দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং
দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্র-বামপন্থি রাজনীতিক লি জে-মিয়ং দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) ভোরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরপরই তিনি দেশের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন।
ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সামরিক আইন সংক্রান্ত বিতর্কিত পদক্ষেপ এবং পরবর্তী অভিশংসনের পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে লি জে-মিয়ং বিরোধী ডানপন্থি প্রার্থী কিম মুন-সুকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন। লি পেয়েছেন মোট ভোটের ৪৯.৪ শতাংশ, আর কিম পেয়েছেন ৪১.২ শতাংশ।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান রোহ তে-আক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির লি জে-মিয়ং-কে আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করছি।’
এর আগে রাতেই কিম মুন-সু পরাজয় স্বীকার করে নেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার অস্ত্র বাণিজ্য নেটওয়ার্ক, এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কিত দুই দেশের দুই সরকারি কোম্পানি এবং দুই কোম্পানির মোট ৫ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।বিবৃতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অস্ত্র বাণিজ্যের পুরো প্রক্রিয়াটি চলে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড এবং কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং কর্পোরেশন (কোমিড)— এই দুই কোম্পানির মধ্যে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড, সেটির পরিচালক অউং কো কো উ , দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কিয়াও থু মিয়ো মিন্ত ও তিন মিও অউং এবং কোমিডের উপপরিচালক কিম ইয়ং জু ও কর্মকর্তা ন্যাম চোল উং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মিয়ানমারের কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ, অস্ত্রের ফরমায়েশ নেওয়া, চালান পাঠানো এবং অস্ত্র বিক্রয়ের অর্থ উত্তর কোরিয়ার সরকার ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করতেন কোমিডের দুই কর্মকর্তা।উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে কয়েক বছর আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি জন হার্লে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উৎপাদন ও বাণিজ্য নেটওয়ার্ক অবৈধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জন্য সরাসরি হুমকি।”ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানতে উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু দুই দেশের কোনো কর্মকর্তাই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্র : রয়টার্সভোরের আকাশ/মো.আ.
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ২১টি পয়েন্ট সম্বলিত সেই পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার আরব নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে তিনিসহ ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েক জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে উইটকফ বলেন, “বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি আমরা। বৈঠকে আরব নেতাদের সামনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ২১ পয়েন্টের পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা মনে করি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হলে একদিকে গাজায় সহিংসতা বন্ধ হবে, অন্যদিকে ইসরায়েল এবং তার সমস্ত প্রতিবেশীর উদ্বেগের সমাধান হবে।”“আমরা আশা করছি, এমনকি আমি নিজে এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা যে কোনো ধরনের অগ্রগতি ঘোষণা করতে পারব।”ট্রাম্পের ২১ পয়েন্টের পরিকল্পনার কয়েকটি পয়েন্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেমন, গাজায় বন্দি সব জিম্মির অনতিবিলম্বে মুক্তি, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজার প্রশাসনকে হামাস এবং হামাসের প্রভাবমুক্ত করা এবং পর্যায়ক্রমে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার।ট্রাম্পের সঙ্গে আরব-মুসলিম নেতাদের বৈঠকে উপস্থিত কয়েক জন মার্কিন ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিএনএন। তারা বলেছেন, আরবের নেতারা ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। পাশাপাশি তারা আরও কয়েকটি পয়েন্ট যোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন। সেগুলো হলো— পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধ করা, জেরুজালেমের বর্তমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখা, গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং সেখানে বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি, গাজায় ত্রাণের প্রবেশ অবাধ রাখা প্রভৃতি।“একটি অসাধারণ এবং খুবই কার্যকর বৈঠক করেছি আমরা”, সিএনএনকে বলেছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক কূটনীতিক।প্রসঙ্গত, সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বৈশ্বিক সম্মেলনে হয়েছে। সম্মেলনের মূল আয়োজক ছিল ফ্রান্স এবং সৌদি আরব। সেই সম্মেলনের আবহেই আরবের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র : সিএনএনভোরের আকাশ/মো.আ.
ভেনেজুয়েলার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাটির ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মাইল) গভীরে, মেনে গ্রান্ডে শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে। মেনে গ্রান্ডে একটি তেলসমৃদ্ধ এলাকা হলেও এর জনবসতি তুলনামূলকভাবে কম।এছাড়া ভূমিকম্পটি রাজধানী কারাকাসেও অনুভূত হয়েছে, যা কেন্দ্রস্থল থেকে ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। ভবন কেঁপে ওঠায় আতঙ্কিত হয়ে অনেক বাসিন্দা তাদের ফ্ল্যাট ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন বলে জানিয়েছে এএফপি।ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প থেকে বড় কোনো সুনামির আশঙ্কা নেই, ফলে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।এর কয়েক ঘণ্টা আগে একই এলাকায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যা পার্শ্ববর্তী কলম্বিয়া এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ আরুবা, কুরাসাও ও বোনায়ারেও অনুভূত হয়। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।ভেনেজুয়েলায় শক্তিশালী ভূমিকম্প বিরল হলেও কারাকাস ও মারাকাইবোসহ বিভিন্ন শহরে ভবন কেঁপে ওঠায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়োসদাদো কাবেলো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ভূমিকম্পে ‘গুরুতর কাঠামোগত ক্ষতি হয়নি’।প্রসঙ্গত, প্রায় ৮০ শতাংশ ভেনেজুয়েলাবাসী ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করেন। তবে দেশটিতে ১৯৯৭ সালের পর থেকে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ওই বছর পূর্বাঞ্চলীয় সুক্রে প্রদেশের কারিয়াকোতে ভূমিকম্পে ৭৩ জন নিহত হন।এর আগে ১৯৭৬ সালে কারাকাসে এক ভূমিকম্পে প্রায় ৩০০ জন নিহত এবং ২ হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান যে, তেহরান কখনোই পারমাণবিক বোমা তৈরি করবে না।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।এ ঘোষণা এল এমন সময়ে, যখন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি—এই ই-থ্রি দেশগুলোর উদ্যোগে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনরায় কার্যকর করার ৩০ দিনের প্রক্রিয়া আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে। ই-থ্রির অভিযোগ, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ইরান।তবে তারা জানিয়েছে, ইরান যদি জাতিসংঘ পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার পুনঃস্থাপন করে, সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত সংক্রান্ত উদ্বেগ দূর করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসে, তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখা হবে।জাতিসংঘে পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স-এ লিখেছেন, “চুক্তি এখনও সম্ভব। মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। ইরানের উচিত আমাদের যৌক্তিক উদ্বেগগুলোর জবাব দেওয়া।”এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে সরে যাওয়া এবং এর পর বিমান হামলার ঘটনায় তেহরান জানিয়েছিল, এসব কারণেই তারা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিয়ে দিয়েছে।পেজেশকিয়ান ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, “তারা নিজেদের সৎ পক্ষ দেখালেও আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ইশারায় কাজ করছে। আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে ছোট করে দেখানো হয়েছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইউরোপীয়রা আইনি বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে গিয়ে ইরানের বৈধ পদক্ষেপগুলোকে ভ্রান্তভাবে ‘চুক্তি ভঙ্গ’ হিসেবে প্রচার করছে।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি গত মঙ্গলবার বলেন, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করেন।বিশ্লেষকদের মতে, নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে ইরানের বিদেশি সম্পদ জব্দ হতে পারে, অস্ত্র চুক্তি বন্ধ হয়ে যাবে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি কঠোরভাবে সীমিত করা হবে।জাতিসংঘে ভাষণে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের আকস্মিক হামলার নিন্দা জানান। তিনি দাবি করেন, এসব হামলায় ইরানের বহু জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন এবং দেশটির প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে।তার ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের বিমান হামলায় এক হাজারেরও বেশি ইরানি নিহত হয়েছেন এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা হয়েছে। পেজেশকিয়ান বলেন, “দেশপ্রেমিক ও সাহসী ইরানি জনগণ প্রমাণ করেছে, আগ্রাসনের সামনে তারা কখনোই মাথা নত করবে না।”তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইল এখনো প্রকাশ্যে “গ্রেটার ইসরাইল” পরিকল্পনার কথা বলছে, যার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে বাফার জোন তৈরি। তিনি আরও বলেন, প্রায় দুই বছরের গণহত্যা, অনাহার, দখলকৃত ভূখণ্ডে বর্ণবৈষম্য এবং আগ্রাসন চালিয়েও ইসরাইল এই অবাস্তব ও দুঃসাহসী পরিকল্পনা ধরে রেখেছে।সূত্র: আল জাজিরাভোরের আকাশ/মো.আ.