কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিখোঁজের একদিন পর ইকরা আক্তার (৬) নামে এক শিশুর মরদেহ গর্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে একটি গর্তের পানিতে তার লাশ ভেসে ওঠে।মৃত ইকরা উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের মুগদিয়া গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের মেয়ে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর থেকে ইকরাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ির চারপাশসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে তার সন্ধান চেয়ে মাইকিং করা হয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে গর্তের পানিতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে। স্বজনরা গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।ইকরার নানা মো. আলম জানান, ইকরা মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। খোঁজাখুঁজি করে তাকে নিয়ে আসতাম। সোমবার নিখোঁজ হওয়ার পর আর তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে গর্তের পানিতে তার লাশ পাওয়া যায়।কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মুগদিয়া গ্রামে পানিতে এক শিশুর লাশ ভেসে উঠার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে দাফন করার জন্য লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪৩ পিএম
গাইবান্ধায় পুকুরে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের নামাপাড়া (কলেজের দক্ষিণ পাশে) এলাকার আবু সাঈদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে পুকুরের পানিতে একজন অপরিচিত ব্যক্তির লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়। মরদেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল এবং পিঠে মাটি লেগে ছিল। এখনো পর্যন্ত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফ্ফার বলেন, “পুকুরে একটি ভাসমান মরদেহ দেখা গেছে—বিষয়টি থানাকে অবহিত করা হয়েছে।”সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে মরদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হবে।”ভোরের আকাশ/তা.কা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:১৬ পিএম
কক্সবাজারে ভাতিজিকে হত্যা করল চাচা
রামুতে ভাবির কাছে মাদকের টাকা না পেয়ে ৩ বছরের ভাতিজি ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চাচা নুরুল হাকিম। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খুইল্ল্যা শিয়া মোহাম্মদ শরীফ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিহত ফাতেমা বেগম একই এলাকার নুরুল আজিমের মেয়ে।নিহত ফাতেমা বেগম একই এলাকার নুরুল আজিমের মেয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ওসি মো. আরিফ হোসাইন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরিফ হোসাইন বলেন, ওই শিশুর আপন চাচা নুরুল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। তিনি মাদক সেবনের টাকার জন্য ভাই-ভাবিকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করতেন। গতকাল রাতেও নুরুল হাকিম ভাবির কাছে টাকা চান। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ভাবির সাথে তর্কাতর্কি শুরু করেন।একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করলে ভাবি দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও ভাতিজি ফাতেমাকে সামনে পেয়ে তার মাথায় কোপ দেয়। এতে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।পরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘাতক চাচা পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/তা.কা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:১৯ পিএম
কসবায় আধা মণ গাঁজা উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুলিশের অভিযানে আধা মণ (২০ কেজি) গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে কসবা থানা পুলিশের একটি চৌকস দল মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় উপজেলার গোবিন্দ্রপুর পূর্বপাড়া এলাকা থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আলামত জব্দ করা হয়।তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত দুজন পালিয়ে যায়। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৬ পিএম
নিখোঁজের তিন দিন পর নদী থেকে জমিয়ত নেতার মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজের তিনদিন পর নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর মরদেহ।শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার মধ্যবর্তী শরীফপুর এলাকার পুরনো সুরমা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান চৌধুরী।মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি। এবং বড়মোহা দারুল উলুম ইসলামিয়া আরবিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। তিনি জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।এর আগে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। নিহত মুশতাক আহমদ গাজী নগরীর স্ত্রী রুবি বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এশার আযানের সময় আমার স্বামী বলছিলেন, পাথারিয়া বাজার যাবেন। এরপরে আমি নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম। এ সময় আমার মেয়ে পড়তে বসছিল, তাকে বলছি বাবা আসলে যেন আমাকে ডাক দেয়। আমার মেয়ে অপেক্ষা করতে করতে রাত দশটা একান্ন মিনিটে ফোন দিয়েছে, তখন তিনি বলছেন, আমি সুনামগঞ্জে গেছি, আমি আসব। এই বলে ফোন রেখে দিয়েছেন। এর দুই মিনিট পরে তিনি আবার ফোন দিয়ে বলেছেন, আমি এক ঘণ্টার মধ্যে আসছি, এটাই ছিল শেষ কথা। এরপর বার বার ফোন দিলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে মাওলানা মুশতাক আহমদের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন জমিয়তের নেতৃবৃন্দ।এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহসভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজিনগরী ও জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যবুর রহমান। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুশতাক আহমদের হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবেভোরের আকাশ/তা.কা
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:১৯ পিএম
মান্দায় মাদকবিরোধী অভিযানে ২ হাজার লিটার চোলাইমদ উদ্ধার
নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ঋষি পল্লিতে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে দুই হাজার লিটার চোলাইমদ ও বিপুল পরিমাণ মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।পুলিশ জানায়, অভিযান চালানোর সময় চিহ্নিত মাদককারবারিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে ডলি ঋষি, অখিল ঋষিসহ কয়েকটি বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চোলাইমদ ও মদ তৈরির উপকরণ ড্রাম, পাতিল, প্লাস্টিকের পাত্র, রাসায়নিক দ্রব্য, চুলা ও খালি বোতল জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত মাদক ও উপকরণ জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভারশোঁ ঋষি পল্লিতে চোলাইমদের ব্যবসা রমরমা হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার পরই পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিদ্দিক হোসেন বলেন, “সম্প্রতি এই এলাকায় মদ তৈরির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।”মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, “গোপন তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার লিটার চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এ পল্লিকে মাদকমুক্ত করতে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হবে।”তিনি আরও জানান, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং মাদক নির্মূলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।ভোরের আকাশ/জাআ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:২৫ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মর্টার শেল উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাটির নিচ থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি মর্টার শেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের 'দৈনিক ভোরের আকাশ' এর জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম সুমনকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে উপজেলার লতুয়ামুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার এনামুল হকের বাড়ির আঙিনায় মাটি কাটার সময় মরিচা ধরা মর্টার শেলটি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টার শেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটির ওজন প্রায় ৪ কেজি এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ১ ফুটের মতো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের অবিস্ফোরিত মর্টার শেল।মর্টার শেলটি বর্তমানে থানায় পানিতে নিমজ্জিত করে রাখা হয়েছে।তিনি আরও জানান, বিস্তারিত জানিয়ে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে সদর দপ্তর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন- কিউ অ্যান্ড অর্ডন্যান্স শাখা, কুমিল্লা সেনানিবাসের মাধ্যমে এটি ধ্বংসের ব্যবস্থা করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:০০ পিএম
আট মাস পর সাংবাদিক নূরুল হকের মরদেহ উদ্ধার
জামালপুরের মেলান্দহে দ্বিতীয় স্ত্রীর করা হত্যা মামলায় জামালপুর জেলার বহুল প্রচারিত স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক নূরুল হক জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নাংলা কাঠপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে ৮ মাস ১১ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় দুইটি ইজিবাইক চাপায় গুরুতর আহত হন স্থানীয় ‘দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন’ সম্পাদক ও প্রকাশক নূরুল হক জঙ্গি (৭৫)। স্থানীয়রা তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।নিহত সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গি নাংলা ইউনিয়নের কাঠপাড়া এলাকার প্রয়াত আব্দুল হামিদের ছেলে। তার মৃত্যুর পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। প্রবীন এই সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় পারিবারিক কলহ ও রহস্যের সৃষ্টি হলে চলতি বছরের মে মাসের দিকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।ওই মামলায় নূরুল হক জঙ্গির প্রথম স্ত্রী খায়রুন নেছা কাজলী, জামাতা জুলহাস, দুই মেয়ে জেবুননেছা কাকলী ও জিন্নাতুননেছা কনা এবং দৈনিক পল্লীকন্ঠ পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়।মামলার তদন্ত দেয়া হয় পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কে। আদালতের নির্দেশে আজ সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।পিবিআই এর পরিদর্শক মোশারফ বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য নূরুল হকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার আগের জায়গায় পাঠানো হবে।মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আলমগীর জানান, আদালতের নির্দেশে পিবিআই, মেলান্দহ থানা পুলিশ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রয়াত সাংবাদিক নূরুল হকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৫৩ পিএম
শ্রীপুরে বন বিভাগের ২০ কোটি টাকার বনভূমি উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ একর বনভূমি উদ্ধার করে বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার গাছের চারা রোপন করেছে উপজেলা বন বিভাগ। উদ্ধারকৃত ভূমির মূল্য ২০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। (১ সেপ্টেম্বর) সোমবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত উপজেলার বরমী ইউনিয়নের নেহালিয়া গ্রামে এ গাছের চারা রোপন করা হয়।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান সকল বিটের কর্মকর্তা কর্মচারী শতশত কাজের লোক নিয়ে উদ্ধারকৃত জায়গায় গাছের চারা রোপন করছেন। এসময় শাহাবুদ্দিন বিএসসি তার কাজে বাধা দেন। এক পর্যায়ে শাহাবুদ্দিন বিএসসি সাংবাদিকদের সামনেই রেঞ্জ কর্মকর্তার চাকুরী খেয়ে ফেলার হুমকি দেয়। শাহাবুদ্দিন বিএসসি বরমী গ্রামের মৃত মেহের আলী মোড়লের পুত্র।নিহালিয়া গ্রামের তুহিন জানায়, এটা বনবিভাগের জায়গা আমরা সবাই জানি। আজ উদ্ধার হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা এ গাছ দেখে রাখবো। দীর্ঘদিন পরে হলেও এ জমি উদ্ধার হওয়ায় আশপাশের মানুষ খুশি বলে জানান তারা।সাতখামাইর বিট কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, ইতিপূর্বেও গাছ লাগানো হয়েছিল শাহাবুদ্দিন বিএসসি চারা তুলে বনায়ন ধ্বংস করে ফেলেছে বলে আমরা জেনেছি। এখন চিকরাসী,অর্জুন মেহগনি,জারুল লটকন, আতা, পিতরাজ, নিম, জাম, কদম, বহেরা সহ ২০ প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের চার রোপন করা হয়েছে।এ বিষয়ে বরমী এলাকার এডভোকেট শাহাবুদ্দিন মোড়ল বিএসসি জানান, মুক্তাগাছা জমিদারের কাছ থেকে পতন নিয়ে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভোগদখলে ছিলাম। আদালতে রেকর্ড সংশোধন মামলায় হেরে গেলেও হাইকোর্টে রায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বন বিভাগ নিষেধাজ্ঞা না মেনে গাছ লাগিয়ে আদালত অবমাননা করেছে।উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, সিএস, এসএ ৩৯৭ আর এস ৯৮১ দাগে ৩০ একর জমি বন বিভাগের। সাহাবুদ্দিন মোড়ল বিএসসি একটি ভূয়া (জাল) পতন মূলে ৫০ বছর ধরে জবরদখল করে আছে। ২০ একর জমির রেকর্ড সংশোধন মামলা করেন তিনি। আদালতে জমির পতন জাল প্রমানিত হওয়ায় মামলায় হেরে যায়। আপিলেও বন বিভাগ রায় পায়। ১০ একর আজ দখল মুক্ত করে ১০ হাজার চারা রোপন করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা। বাকি ১০ একরে স্থাপনা থাকায় উচ্ছেদ মোকদ্দমা করে দখলমুক্ত করা হবে। তাছাড়া ১০ একর জমি স্টেম্প করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে সে। তারা ঘর বাড়ি করে আছে।শাহাবুদ্দিন বিএসসি প্রভাবশালী চতুর মানুষ।মামলায় তিনবার হেরে গিয়েও জমি ছাড়তে চায় না। সে হাইকোর্ট থেকে রায়ের উপর একটি স্টে অর্ডার এনেছে। হাই কোর্টের এডভোকেট মতামত দিয়েছে এ নিষেধাজ্ঞায় গাছ লাগাতে বাধা নাই। তাই আমরা গাছ লাগিয়েছি। আমরা সব সনয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।ভোরের আকাশ/তা.কা
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৪৪ পিএম
সিজারের সাত মাস পর পেট থেকে গজ উদ্ধার
ফেনীতে আল কেমি হাসপাতালে সিজার অপারেশনের প্রায় সাত মাস পর ফরিদা ইয়াসমিন নামের এক প্রসূতির পেট থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক ফুট লম্বা একটি গজ কাপড় বের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে শহরের আল বারাকা হাসপাতালে দ্বিতীয়বারের অস্ত্রোপচারে গজটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার প্রথম অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।ভুক্তভোগী ফরিদা ইয়াসমিনের (৪০) পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তিনি প্রসবজনিত কারণে ফেনীর আল কেমি হাসপাতালে ভর্তি হন।সেখানে ডা. তাসলিমা আক্তারের অধীনে তাঁর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেও ফরিদা ইয়াসমিনের পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়, যা সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। অসহনীয় যন্ত্রণা নিয়ে তিনি বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করলেও কোনো সুফল পাননি।সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত পরীক্ষার শরণাপন্ন হন তিনি। বিভিন্ন পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর পেটের ভেতর একটি শক্ত বস্তুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে।এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বৃহস্পতিবার ফেনীর আল বারাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে ডা. আজিজ উল্যাহর নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ফরিদা ইয়াসমিনের পেট থেকে প্রায় এক ফুট লম্বা গজ কাপড়টি বের করে আনে।ভোরের আকাশ/তা.কা
৩০ আগস্ট ২০২৫ ১২:১৩ পিএম
দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিদেশি রিভলবার উদ্ধার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তে একটি বিদেশি রিভলবার (মেড ইন ইউএসএ) কার্তুজ (গুলি) উদ্ধার করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। জানা গেছে, গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি বিশেষ টহলদল সীমান্তবর্তী মৌলারপাড় ব্রিজের উপর তল্লাশী করে ও পরে মৌলারপাড় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ওই এলাকায় তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে রাত আনুমানিক ৩টায় ব্রিজের পশ্চিম পাশের বড়ই গাছের নিচ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১টি আমেরিকার তৈরি রিভলবার (মেড ইন ইউএসএ) ও কার্তুজ (গুলি) উদ্ধার করা হয়। বাংলাবাজার বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মুন্জুর রাহি জানান, আমাদের বিশেষ টহলদল এই অস্ত্র উদ্ধার করতে রাতভর কাজ করেছি। শেষ রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটা বড়ই গাছে নিচে দুবরা গাসের ভেতর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করি। এ সময় আশেপাশে কাউকে দেখতে পাইনি।সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, উর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাচার প্রতিরোধে বিজিবির অভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ বিদেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ