যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলে ইরানের হামলা, নিহত ৩
ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে-যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর সকালেই ইসরায়েলে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করেছে ইরান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে অন্তত একটি ভবন গুঁড়িয়ে গেছে। নিহত হয়েছেন তিনজন।আইডিএফ জানায়, মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে ইরান থেকে দুই দফায় ইসরায়েলে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রথম আক্রমণে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। দ্বিতীয়টিতে চারটি ছিল। দ্বিতীয় দফায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিয়ারশেবার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে আঘাত হানে।এর আগে, দেশটির জরুরি পরিষেবা বিভাগ ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে, হামলায় ৪০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, ৩০ বছর বয়সী একজন নারী এবং ২০ বছর বয়সী এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।হামলায় আরো ছয়জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এমডিএ’র এক মুখপাত্র।এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে যে, তারা ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করেছে এবং বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৪ জুন ২০২৫ ১০:৪৪ এএম
যুদ্ধের ময়দানে নামল ইরানের ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র ‘খাইবার-শেকান’
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার পর এবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলায় আরও আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তেহরান।ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ইসরায়েলবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এটি তাদের ২০তম ধাপ। এবার তারা ব্যবহার করেছে অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক অস্ত্র ‘খাইবার-শেকান’ (Kheybar-Shekan)। এটি ইরানের তৈরি অন্যতম শক্তিশালী ও ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র বলে দাবি করছে আইআরজিসি।এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের খবর এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক স্থাপনা ও বেসামরিক আবাসন এলাকাগুলোর ওপর একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের অভিযোগ, এসব হামলায় অসংখ্য সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন।ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে আখ্যা দিয়েছে “কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ থাকা অবস্থায় সরাসরি যুদ্ধকে বেছে নেওয়া”, যা তাদের মতে, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিষ্টাচারের চরম লঙ্ঘন।তাদের ভাষ্য, “যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ ও আণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির বরখেলাপ করে ইরানের ওপর সরাসরি হামলা চালিয়ে বিশ্ব নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।”বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা এবং পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধের ছায়া আরও ঘন হচ্ছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিগুলোর জন্যও।ভোরের আকাশ//হ.র
২৩ জুন ২০২৫ ১২:৩০ এএম
ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইরান
শতাধিক ড্রোন ও একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিবে নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানায়, ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা ও প্রতিরক্ষা শিল্প সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এতে বিভিন্ন ধরনের ১০০টিরও বেশি যুদ্ধ ও আত্মঘাতী ড্রোন অংশ নিচ্ছে।আইআরজিসি আরও জানায়, হামলার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে এবং ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে পরবর্তী ধাপে আরও বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় জানায়, ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হয়েছে এবং তা প্রতিহত করতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে। একইসঙ্গে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এর আগে, গত ১২ জুন মধ্যরাতে ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক স্থাপনায় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের একটি হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীসহ বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে বলে জানা গেছে।এরই প্রতিক্রিয়ায় ইরান শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’। এই অভিযানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানা হয়। ইসরায়েলি পক্ষের হতাহতের সংখ্যা কম হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বলে ধারণা করা হচ্ছে।বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে এবং সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
১৯ জুন ২০২৫ ১১:১৩ পিএম
ইসরায়েলের হাসপাতালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিরসেবা শহরের সরোকা মেডিকেল সেন্টার। হামলায় হাসপাতালের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে এবং ভবনের বাইরের দেয়ালের কাচ ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোরে একযোগে ইসরায়েলের বিভিন্ন অংশে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এর ফলে জেরুজালেম, তেল আবিবসহ বহু এলাকায় সাইরেন বাজতে থাকে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, হাসপাতালে হামলা একটি ইচ্ছাকৃত ও অপরাধমূলক কাজ।ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উরিয়েল বুসো হামলার ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ইরান এই হামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমা লঙ্ঘন করেছে।শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ৩২০ জনেরও বেশি। ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস এ তথ্য জানিয়েছে।হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস আরও বলেছে, নিহতদের মধ্যে ২৬৩ বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বাকিদের পরিচয় দেয়নি সংস্থাটি।হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস আরও বলেছে, নিহতদের মধ্যে ২৬৩ বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বাকিদের পরিচয় দেয়নি সংস্থাটি।যদিও ইরান এখনো পর্যন্ত ইসরাইলি হামলা চলাকালে নিয়মিতভাবে হতাহতের তথ্য দেয়নি। ইরানের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি হামলায় ২২৪ জন নিহত ও ১ হাজার ২৭৭ জন আহত হয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ জুন ২০২৫ ০৩:৩০ পিএম
ইসরায়েলের আকাশসীমা দখলের দাবি ইরানের
ইসরায়েলের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে তেহরানের হাতে- এমন দাবি করেছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিজাত শাখা কর্নেল ইমান তাজিক। সম্প্রতি ইসরায়েলও ইরানের আকাশসীমার প্রসঙ্গে একই দাবি করেছে।মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দু’দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। দ্বিতীয় দফা হামলার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় কর্নেল তাজিক বলেছেন, “আজ রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এটা প্রমাণ করে যে আমরা দখলদার বাহিনীর আকাশসীমা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি এবং সেখানকার বাসিন্দারা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সামনে সম্পূর্ণ অরক্ষিত।”এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।গত ১৩ জুন শুক্রবার ভোরে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের ৮ শহরের অন্তত ১০০ স্থাপনায় হামলা করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। হামলা শুরুর পর কিছুক্ষণ পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ইরানের হুমকির বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু করেছে ইসরায়েল এবং যতদিন ইরানের হুমকি থাকবে, ততদিন এ অভিযান চলবে।ইসরায়েলের হামলায় ইরানের বেশ কয়েক জন প্রথম সারির সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৪৫০ জন নিহত হয়েছেন।এদিকে, আইএএফের হামলার পর শুক্রবার থেকেই ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরানের সামরিক বাহিনী। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’ নামের এই পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত নিহত ও আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক মানুষ।ভোরের আকাশ/আজাসা
সংঘত বেড়েই চলছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে। সোমবার (১৬ জুন) স্থানীয় সময় রাতভর ইরান থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ছোড়া হয় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও, ইরানি গণমাধ্যমগুলো দাবি, ‘আইরন ডোম’ হ্যাক করায় বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত হানে। এতে হাইফার তেল পরিশোধনাগার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। হতাহতের খবরও মিলেছে।একই সময়ে ইসরায়েল হামলা চালায় তেহরানে। রাষ্ট্রীয় টিভি ভবনে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সম্প্রচারে থাকা উপস্থাপকের মধ্যেও। পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিববাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে।ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যর্থতার কারণ হ্যাকিং। এমনকি তাবরিজে ইসরাইলের একটি F-35 যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবিও করেছে তারা।এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি ইঙ্গিত দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যা করতে। জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন হস্তক্ষেপে ভেটো দিলেও তেহরানবাসীকে শহর ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন।মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান শিগগিরই পারমাণবিক চুক্তি না করলে বাসিন্দাদের তেহরান ত্যাগ করা উচিত।ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শান্তিপূর্ণ অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ প্রসার চায় না ইরান, তবে আঘাতের জবাব দেয়া হবে। একইসঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে কূটনীতির বিরুদ্ধে বড় আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ জুন ২০২৫ ১০:৩৭ এএম
ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলের হাইফা ও তেল আবিবে আঘাত
ইরানের ছোড়া মিসাইল সরাসরি আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফার একটি আবাসিক ভবনে। এ ঘটনায় অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি জরুরি সেবা সংস্থা।রবিবার (১৫ জুন) রাতে হাইফা শহরে এই হামলা ঘটে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শহরটির আকাশে বিস্ফোরণের দৃশ্য তাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং আকাশ থেকে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।ইসরায়েলি উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা জানায়, হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আহতদের উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।ইসরায়েলের ফায়ার ও রেসকিউ সার্ভিস নিশ্চিত করেছে যে, মিসাইলটি সরাসরি ভবনে আঘাত করেছে। তারা জানিয়েছে, জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।এর আগে, ইরান একযোগে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েক ডজন মিসাইল নিক্ষেপ করে। তবে এই হামলায় হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে সরাসরি আঘাত নতুন মাত্রার উদ্বেগ তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে এই হামলা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।সূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র