন। এরপরও সাগরিকার সমান শাস্তি পাওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বাফুফে কিছুটা হতাশ। ভোরের আকাশ/হ.র
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। আজ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিক দল ভুটানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে।বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত ভেন্যু পরিবর্তন করে কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই ম্যাচ।চার ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। সমান ম্যাচে নেপাল ৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। পরবর্তী ম্যাচে উভয় দল জয় পেলে ২১ জুলাইয়ের বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ হয়ে উঠবে অলিখিত ফাইনাল।আজকের ম্যাচে প্রথমার্ধেই ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। খেলার নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভুটান সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে। যদিও বাংলাদেশ একটি পেনাল্টি মিস করে, তবু শেষ দিকে আরও দুই গোল যোগ করে সহজ জয় নিশ্চিত করে।এর আগে গত ম্যাচেও ভুটানকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের প্রথমার্ধ কিংস অ্যারেনোয় ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়ার্ধে ভুটান সমতা আনলেও, শান্তি মারডির হ্যাটট্রিকে শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।ভোরের আকাশ/হ.র