ছবি সংগ্রহীত
গাজীপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় অভিযুক্ত মামলায় আসামি গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা সুজন মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার আসামি সুজন মিয়া গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঘোড়াবান্ধা (তালুকঘোড়া) গ্রামের শুক্কুর আলী ও মালেকা বেগম দম্পত্তির ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে সুজন মিয়ার পুর্বপরিচিত সুবাদে প্রায়ই গাজীপুরের কাশিমপুর বাসায় যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে গত ১৮ মে সকালের দিকে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় সুজন মিয়া প্রবেশ করেন। এরপর জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে সুজন মিয়া ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও মোবাইলফোনে ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনা গৃহবধূ গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টা ও পর্ণোগ্রাফি মামলা দায়ের করেন। তখন থেকে আসামি সুজন মিয়া আত্নগোপনে থাকেন। তাকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখার একপর্যায়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ও র্যাব-১ গাজীপুর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য জয়েনপুর গ্রাম থেকে আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, গ্রেফতার আসামি সুজন মিয়াকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ধরণের নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা প্রতিরোধে র্যাব দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ//হর
সংশ্লিষ্ট
দেশের বৃহত্তম ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। দেশের প্রায় আড়াই হাজার কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাদান কার্যক্রমে যুক্ত আছেন লক্ষাধিক শিক্ষক।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই বেসরকারি। এদের সরকারি সহায়তা সীমিত, শুধুমাত্র এমপিও ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থী প্রতি বছরে মাত্র ৭৬৫ টাকা পান। বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি সরকারের কাছ থেকে কোনো অর্থ পায় না।ভাইস-চ্যান্সলর বলেন, “ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রতি বছরে সরকার ২-৩ লাখ টাকা ব্যয় করে। যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংখ্যা মাত্র ৭৬৫ টাকা।” তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য শিক্ষকরা ১৬০ টাকা বা তার বেশি পান, কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এর পরিমাণ মাত্র ৪৫ টাকা।বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়নে কিছু ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর একটি বড় অংশ কলেজগুলোর ইন-কোর্স ও অন্যান্য শিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার হবে। তিনি উল্লেখ করেন, “বেসরকারি কলেজের জন্য সরকারের বাজেট নেই। সামান্য ফি বাড়ালেও শিক্ষার্থীরা আদালতে যেতে বাধ্য হয়। ২০১৫ সালের পর ফি বৃদ্ধি হয়নি, অথচ কাগজের মূল্য তিনগুণ বেড়েছে।”প্রফেসর আমানুল্লাহ আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী দক্ষতা বাড়াতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। স্নাতক সম্মানে আইসিটি ও ইংরেজি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট অর্থ, যা সরকারের কাছ থেকে আসা জরুরি।তিনি বললেন, “শিক্ষায় বিনিয়োগ না বাড়ালে গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। এর সঙ্গে জাতির সার্বিক উন্নয়নও অনিশ্চিত।”সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে “ইকোনমিক রিফরম সামিট ২০২৫”-এর “ট্যাকলিং ইয়ুথ আনইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ড্রাইভিং স্লো মাইগ্রেশন” শীর্ষক সেশনে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডিজবস ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাসরুর। বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার জিয়া হাসান, ব্রেইন-এর নির্বাহী পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, বিল্ডনশন-এর প্রতিষ্ঠাতা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের মাহমুদা হাবিবা।ভোরের আকাশ//হর
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর নির্মম আঘাতের দিন হিসেবে পরিচিত ২৮ অক্টোবর, ২০০৬ সালের পল্টন ট্রাজেডির শহীদদের স্মরণে গাজীপুরে আলাচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গাজীপুর মহানগর ও জেলা জামায়াত ইসলামী যৌথভাবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।মহানগর জামায়াতের আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী সচিবারী আফজাল হাসান, সঞ্চালনা করেন মিরার সদর থানার সিনিয়র নায়েব আমির ছাদকুজ্জামান খান। প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আমির অধ্যাপক মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, “২৮ অক্টোবর শুধুমাত্র একটি তারিখ নয়, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য আত্মত্যাগের প্রতীক। শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না; ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় জামায়াত অঙ্গীকারবদ্ধ।”বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর নায়েব আমির ও গাজীপুর-২ আসন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহাম্মদ হাসন আলী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মিরা সদর থানার আমির ও গাজীপুর-৪ আসন এমপি পদপ্রার্থী সালাহউদ্দিন আইউবী, পূবাইল থানার আমির আশরাফ আলী কাজল, মহানগর মেডিকেল বিভাগের সভাপতি ডা. আমজাদ হাসন খান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি মাহবুবুল আলম জামি, গাজীপুর বার প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শামসুল হক ভুইয়া, বাসন থানা আমির আকরাম হাসান, মিরা থানা সচিব রবিউল হক, আইনজীবী থানা সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহজালাল সিরাজী এবং ছাত্রশিবির মিরা থানা সভাপতি মু. সালায়মান কবিরসহ অন্যান্যরা।অন্যদিকে, শ্রীপুর উপজেলায় জামায়াতের আয়োজন করা পল্টন ট্রাজেডি দিবস আলাচনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আমির মাওলানা নূরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন পর সচিব আবুল হাসন। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আমির ও গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর) আসন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সহকারী সচিব অধ্যক্ষ মাস্তাফিজুর রহমান খান।সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েব আমির জাহাঙ্গীর কবির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি আফজাল হাসান খান, উপজেলা সচিব ডা. জসিম উদ্দিন, ছাত্রশিবির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, বিভিন্ন ইউনিয়ন আমির ও নেতৃবৃন্দ।দুই অনুষ্ঠানেই বক্তারা বলেন, “২৮ অক্টোবর ২০০৬ ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ওপর এক নির্মম আঘাতের দিন। রাষ্ট্রীয় সহায়তায় সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বিচার এখনও হয়নি, যা জাতিকে ব্যথিত করেছে। শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে ন্যায়ভিত্তিক ও ইনসাফনিষ্ঠ বাংলাদেশ গড়ার শপথ আমরা নেব।”সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং মহানগর আয়োজিত ‘লগি-বঠার তাণ্ডব’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।ভোরের আকাশ//হর
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) নিরাপত্তা কমিটির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা গার্ডদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ মঈনুল হক এবং কমিটির সকল সদস্য।সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক মজুরি ভিত্তিক এবং প্রাইড নিরাপত্তা গার্ডরা তাদের দায়িত্ব পালনের সময় সম্মুখীন সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। তারা বিশেষ করে নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ মঈনুল হক বিষয়গুলো ভাইস-চ্যান্সেলরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার আশ্বাস দেন। সভার সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ সাদেক হোসেন প্রামাণিক।মতবিনিময় সভার শেষে নিরাপত্তা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ও স্থাপনা রক্ষায় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য নিরাপত্তা গার্ডদের প্রতি আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ//হর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রা ফকির মজনু শাহ সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশে মিলিত হয়।উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ফরিদুল আলম বুলুর নেতৃত্বে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদুল আলম বুলু, যুবদল নেতা কবির হোসেন সরকার, আকরাম হোসেন, কাপাসিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মহিবুর রহমান, তরগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন অ্যাপোলো, চাঁদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মনির হোসেন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, বারিষাব ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বুলবুল প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে সম্প্রতি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জুনায়েদ হোসেন লিয়ন তার অনুসারীদের নিয়ে পৃথকভাবে একটি বিশাল শোভাযাত্রা করেন। তিনি বলেন, “দলের কিছু নেতার ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আশা করি দ্রুত ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। দীর্ঘদিন আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার করেছি, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বহু হামলা ও মামলা সহ্য করেছি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুসারীদের অনুরোধে আমি ঘরে বসে থাকতে পারিনি। আশা করি দল আমার ব্যাপারে সুবিচার করবে।”ভোরের আকাশ//হর