ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০২:০৭ পিএম
দ্বিতীয়বার প্রোগ্রাম করা যায়, এমন মস্তিষ্কের কোষ তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা
মানব দেহের সবচেয়ে জটিল অঙ্গ মস্তিষ্ক। মানুষের মস্তিষ্কের রহস্য ও ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও অজানা অনেক কিছু। এই অজানাকে জানতে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেই গোলকধাঁধায় পথ খোঁজার চেষ্টায় কয়েক‘শ বিজ্ঞানী মিলে মানব মস্তিষ্কের ‘মানচিত্র’ তৈরি করেছেন এই খবর ও পুরনো। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মানব-মস্তিষ্কের কোষকে কীভাবে আবার প্রোগ্রাম করা যায়, এমন মস্তিষ্কের কোষ তৈরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভিনের বিজ্ঞানীরা।
এই কোষের মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের মধ্যে আলঝেইমার চিকিৎসায় নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এসব কোষ মস্তিষ্কের রোগাক্রান্ত কোষের অবস্থা শনাক্ত করতে পারে এবং সেগুলো পরিষ্কার করতে পারে। আপাতত বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের স্মৃতি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে পারে, এমন কোষ নিয়ে পরীক্ষা করছেন। আবার প্রোগ্রাম করা কোষ সুস্থ টিস্যুর ক্ষতি না করেই মস্তিষ্কের ত্রুটি বা রোগ সারাতে সক্ষম। নতুন কোষ মস্তিষ্কের প্রদাহ কমিয়ে ইঁদুরের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করেছে। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ক্যানসার, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ও বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
আলঝেইমারস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭০ লাখ আলঝেইমারের রোগী রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত চিকিৎসা শুধু উপসর্গকে ধীর করতে পারে। আর তাই চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও নতুন পদ্ধতি আপাতত ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মূলত মাইক্রোগ্লিয়া তৈরির একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন, যা মস্তিষ্কের অবস্থাকে আরও খারাপ করে না। কৃত্রিম ওষুধ বা ভাইরাল ভেক্টর ব্যবহার করার পরিবর্তে মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধক কোষকে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রক্রিয়া মানুষের ওপর পরীক্ষা করতে প্রায় তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
ভোরের আকাশ/এসআই
ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১ দিন আগে
আপডেট : ১ দিন আগে
দ্বিতীয়বার প্রোগ্রাম করা যায়, এমন মস্তিষ্কের কোষ তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা
মানব দেহের সবচেয়ে জটিল অঙ্গ মস্তিষ্ক। মানুষের মস্তিষ্কের রহস্য ও ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও অজানা অনেক কিছু। এই অজানাকে জানতে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেই গোলকধাঁধায় পথ খোঁজার চেষ্টায় কয়েক‘শ বিজ্ঞানী মিলে মানব মস্তিষ্কের ‘মানচিত্র’ তৈরি করেছেন এই খবর ও পুরনো। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মানব-মস্তিষ্কের কোষকে কীভাবে আবার প্রোগ্রাম করা যায়, এমন মস্তিষ্কের কোষ তৈরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, আরভিনের বিজ্ঞানীরা।
এই কোষের মাধ্যমে মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের মধ্যে আলঝেইমার চিকিৎসায় নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, এসব কোষ মস্তিষ্কের রোগাক্রান্ত কোষের অবস্থা শনাক্ত করতে পারে এবং সেগুলো পরিষ্কার করতে পারে। আপাতত বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের স্মৃতি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে পারে, এমন কোষ নিয়ে পরীক্ষা করছেন। আবার প্রোগ্রাম করা কোষ সুস্থ টিস্যুর ক্ষতি না করেই মস্তিষ্কের ত্রুটি বা রোগ সারাতে সক্ষম। নতুন কোষ মস্তিষ্কের প্রদাহ কমিয়ে ইঁদুরের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করেছে। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে মস্তিষ্কের ক্যানসার, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ও বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
আলঝেইমারস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭০ লাখ আলঝেইমারের রোগী রয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত চিকিৎসা শুধু উপসর্গকে ধীর করতে পারে। আর তাই চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও নতুন পদ্ধতি আপাতত ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মূলত মাইক্রোগ্লিয়া তৈরির একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন, যা মস্তিষ্কের অবস্থাকে আরও খারাপ করে না। কৃত্রিম ওষুধ বা ভাইরাল ভেক্টর ব্যবহার করার পরিবর্তে মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধক কোষকে ব্যবহার করতে চান বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রক্রিয়া মানুষের ওপর পরীক্ষা করতে প্রায় তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
ভোরের আকাশ/এসআই