ছয় দেশকে হুমকি ইরানের, ভয়াবহ যুদ্ধের আশঙ্কা
আমেরিকা ও ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে এবার মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করেছে ইরান।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়, এসব দেশ যদি মার্কিন সামরিক অভিযানে সহায়তা করে, বিশেষ করে নিজেদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেয়- তাহলে তাদেরকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশের মধ্যে ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযানের হুমকি দেওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া এসেছে। এ পরিস্থিতিতে ইরান সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করেছে এবং নিজেদের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান দৃঢ় করেছে। এতে করে পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আরব উপসাগরীয় দেশগুলো এখন এক জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে।
একদিকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, অপরদিকে মার্কিন হামলায় সহায়তা দিলে ইরানের প্রতিশোধের ঝুঁকিও আছে। এই অঞ্চল বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এখানকার প্রতিটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চীনের সাবেক কৃষিমন্ত্রী তাং রেনজিয়ানকে ঘুষের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশের চ্যাংচুন ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্ট এ রায় ঘোষণা করে। তবে তার সাজা দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।রায়ে বলা হয়, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন পদে থাকাকালীন তাং রেনজিয়ান নগদ অর্থ ও সম্পত্তি মিলিয়ে মোট ২৬ কোটি ৮০ লাখ ইউয়ান (প্রায় ৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলার) ঘুষ গ্রহণ করেছেন। জিলিনের চ্যাংচুন ইন্টারমিডিয়েট পিপলস আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর তা আগামী দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছেন।আদালত জানিয়েছে, নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় তাংয়ের সাজা কার্যকর দুই বছর স্থগিত থাকবে। গত বছরের নভেম্বরে চীনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি তাংকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এর ছয় মাস আগে তিনি দুর্নীতিবিরোধী নজরদারি সংস্থার তদন্তের আওতায় আসেন এবং সব ধরনের পদ থেকে অপসারিত হন। দেশটির সাবেক কৃষিমন্ত্রী তাংয়ের বিরুদ্ধে দ্রুতগতিতে তদন্ত শেষ করা হয়। এর আগে, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফু এবং তার পূর্বসূরি ওয়েই ফেংহের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২০ সালে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। দেশটির পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি প্রসিকিউটর এবং বিচারকদেরকে জনগণের কাছে একেবারে বিশ্বস্ত, পবিত্র ও নির্ভরযোগ্য হওয়ার কঠোরতম নির্দেশ দেন তিনি। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশের গভর্নর ছিলেন তাং। পরে তিনি কৃষি ও গ্রামীণ কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারতের তামিলনাড়ুতে অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া থালাপতি বিজয়ের সমাবেশস্থলে পদদলিত হয়ে হতাহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এমনটাই জানিয়েছে বিজয়ের দল- তামিলাগা ভেট্ট্রি কাজহাগম বা টিভিকে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে পদদলিত হয়ে নিহত ৩৯ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রায় ১০০ জন আহতদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন টিভিকে প্রধান থালাপতি বিজয়।পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, থালাপতি বিজয় জনসভার মঞ্চে আসার পর তাকে কাছ থেকে দেখতে গিয়ে মঞ্চের ব্যারিকেডের দিকে চলে আসেন মানুষ। ওই সময় দমবন্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অনেকে জ্ঞান হারান। এরপরই পদদলনের ঘটনা ঘটে। জনসভায় ৩০ হাজার মানুষ জড়ো হবেন বলে ধারণা করা হলেও সেখানে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ জড়ো হয়ে যান। যা বাড়তি চাপ ফেলে সমাবেশস্থলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৮টার দিকে বিপুলসংখ্যক লোক থালাপতি বিজয়কে একনজর দেখার জন্য মঞ্চের ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে যান। ওই সময় ঘটনার সূত্রপাত। লোকজন হুড়োহুড়ি করে সামনে যাওয়ার সময় অনেকেই অচেতন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় শিশুরা পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উপস্থিত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকেরা পরিস্থিতি সামলানোর আগেই অনেকে পদদলিত হন।স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঞ্চের চারপাশে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা ছিল না। ফলে বিজয়কে একনজর দেখার জন্য মানুষ যখন সামনে এগোতে থাকে, তখন অতিরিক্ত চাপে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, মূলত থালাপতি বিজয়ের গতকালের জনসভায় যে সময় আসার কথা ছিল তার সাত ঘণ্টা পর তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। তার দেরির কারণে মানুষের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একটা সময় সেখানে মানুষের মধ্যে গাদাগাদি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরপরই ঘটে যায় ভয়াবহ এ ঘটনা। নিহতের সংখ্যা ৩৯ থেকে বেড়ে আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার অস্ত্র বাণিজ্য নেটওয়ার্ক, এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত দুই দেশের দুই সরকারি কোম্পানি এবং দুই কোম্পানির মোট ৫ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অস্ত্র বাণিজ্যের পুরো প্রক্রিয়াটি চলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড এবং কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন (কোমিড)— এই দুই কোম্পানির মধ্যে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড, সেটির পরিচালক অউং কো কো উ , দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কিয়াও থু মিয়ো মিন্ত ও তিন মিও অউং এবং কোমিডের উপপরিচালক কিম ইয়ং জু ও কর্মকর্তা ন্যাম চোল উং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মিয়ানমারের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ, অস্ত্রের ফরমায়েশ নেওয়া, চালান পাঠানো এবং অস্ত্র বিক্রয়ের অর্থ উত্তর কোরিয়ার সরকার ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করতেন কোমিডের দুই কর্মকর্তা।উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে কয়েক বছর আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জন হার্লে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উৎপাদন ও বাণিজ্য নেটওয়ার্ক অবৈধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জন্য সরাসরি হুমকি।”ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানতে উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু দুই দেশের কোনো কর্মকর্তাই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্র : রয়টার্সভোরের আকাশ/মো.আ.
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ২১টি পয়েন্ট সম্বলিত সেই পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার আরব নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে তিনিসহ ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েক জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে উইটকফ বলেন, “বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি আমরা। বৈঠকে আরব নেতাদের সামনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ২১ পয়েন্টের পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা মনে করি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হলে একদিকে গাজায় সহিংসতা বন্ধ হবে, অন্যদিকে ইসরায়েল এবং তার সমস্ত প্রতিবেশীর উদ্বেগের সমাধান হবে।”“আমরা আশা করছি, এমনকি আমি নিজে এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা যে কোনো ধরনের অগ্রগতি ঘোষণা করতে পারব।”ট্রাম্পের ২১ পয়েন্টের পরিকল্পনার কয়েকটি পয়েন্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেমন, গাজায় বন্দি সব জিম্মির অনতিবিলম্বে মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজার প্রশাসনকে হামাস এবং হামাসের প্রভাবমুক্ত করা এবং পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার।ট্রাম্পের সঙ্গে আরব-মুসলিম নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত কয়েক জন মার্কিন ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিএনএন। তারা বলেছেন, আরবের নেতারা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। পাশাপাশি তারা আরও কয়েকটি পয়েন্ট যোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন। সেগুলো হলো— পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধ করা, জেরুজালেমের বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখা, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং সেখানে বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি, গাজায় ত্রাণের প্রবেশ অবাধ রাখা প্রভৃতি।“একটি অসাধারণ এবং খুবই কার্যকর বৈঠক করেছি আমরা”, সিএনএনকে বলেছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক কূটনীতিক।প্রসঙ্গত, সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বৈশ্বিক সম্মেলনে হয়েছে। সম্মেলনের মূল আয়োজক ছিল ফ্রান্স এবং সৌদি আরব। সেই সম্মেলনের আবহেই আরবের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র : সিএনএনভোরের আকাশ/মো.আ.