ছবি: ভোরের আকাশ
বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ও জামায়াত মনোনীত বরগুনা ২ আসনার সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. সুলতান আহমেদের সহযোগীতায় দিনব্যাপী চক্ষু ক্যাম্পে ৮০০ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। এসময় চোখের ছানি অপারেশনের লক্ষ্যে বাছাইকৃত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করা হয়।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় পৌরসভার সালেহীয়া মহিলা মাদরাসা প্রাঙ্গনে পৌরসভা থেকে আগত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের চক্ষু পরীক্ষা করে ব্যবস্থাপত্র, বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধপত্র প্রদান করেন।
বেতাগী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দারুল ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেতাগী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, পৌর জামায়াতের সভাপতি আবদুল বারেক বিশ্বাস, সহ সভাপতি, হাফেজ মাহবুবুর রহমান, হাফেজ সাইদুর রহমান দুলাল, পৌর সেক্রেটারি মোল্লা মাসুম বিল্লাহ, শিবির সভাপতি বশির উদ্দিন প্রমুখ।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৫৪ বছরে কখনো রাষ্ট্র পরিচালনায় আসেনি। কিন্তু তারপরও সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত সময় বেতাগী উপজেলার যেকোন দূর্যোগ পরিস্থিতিতেও অন্য সকল রাজনৈতিক দলের চেয়ে জামায়াতে ইসলামী বেশি মানুষের সহযোগীতায় কাজ করেছে। আগামীতে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বৃহৎ পরিসরে জনগনের সেবা করার সুযোগ তৈরী হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী কৈতুরীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী হানিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে কৈতুরীর মৃত্যু হয়। নিহত কৈতুরীর সাত মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘাতক হানিফ কালমেঘা ইউনিয়নের কালিবাড়ী এলাকার চান মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন চা বিক্রেতা এবং অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। নিহত কৈতুরী চরদুয়ানী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া এলাকার মোহাম্মদ মজিবুর রহমানের মেয়ে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে কৈতুরী ও হানিফের পরিচয় ঘটে। পরবর্তীতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের আপত্তি থাকলেও কৈতুরীর জেদের কারণে বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম বছর সংসার স্বাভাবিক থাকলেও কন্যা সন্তানের জন্মের পর হানিফ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন এবং টাকার জন্য স্ত্রীর কাছে নিয়মিত যৌতুক দাবি করতে থাকেন। যৌতুক না পেয়ে তিনি স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। প্রতিবেশীরা একাধিকবার বাধা দিলেও হানিফ থামেননি। সংসার ভাঙনের ভয়ে কৈতুরীও পরিবারকে কিছু জানাননি।গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও নির্মম নির্যাতনের শিকার হন কৈতুরী। এ সময় এক প্রতিবেশী গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন, যেখানে হানিফকে স্ত্রীকে নির্দয়ভাবে মারধর করতে দেখা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা কৈতুরীকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই হানিফ পালিয়ে যান।পরবর্তীতে জানা যায়, হানিফ এর আগে আরও সাতটি বিয়ে করেছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭ দিন পর খাগড়াছড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “ঘাতক হানিফকে ধরতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তাকে খাগড়াছড়ি থেকে পাথরঘাটায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদরাসা ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাসুদ পারভেজ মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নগরহাওলা গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র।উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের জৈনা বাজার এলাকা থেকে গতকাল শনিবার রাতে মঞ্জুকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর মা মোর্শেদা খাতুন হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ৫৭ নম্বর আসামি যুবলীগ নেতা মঞ্জু।গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে জৈনা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুরে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার দোসর নামে খ্যাত পিরোজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে শহরের টাউন ক্লাব সড়কে সাধারণ মানুষ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউন ক্লাব মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবশক্তি পিরোজপুরের আহবায়ক শাহানেওয়াজ অভি, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক রেদওয়ানুল ইসলাম, সাঈদী ফাউন্ডেশন এর শিক্ষক মামুনুর রশিদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নজরুল ইসলাম।সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ডা. রুস্তম আলী ফরাজী জনগণের রক্তচোষা স্বৈরশাসক হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে জনগণের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত। পিরোজপুরের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তিনি ক্ষমতাসীন মহলের হাতিয়ার হয়ে কাজ করেছেন। ফলে পিরোজপুরবাসী তাকে আর মেনে নিতে রাজি নয়।বক্তারা আরও বলেন, যে ব্যক্তি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন, তিনি জনগণের প্রতিনিধি নন, তিনি জনগণের শত্রু। ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর কর্মকান্ড প্রমাণ করে তিনি জনগণের নয়, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের প্রতিনিধি।সমাবেশে ডা. ফরাজীকে পিরোজপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের জন্য সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ফরিদা আখতার।এর আগে কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের নামে যাকে তাকে জমি ইজারা দেওয়া যাবে না। যারা মৎস্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত তাদের দিতে হবে। মাছের প্রজনন পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রজনন ক্ষেত্রগুলোতে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলেন উপদেষ্টা।বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু জাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন চেয়ারম্যান শাম্মী আখতার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, মৎস্য অধিদফতর মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ।এসময় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলম।ভোরের আকাশ/এসএইচ