ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন আঞ্চলিক সংকটের মূল কারণ: কাতার
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মঙ্গলবার টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। আলাপকালে তারা কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে কথা বলেন।কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম জানিয়েছেন, টেলিফোনালাপে কাতারের আমির তার দেশ সবসময় সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং ভালো প্রতিবেশীর নীতি অনুসরণ করে আসছে বলে ইরানের প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন শত্রুতাপূর্ণ আচরণের প্রত্যাশা কাতারের পক্ষ থেকে ছিল না।কাতারের আমির এই ঘটনার পর সম্ভাব্য কূটনৈতিক ও আইনি প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং দ্রুত এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি এ বিষয়টি অতীতের ঘটনা হিসেবে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।শেখ মোহাম্মদ বলেন, আঞ্চলিক উত্তেজনার মূল কারণ গাজার ওপর ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন ও যুদ্ধবিরোধী মনোভাব। কাতার কাজ করে যাচ্ছে যাতে এই সংকট পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে।তিনি আরও বলেন, “সারা বিশ্বকে এক হয়ে ইসরায়েলের দায়িত্বহীন কার্যকলাপের অবসান ঘটানোর সময় এসেছে।”সূত্র: আল জাজিরা।ভোরের আকাশ//হ.র
২৬ জুন ২০২৫ ০৩:৩০ এএম
১৪ ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
১২ দিনের সংঘাতে ইরানের অন্তত ১৪ বিজ্ঞানীকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী আছেন। বার্তা সংস্থা এপির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ফলে ইসরায়েলি ও মার্কিন বোমা হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া পারমাণবিক অবকাঠামো এবং উপকরণ থেকেও ইরানের পক্ষে অস্ত্র তৈরি করা ‘প্রায়’ অসম্ভব হয়ে পড়বে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ইরানি বিজ্ঞানীদের গোটা দল নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অনেক বছর পিছিয়ে দিয়েছে।রাষ্ট্রদূত জোশুয়া গত সোমবার এ কথা বলেন। এরপর মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির আরও একজন পরমাণুবিজ্ঞানীর নিহত হওয়ার খবর জানা যায়। ইরানি টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে বলা হয়, এই বিজ্ঞানীর নাম মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবের।এর আগে সংঘাত শুরুর দিন, অর্থাৎ ১৩ জুন বিজ্ঞানী সাবেরের ওপর এক দফা হামলা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। যদিও হামলায় নিহত হয় তার ১৭ বছর বয়সী ছেলে।জোশুয়ার এমন দাবি সত্ত্বেও বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ইরানে আরও বিজ্ঞানী বেঁচে আছেন। তারা শিগগির নিহত বিজ্ঞানীদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এসব হত্যার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দিতে পারে, তবে শেষ করতে পারবে না।টানা ১২ দিনের নজিরবিহীন পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৫ জুন ২০২৫ ০২:৩৯ পিএম
ইসরাইলের ৭০০ ভাড়াটে এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে ইরান
সংঘাত চলাকালে ইসরায়েলের হয়ে কাজ করা ৭০০ জন ‘ভাড়াটে’ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী। ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।বুধবার (২৫ জুন) সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ১২ দিনের সংঘাতের সময় ইরানি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী ইসরায়েলের ভাড়াটে অভিযোগে ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।ভাড়াটে ব্যক্তিরা মূলত গোয়েন্দাগিরি ও নাশকতার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের নেটওয়ার্কের মাধমে ও জনসাধারণের প্রতিবেদন এবং গোয়েন্দা অভিযানের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তেহরান প্রসিকিউটর অফিসে একটি নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে, যার কাজ হচ্ছে ইরানি সংবাদমাধ্যম ও ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নজরদারি করা।এছাড়া, ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৫ জুন ২০২৫ ০১:৪৮ পিএম
ইরানে মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ৬ জন গ্রেপ্তার
ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হামদান প্রদেশ থেকে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা মিডল ইস্ট আই এ এই তথ্য জানায়।ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর এক কর্মকর্তা আলী আকবর করিমপুর জানিয়েছেন, হামদান, রাজান ও নাহাভান্দ শহরে সন্দেহজনক কার্যক্রমের বিষয়ে তারা তথ্য পেয়েছে, যা বিশ্বাসঘাতকতার চিহ্ন বহন করে। ওই অঞ্চলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা অনলাইনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে এবং ইরানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত।ইরান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই গুপ্তচর ও শত্রুপক্ষের সন্দেহে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক করে আসছে। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করেছে তেহরান। এর আগে ডজনখানেক গুপ্তচর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।বর্তমানে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইরান তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষভাবে জোরদার করেছে। বিশেষ করে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারির মুখে দেশটির ভাবমূর্তি রক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।তেহরান সরকারের এই পদক্ষেপ যুদ্ধকালীন সময়ে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কড়া বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা ইরানের এই ধরণের গ্রেপ্তার অভিযানকে দেশটির ভেতরে বিরোধীদের প্রতি কঠোর অবস্থানের প্রমাণ হিসেবেও দেখছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
২৫ জুন ২০২৫ ১০:২০ এএম
মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা: জাতিসংঘে কাতারের প্রতিবাদপত্র
দোহায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে কাতার। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।চিঠিতে কাতার এই হামলাকে “চরম বিপজ্জনক উসকানি” এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে।এতে আরও বলা হয়, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) কর্তৃক চালানো এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গভীর হুমকি। পাশাপাশি কাতার আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের আলোকে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।এই ঘটনার পর কাতারে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দোহা। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে এবং এই হামলার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে একটি টেলিফোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে আল-উদেইদ ঘাঁটিতে হামলার প্রসঙ্গটি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়।এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম জানান, কাতারের আমির ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেন, তার দেশ সর্বদা ভালো প্রতিবেশী ও সুসম্পর্কের নীতি অনুসরণ করে। তবে তিনি ইরানের কাছ থেকে এমন “শত্রুতাপূর্ণ আচরণ” প্রত্যাশা করেননি।তিনি আরও জানান, কাতারের পক্ষ থেকে আলোচনায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, এই ঘটনার কূটনৈতিক ও আইনি প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে অতীত হিসেবে পেছনে ফেলতে দুই দেশকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসিভোরের আকাশ//হ.র
২৫ জুন ২০২৫ ০৯:৪৪ এএম
স্পষ্ট অবস্থান নিয়েই ইরানকে সমর্থন করেছি: রাশিয়া
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ইরানকে তারা পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে এবং তেহরানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও রয়েছে।সোমবার (২৩ জুন) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিতে মস্কো সফরে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ওই বৈঠকে পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলাকে ‘বিনা উসকানির আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, “এটি ইরানের বিরুদ্ধে একেবারে অযৌক্তিক ও উসকানিহীন হামলা।”ইরানকে পর্যাপ্ত সমর্থন না দেওয়ার অভিযোগে যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু বিশ্লেষক রাশিয়ার সমালোচনা করছিলেন, তখন রুশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হয়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে মস্কো-তেহরান সম্পর্ককে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তারা যেন আগুনে পেট্রল ঢালছে।”তিনি জানান, রাশিয়ার অবস্থান পুরোপুরি স্পষ্ট এবং নীতিগত। “আমরা ইরানকে সমর্থন দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”রাশিয়ার এই অবস্থানের প্রশংসা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “রাশিয়া সঠিক পক্ষের পাশে রয়েছে। রুশ ভূমিকা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান।”উল্লেখ্য, মার্কিন সামরিক বাহিনী সম্প্রতি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার জবাবে তেহরানও প্রতিক্রিয়া জানায়। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইরান-রাশিয়ার কৌশলগত সম্পর্ক ও সহযোগিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ//হ.র
২৫ জুন ২০২৫ ০৯:৪১ এএম
ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে: ট্রাম্প
ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, এই দুই দেশের সাম্প্রতিক আচরণে তিনি সন্তুষ্ট নন, বিশেষ করে ইসরায়েলের ভূমিকায় তিনি বেশ অখুশি।মঙ্গলবার (২৪ জুন) স্কাই নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাটো সামিটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আমি ইসরায়েলের আচরণে অত্যন্ত অখুশি।”ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘শেষ হয়ে গেছে’। তার ভাষায়, “তেহরান আর কখনো পারমাণবিক প্রকল্প গড়ে তুলতে পারবে না।”নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, “ইরান যদি আবারও ইসরায়েলে বোমা হামলা চালায়, তাহলে তা হবে যুদ্ধবিরতির বড় ধরনের লঙ্ঘন।” একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলকে নিজ দেশের পাইলটদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।এর আগে সোমবার (২৩ জুন) ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া আরেক পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরান ও ইসরায়েল ১২ ঘণ্টার জন্য একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, “প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, এরপর ১২ ঘণ্টা পরে ইসরায়েলও এতে যোগ দেবে। এর ২৪ ঘণ্টা পর এই ‘১২ দিনের যুদ্ধ’-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।”তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যুদ্ধবিরতির সময় উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ বজায় রাখবে। তিনি ইরান ও ইসরায়েল উভয় দেশকে সাহস, ধৈর্য ও কৌশলগত বুদ্ধিমত্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।ট্রাম্প আরও বলেন, “এই যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হতো, তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংসের মুখে পড়ত। এটি বছরজুড়ে চলার মতো পরিস্থিতি তৈরি করত, কিন্তু সেটা হয়নি—এবং ভবিষ্যতেও হবে না।”ভোরের আকাশ//হ.র
২৫ জুন ২০২৫ ০৯:৩৮ এএম
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা স্বীকার করল যুক্তরাষ্ট্র
কাতারের আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২৩ জুন) স্থানীয় সময় বিকেলে এই হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় ইরান স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। পেন্টাগনের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন নাগরিক হতাহত হয়নি। তবে পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।এর আগে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোর (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার জবাবে এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে।হামলার পর ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ হামলা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ কাতার বা এর জনগণের বিরুদ্ধে নয়।তবে তেহরানের এমন ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “এই হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কাতার আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।”ঘটনার পরপরই কাতার তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে দেশটিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।উল্লেখ্য, দোহার উপকণ্ঠে অবস্থিত আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি।বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতি নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বাড়াতে পারে, বিশেষ করে যদি ওয়াশিংটন পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।ভোরের আকাশ//হ.র
২৪ জুন ২০২৫ ০২:৩২ এএম
ইরানে অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, নিহত ৩
ইরানের নাজাফাবাদে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ।সোমবার (২৩ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীয়তি স্ট্রিটে মোন্তাজেরি হাসপাতালের কাছে ওই অ্যাম্বুলেন্সটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে গাড়িটির চালক, একজন রোগী এবং তার সঙ্গী নিহত হন।নাজাফাবাদের গভর্নর মিদরেজা মোহাম্মদী ফেশারাকি জানান, হামলার সময় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালে যাওয়ার পথে ছিল। ড্রোনের আঘাতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়, ফলে আরও ক্ষয়ক্ষতি হয়।এর আগে ১৩ জুন ইরানে বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় পরমাণু, সামরিক ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হন। নিহতদের মধ্যে পরমাণু বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মকর্তা এবং সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন।জবাবে ইরান ২২ জুন পর্যন্ত ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ চালায় এবং এতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় অন্তত ২০ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।ভোরের আকাশ//হ.র
২৪ জুন ২০২৫ ০১:১৫ এএম
ইরানে মার্কিন হামলা ‘সার্বভৌমত্বের বর্বর লঙ্ঘন’: উত্তর কোরিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইরান হামলাকে ‘সার্বভৌমত্বের বর্বর লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (২৩ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, “মার্কিন হামলা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্বার্থের সরাসরি লঙ্ঘন, যা আন্তর্জাতিক আইনের চরম অবমাননা।”উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনার মূল কারণ। জেরুজালেমে ইসরায়েলের আগ্রাসন এবং আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের নীতিই এই সংকটের জন্ম দিয়েছে, যা পশ্চিমা বিশ্ব প্রশ্রয় দিচ্ছে।”তিনি আরও বলেন, “ন্যায়সংগত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখন উচিত এই আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানো।”উল্লেখ্য, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কূটনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে এ দুই দেশের যৌথ কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ রয়েছে।সূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের মধ্যঞ্চলে ইসরায়েলের একটি হার্মেস-৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।রোববার (২২ জুন) রাতে ইসরায়েল জানিয়েছিল তাদের বিমানবাহিনী ইরানে নতুন করে হামলা চালাচ্ছে। কিছু সময় পর ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের হামলার অংশ হিসেবে একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের বিমানবাহিনী তেহরানে গ্রাউন্ড টু এয়ার মিসাইল লঞ্চার লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং হামলা শেষে বিমানগুলি ফিরে এসেছে। তবে ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার বিষয়টি তারা প্রকাশ করেনি।ভোরের আকাশ//হ.র