বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চরফ্যাশনে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী ফ্রি চক্ষু মেডিকেল ক্যাম্প।সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ফ্যাশন স্কয়ার প্রাঙ্গণে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে এবং কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সার্বিক সহযোগিতায় এ ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি কয়ছর আহমেদ কমল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোফরান মহাজন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ভুট্রু এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক কামাল গোলদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ক্যাম্পে উপজেলার কয়েকশ’ চক্ষু রোগীকে ঢাকা থেকে আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:০৬ পিএম
চরফ্যাশনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চারা বিতরণ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভোলার চরফ্যাশনে চারা বিতরণ ও বৃক্ষ রোপণ অভিযান পালিত হয়েছে।সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে ভোলা-৪ (চরফ্যাশন -মনপুরা) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী এডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার উদ্যোগে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন কুমার বসাক।আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা সার্জেন্ট (অব.) সৈয়দ আহমেদ, দুলারহাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাছির আহাম্মেদসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।পরে শরীফপাড়ায় এডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়ার নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে শতাধিক মানুষের মাঝে বিভিন্ন প্রকার ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।এডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী নানা সামাজিক ও মানবিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৭ পিএম
মনপুরায় আলাউদ্দীন হত্যায় এক আসামীর যাবজ্জীবন
ভোলার মনপুরায় আলোচিত ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন হত্যা মামলায় এক আসামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক শওকত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মনপুরার চর ফৈজউদ্দীন গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দীন স্থানীয় ফকিরহাট বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসার পাশাপাশি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট শাখা পরিচালনা করতেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ব্যবসায়িক বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের ভাই জাফর হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সাতজনের বিরুদ্ধে দুটি চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামীর বিচার শিশু আদালতে চলমান থাকায় চারজন প্রাপ্তবয়স্ক আসামীর বিরুদ্ধে এ মামলার বিচারকাজ পরিচালিত হয়।আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আসামি আবু কালাম হত্যায় ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। এ আলামতকেই মামলার প্রধান প্রমাণ হিসেবে গণ্য করে আদালত। যদিও হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।রায়ে আদালত আসামি মো. আবু কালাম (৩৯)-কে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে আসামি মো. জয়নাল, এস ও কালাম ও মো. রনিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।চরফ্যাশন আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হযরত আলী হিরণ বলেন, “দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আলোচিত এ হত্যা মামলার এক আসামীর বিরুদ্ধে আদালতের রায় প্রমাণ করেছে, অপরাধীরা যে–ই হোক, আইনের চোখে কেউ ছাড় পায় না।’’ভোরের আকাশ/জাআ
২৭ আগস্ট ২০২৫ ০৮:০৬ পিএম
বিএনপির ২ নেতাকে হত্যাচেষ্টা: গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির দুই নেতাকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৪ টার দিকে চরফ্যাশন একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপি ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের মাষ্টার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, চরমানিকা ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল হোসেন নামে এক ভারাটে সন্ত্রাসী গত ১৭ আগষ্ট দুপুরে দক্ষিণ আইচা বাজার বাসস্ট্যান্ড মোড়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক মো.রেজাউল করিম খন্দকারকে এবং আমাকে ধারালো বগি দা দিয়ে অতর্কিতভাবে কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে মারাত্মক জখম ও রক্তক্ষরণ অবস্থায় পড়ে থাকলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আমাদের অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এঘটনার পরেরদিন (১৮ আগষ্ট) অভিযুক্ত আবুল হোসেন সহ ৯ জনের নামীয় ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করছে না। আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং ২০ আগষ্ট বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ আইচা বাজারে একটি নাটকীয় ও বিতর্কিত প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে মামলার আসামী সহ তাদের লোকজন। সভায় বলেছেন, রেজাউল করিম খন্দকার দক্ষিণ আইচা মৌজার চরে জেগে ওঠা জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে রেখেছেন। প্রকৃতপক্ষে ভূমিহীনদের বৈধ কাগজপত্র থাকায় ভূমিহীনরা তাদের জমিতে ভোগ দখলে রয়েছে। প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকারকে রাজনৈতিক মোকাবিলা করতে না পেরে তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। তাতেও তারা সফল না হওয়ায় তার চরিত্র হননের চেষ্টা করছে আসামিসহ তাদের লোকজন। আমি অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে বক্তব্যে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বশার হেলালি, চরমানিকা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মুন্সি, শ্রমিক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক সেকান্তর পাটোয়ারী, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোস্তফা শেখ, যুবদল নেতা সিরাজ ফরাজী প্রমুখ। দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভুঁইয়া বলেন, বিএনপির দুই নেতাকে হামলাকারী আবুল হোসেনকে চিহ্নিত করেছি। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করলে ঘটনার সাথে কে কে জড়িত আছে জানা যাবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২১ আগস্ট ২০২৫ ০৭:১৮ পিএম
চরফ্যাশনে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম
ভোলার চরফ্যাশনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বিএনপির দুই নেতাকে।রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ আইচা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন—দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. রেজাউল করিম খন্দকার (৪৮) এবং একই থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু তাহের মাষ্টার (৪০)।অভিযুক্ত হামলাকারী আবুল হোসেন (৪০), চরমানিকা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিন মিয়ার ছেলে।চরফ্যাশন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আহত বিএনপি নেতা আবু তাহের মাষ্টার বলেন, রবিবার দুপুরে প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকার ও আমি তার বাসা থেকে বের হয়ে জোহরের নামাজ আদায় করতে মসজিদে রওনা হলে বাসস্ট্যান্ড মোড়ে অস্ত্রধারী আবুল হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে রেজাউল করিম খন্দকারকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাকেও তার হাতের অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সে পালিয়ে যায়। আবুল হোসেন স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনীর ইন্ধনে আগ থেকেই সেখানে উৎপেতে ছিলেন।পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নেয়া হয়। সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।তিনি আরও বলেন, রেজাউল করিম খন্দকারের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রধারী আবুল হোসেনকে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আবুল হোসেনের সাথে আমার বা রেজাউল করিম খন্দকারের পূর্বে কোনো বিরোধ নাই। আমরা এই ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক নিঝুম নাহিয়া বলেন, মো. রেজাউল করিম খন্দকার ও আবু তাহের নামে দুইজন ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের দুজনকে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রভাষক রেজাউল করিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার ৭টি স্থানে মারাত্মক ক্ষত হয় এবং আবু তাহেরের একটি স্থান ক্ষত হয়। এ অবস্থায় তাদের দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনজুর হোসেন এবং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক প্রিন্স মহাজন ও সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম খন্দকারের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় একদল সন্ত্রাসীরা আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা উপজেলা বিএনপি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। দ্রুত অপরাধীকে গ্রেফতার করুন। আর যাতে কোনো অপরাধী এহেন কর্মকাণ্ড না ঘটাতে পারে সেই ব্যবস্থাও করুন।এই ঘটনার পরপর অভিযুক্ত আবুল হোসেন পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভুঁইয়া বলেন, বিষয়টি শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ আগস্ট ২০২৫ ০৬:৫১ পিএম
চরফ্যাশনে সাবেক চেয়ারম্যানের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রভাষক মো. রেজাউল করিম খন্দকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দক্ষিণ চর আইচা এলাকার ভূমিহীন পরিবারগুলো।রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে চরফ্যাশনের একটি স্থানীয় পত্রিকা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূমিহীনদের পক্ষ থেকে মো. আবু তাহের মাস্টার।বক্তব্যে তিনি বলেন, “সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় এবং ‘নব্য বিএনপি’ নামের একটি ফেসবুক ফেক আইডি থেকে প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকার সমিতির জমি দখল করেছেন—এমন ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ ছড়ানো হয়েছে। এসব সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”তিনি আরও জানান, দক্ষিণ চর আইচা মৌজার ৩৬৫টি ভূমিহীন পরিবার ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ‘ভূমি বন্দোবস্ত নীতিমালা-৯৭’ অনুযায়ী যৌথ নামে দেড় একর করে জমি বন্দোবস্ত পান। ডিসিআর, রেজিস্ট্রি, কবুলিয়াত ও খতিয়ান পাওয়ার পর নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে সরকারিভাবে জমির ভোগদখল বুঝে নেন তারা। সর্বশেষ বিডিএস জরিপেও এসব জমি ভূমিহীনদের নামে অন্তর্ভুক্ত হয়।সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি লালমোহন উপজেলার বজলুল রহমান ও চর আইচা গ্রামের ফারুক আখন জাল কাগজপত্র তৈরি করে ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। ভূমিহীনরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম খন্দকারকে জানানো হলে তিনি উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই করে বজলুল ও ফারুককে ওই জমিতে চাষাবাদে বাধা না দিতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়।ভূমিহীনদের দাবি, চর আইচা মৌজায় রেজাউল করিম খন্দকারের কোনো বন্দোবস্তকৃত জমি নেই। তাই তার নামে প্রকাশিত অপপ্রচার বন্ধ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমিহীন মোস্তাক শেখ, মাওলানা নাসির, সেলিম, মোস্তাফিজ, মাকসুদ, আক্তার হোসেনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।এ বিষয়ে লালমোহনের বজলুল রহমান ও ফারুক আখনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ আগস্ট ২০২৫ ১০:০১ পিএম
চরফ্যাশনে ছাত্রদলের ঐতিহাসিক বিজয় র্যালী
জুলাই গণঅভ্যুথানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ঐতিহাসিক বিজয় র্যালী।শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে এসএসসি ব্যাচ-২০১৭-এর আয়োজনে ও কলেজ ছাত্রদল সদস্য সচিব নুরে আলম মৃধার নেতৃত্বে প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী এ র্যালীতে অংশ নেন।র্যালীটি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের বাসভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জনসভায় রূপ নেয়। চরফ্যাশনের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটিই ছাত্রদলের সবচেয়ে বড় র্যালী হিসেবে আলোচনায় এসেছে।জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আ.ন.ম আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ।সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সাবেক ছাত্রদল সভাপতি রিয়াদ সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সাবেক যুবদল সভাপতি আশ্ররাফুর রহমান দিপু ফরাজী, বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মীর শাহাদাৎ হোসেন সায়েদ, শ্রমিকদল সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ।প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মো. আলী মুর্তজা এবং উদ্বোধক ছিলেন সদস্য সচিব মো. জাহান সিকদার।সভায় নুরে আলম মৃধা বলেন, "চরফ্যাশনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের নেতৃত্বে আমরা মাঠে আছি, নির্বাচনে বিজয় না আসা পর্যন্ত রাজপথে থাকব।"ভোরের আকাশ/জাআ
০৯ আগস্ট ২০২৫ ১০:১৭ পিএম
চরফ্যাশনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি: ১ শ পরিবারের মাঝে চারা বিতরণ
বেসরকারি সংস্থা সুশীলনের উদ্যোগে এবং উপকূলবন্ধুর সৌজন্যে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর শিবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একশত পরিবারের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুশীলনের প্রকল্প সমন্বয়কারী রেখা ইয়াসমিন, উপজেলা সমন্বয়কারী জগন্নাথ রায়, বুলবুল আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, জোছনা বালা। এছাড়া সুশীলন চরফ্যাশন টিমের মাঠ পর্যায়ের কর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।আয়োজকরা জানিয়েছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।বিতরণকৃত চারার মধ্যে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা ছিল। এই কর্মসূচি স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।সুবিধাভোগী পরিবারগুলো গাছের চারা পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছে এবং সেগুলো রোপণ ও পরিচর্যার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।সুশীলন এবং উপকূলবন্ধুর এই যৌথ উদ্যোগটি চরফ্যাশন এলাকায় সবুজায়ন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।ভোরের আকাশ/জাআ
০৭ আগস্ট ২০২৫ ০৯:২২ পিএম
‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে চরফ্যাশনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে ভোলার চরফ্যাশনে শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ১২ শহীদের কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।এ উপলক্ষে প্রথমে জাহানপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মালিক মুন্সি বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে শহীদ ফজলে রাব্বির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি। এরপর শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।ছবি: ভোরের আকাশএকই সময়ে উপজেলার নজরুল নগর, হাজারীগঞ্জ, আহমেদপুর, নুরাবাদ, ওসমানগঞ্জ, চর মাদ্রাজ, নীলকমল, ওমরপুর ও রসুলপুর ইউনিয়নে অবস্থিত শহীদদের কবর জিয়ারত করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমদাদুল হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরা শহীদদের কবর জিয়ারত করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করেন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও অন্যন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৫ আগস্ট ২০২৫ ১১:১২ এএম
চরফ্যাশনে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান
ভোলার চরফ্যাশনে সড়ক নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলা সদরের বিআরডিবি সড়কে এ চেকপোস্ট অভিযান শুরু হয়, যেখানে অংশ নেয় নৌবাহিনীর সদস্য ও ট্রাফিক পুলিশ।অভিযান চলাকালে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় বেশ কিছু মোটরসাইকেল আরোহীকে আটক ও জরিমানা করা হয়। তল্লাশির আওতায় ছিল প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল।চরফ্যাশন ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই নাইম জানান, দুর্ঘটনা রোধ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান চলছে। তিনি বলেন, “মোটরসাইকেল আরোহীদের অনেকে হেলমেট ব্যবহার করেন না এবং অতিরিক্ত গতিতে চলাচল করেন, যা বিপজ্জনক।”তিনি আরও জানান, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে নৌবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে।চেকপোস্ট পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও জনগণের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা।ভোরের আকাশ/জাআ
০২ আগস্ট ২০২৫ ০৫:২৩ পিএম
কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে চরফ্যাশনের গ্রামীণ জনপদ
ভোলার চরফ্যাশনে টিআর, কাবিখা ও কাবিটার মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের অভূতপূর্ব উন্নয়নের পাল্টে গেছে গ্রামীণ জনপদের চিত্র। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ববধায়নে গ্রামীণজনপদে কাঁচা সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও মেরামত ভরাটসহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফলে গ্রামীণ জনপদের আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। যার সুফল এখন গ্রামের সাধারণ মানুষ ভোগ করছে।প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানাগেছে, চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের জন্য চলতি অর্থবছরে ১৫৯টি ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে টিআরের ২ কোটি ৬৮ লাখ, কাবিখার অনুকূলে ২৫৫ মেঃ টন গম ও কাবিটা প্রকল্পের আওয়াতায় ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দের কাজ মার্চ মাস থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। বিন্তু বৈরি আবহাওয়া ও অতি বৃষ্টিপ্রাতের কারণে প্রায় সব প্রকল্পের কাছের সমাপ্ত হলেও বিচ্ছিন্ন কিছু প্রকল্পে নিদিষ্ট সময় কাজ শুরু করা হয়। বৈরি আবহাওয়ার করণে কিছু মাটির কাজের আংশিক সম্পন্ন করা হলেও কিছু কাজের বিঘ্ন হয়। ইতিমধ্যেই ওইসব কাজগুলো সম্পন্ন করার কাজ চলমান রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।সরেজমিন উপজেলার একাধিক প্রকল্পে ঘুরে দেখা যায়, চরফ্যাশনের অবহেলিত জনপদে মানুষের যোগাযোগের জন্য চরফ্যাশন উপজেলা জুড়ে গড়ে উঠেছে সড়ক। যা বিগত সরকারের সময় ছিঁটেফোঁটা কাজ না হলেও সরকার পতনের পর চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা জন্য বরাদ্দকৃত কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। গ্রামগঞ্জের অবহেলিত কাঁচা সড়ক গুলো নির্মাণের ফলে নিত্যদূর্ভোগের লাগব হয়েছে। এতে দূর্দশা থেকে মুক্তি পেয়েছে চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ।হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মফিজল ইসলাম জানান, ওই ইউনিয়নের সিকদারের দোকান থেকে প্রায় দুই কিলো মিটারের এই কাঁচা সড়কটি ছিলো দুই গ্রামের মানুষের গলার কাঁটা। সরকারের পর সরকার এলেও ছিঁটেফোঁটা কাজ হয়নি এই সড়কের। বর্ষায় হাঁটু পানি বয়ে স্কুলে যেতে দুর্ভোগে ছিলেন শিক্ষার্থীরাসহ দুই গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ। কিন্তু বর্তমান সময়ে গ্রামীণ জন উন্নয়নের বরাদ্দ থেকে সড়কটি নির্মাণ করে দেয়ার কারণে দূর্ভোগ কেটেছে মানুষের। এতে সড়কটি নির্মাণের ফলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ।রসুলপুর ইউনিয়নের মালেক ডুবাই জানান, ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর মসজিদের মুসল্লি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি দির্ঘ ৪০ বছরেও কোন মাটির ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু বিগত বছর গুলোতে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে ধরণা ধরেও কোন প্রতিকার মেলেনি। কিন্ত চলতি বছরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করলে তিনি এই সড়কটির জন্য বরাদ্দ দেন। সেই বরাদ্দ দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করে দিয়ে দুই গ্রামের মানুষের দূরদর্শা লাগব হয়েছে।এওয়াজপুর ইউনিয়নের শিক্ষার্থী তানহা জানান, সড়কে হাঁটু পানির কারণে বর্ষার মৌসুমে স্কুলে যেতে পারিনি। সড়কে বর্ষায় হাঁটু পানি দিয়ে স্কুলে যেতে প্রায় সময় বই খাতা ও জামা কাপড় ভিঁজে যেতো। কিন্তু এবছরে রাস্তাটি নির্মাণ করায় এখন আর স্কুলে যেতে কোন কষ্ট হয় না। এখন তিনি নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছেন।রসুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ঢালচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম জানান, এই বিদ্যালয়টি ঢালচরের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে রসুলপুর ইউনিয়নের স্থানান্তর করা হয়েছে। তার বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে থাকার কারণে খেলাধুলা বঞ্চিত হতো শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের ঘর বর্ষার মৌসুমে পানি পড়ার কারণে লেখা পড়ায় বিঘ্ন হতো। কিন্তু এবছরে সরকারী বরাদ্দ দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট ও ঘরটি সংস্কার করে দেয়ায় এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের কষ্ট লাগব হয়েছে।জিন্নাগড় তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, তার ওয়ার্ডে তিনটি প্রকল্পের কাজের তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন। তার ইউনিয়নের অবহেলিত তিনটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজগুলো সম্পন্ন করায় ওই গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ কেটেছে। এতে গ্রামের মানুষ চলাচলের সুবিধা ভোগ করেছেন।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জি এম. ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, কাবিখা, কাবিটা ও টিআর এই তিনি প্রকল্পের সকল কাজগুলো যেনো স্বচ্ছতার সাথে হয় তাই প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসন সহ আমি তদারকি করছি। বর্ষার কারণে অনেক স্থানে কাজ আংশিক বন্ধ রয়েছে। সেসব কাজ গুলো এখন চলমান রয়েছে। কাজের কোন অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি কাজ যেনো স্বচ্ছতার সাথে হয় তাই তারা প্রতিদিন নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছেন। সঠিকভাবে কাজ বুঝে নিয়ে সিভিসিদের অর্থ ছাড় দেয়া হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি জানান, সকল সিভিসিদের (ইউপি সদস্য) পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজে যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না করা হয়। যদি অনিয়ম হয় তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আমি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়কটি প্রকল্প পরিদর্শন করে আসছি সবকটিতে ভালো মানের কাজ হয়েছে। আশা করি বাকি গুলোতেও ভালো হবে।তিনি আরও জানান, দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া ও তীব্র বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে কিছু কাজ আংশিক সম্পন্ন হলেও একেবারে সম্পন্ন হয়নি। সেসব কাজগুলো এখন চলমান রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে কিছু মানুষ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আমি এসব মহলকে আহবান করবো যাতে তারা সরেজমিনে গিয়ে কাজগুলো দেখে আসেন। প্রকল্পের একটি টাকাও যেন অপচয় না হয় এবং সবকিছুই জনগণের স্বার্থে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য আমি নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি।ভোরের আকাশ/জাআ