গাজীপুরের শ্রীপুরে ২০২৪ এর জুলাই আন্দোলনকে স্মরণ করতে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে "শ্রীপুরে জুলাই' শীর্ষক আলোচনা সভা।শনিবার (১২ জুলাই) বেলা ১১টায় শ্রীপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে আকন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার জাহিদ হাসান আকন্দ।আলোচনা সভায় ২৪ এর আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীরা তাদের স্মৃতিচারণ ও আন্দোলনের পটভূমি ব্যাখ্যা করে আলোচনা করেন।ব্যারিস্টার জাহিদ হাসান আকন্দ বলেন, ২৪ আন্দোলন স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলন ছিল। তাদের সফলতায় আজ আমাদের সামনে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্থের পথ খুলেছে। আমরা নতুন এক বাংলাদেশের পথে হাটছি এখন। এ আন্দোলনে যারা নিজের জীবন উপেক্ষা করে অংশ নিয়ে সফল করেছেন তাদের আমরা সম্মান জানাতে ও শ্রীপুরে জুলাইকে স্মরনীয় করতেই এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ জুলাই ২০২৫ ০২:২০ পিএম
সরকার বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দিচ্ছে
জুলাই আন্দোলন স্মরণে সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।বুধবার (৯ জুলাই) অপারেটরদের এই নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।এতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন, জন আকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনস্বার্থে ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে ঘোষণা উপলক্ষ্যে গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা এবং গত ৮ জুলাই কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটরা আগামী ১৮ জুলাই গ্রাহকদের ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ফ্রি ডাটা দেবে। এ ছাড়া অপারেটরগুলো গ্রাহকদের ফ্রি ডাটা দেওয়ার বিষয়টি এসএমএসের মাধ্যমে আগেই অবহিত করবে।এসএমএসটি সম্পর্কে বিটিআরসি জানায়, কেউ কেড়ে নেবে না ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ১৮ জুলাই পাচ্ছেন ১ জিবি ডাটা ফ্রি। মেয়াদ ৫ দিন।বিটিআরসি অপারেটরদের এই পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এবং দিবসটি পালনে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ জুলাই ২০২৫ ০৩:৩৬ এএম
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন পলক
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয় দীপু মনিকে। এ সময় তার হাতে তসবিহ দেখা যায়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তসবিহ জপতে দেখা যায় তাকে। গ্রেপ্তার দেখানোর ওপর শুনানি শেষে আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার সময়ও একইভাবে তসবিহ হাতে রাখেন দীপু মনি।এদিকে, আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদেছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরোনো ছিল। পরে তাকে কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। এ সময় তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আদালতের বারান্দায় তাকিয়ে ছিলেন। বাইরে থাকা স্বজনদের সঙ্গে ইশারায় নানা ইঙ্গিত করছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের দিকে তাকিয়েই হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। তার চোখে পানি দেখে বারান্দায় থাকা স্বজনরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।গত বছরের ১৫ আগস্ট খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় পলককে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ১৯ আগস্ট রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অনেকগুলো হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ড ভোগ করেন তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ জুলাই ২০২৫ ১১:৩৩ পিএম
জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো মুবিনের পাশে তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে দৃষ্টি হারানো মুবিনকে ঈদের শুভেচ্ছা এবং আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা মুবিনের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে পৌঁছে দেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে পুলিশের ছোড়া গুলি তার বাম চোখের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান চোখের পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়া মুবিনকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং পরে বেসরকারি ভিশনআই হাসপাতালে তার একাধিক অপারেশন সম্পন্ন হয়।পিতৃহারা মুবিন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ভিশনআই হাসপাতালে তার চিকিৎসায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান না থাকায় বর্তমানে তিনি স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে কোনো সহায়তা না পাওয়ার বিষয়টি মুবিন ও তার মা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন।এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১০ জুন ২০২৫ ১২:৪৮ এএম
জুলাই আন্দোলনের ১৩ শহীদ পরিবারকে বিএনপির আর্থিক অনুদান
ভোলার চরফ্যাশনে জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ১৩ পরিবারের মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় চরফ্যাশনের ব্রজগোপাল টাউন হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে এই অনুদান বিতরণ করেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম।অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া,উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মীর শাহাদাৎ হোসেন ছায়েদ।এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুর রহমান দিপু ফরাজি, স্বেচ্ছাসেবক নেতা ফিরোজ, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরু সাজি, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আমজাদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।অনুদান গ্রহণ করতে আসা শহীদ ফজলুর পিতা আমিনুল হক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ফজলু ছিল আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান। তাকে হারিয়ে আমরা দিশেহারা। ঈদের আগে বিএনপির দেওয়া এই সহযোগিতা আমাদের মতো অসহায় পরিবারের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি আনবে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো খোঁজ কেউ নেয়নি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, এই শহীদ পরিবারগুলো শুধু বিএনপির নয়, পুরো জাতির সম্পদ। যে কোনো প্রয়োজনে বিএনপি তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ শহীদদের ‘বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চরফ্যাশনের ১৩ জন তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে তাদের পরিবারকে অনুদান দেওয়া হয়েছে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে। আমরা এই পরিবারগুলোর পাশে থাকব এবং তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব। শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থেকে ভবিষ্যতেও বিএনপির সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৬ জুন ২০২৫ ০১:৩৭ পিএম
জুলাই যোদ্ধাদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহত ও তাদের পরিবারের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২ জুন) বিকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কাজও চলমান। শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘শহীদদের’ পরিবার এবং আহতদের ভাতা দেওয়ার নীতিমালা করা হবে। এছাড়া তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘শহীদদের’ পরিবার ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।এদিন বিকাল ৩টায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে এ বাজেট উপস্থাপন করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও তা প্রচার হয়। এবার বাজেটের আকার ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা।এর আগে, সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় অনুমোদন পায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। বাজেট প্রস্তাব পাস হবে ৩০ জুন; ১ জুলাই শুরু হবে নতুন অর্থবছর। সবশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয় ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ জুন ২০২৫ ০৯:৪৯ পিএম
চক্ষু ইনস্টিটিউটে জুলাইয়ের আহতদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষ
ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে আহত এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় চিকিৎসক, কর্মচারীদের অনেকে আহত হয়েছেন বলে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চিকিৎসক জানে আলম জানিয়েছেন।বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টার পর থেকে সংঘর্ষ শুরু হলে রোগীর স্বজনরাও তাতে যোগ দেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের ডাকা হয়।হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের অবস্থা খুবই বাজে। কর্মচারীরা ইনসিকিউরড ফিল করায় কর্মবিরতি পালন করছে। আন্দোলনকারীরা তাদের ওপর হামলা করেছে, আবাসিক কোয়ার্টার ভাঙচুর করেছে।জুলাই আহতদের একজন হিল্লোল বলেন, স্টাফরা আমাদের ও পাবলিকের ওপর হামলা করেছে। আমি ছেলেপেলেদের ঠেকাতে ব্যস্ত।ঘটনার জেরে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানান এক চিকিৎসক।ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (তেজগাঁও) আলমগীর কবির বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।এর আগে মঙ্গলবার ইনস্টিটিউট পরিচালকের কক্ষে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আন্দোলনে আহত চারজন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুইসাইড অ্যাটেম্পটকারীদের মধ্যে একজন পেট্রল নিয়ে আসায় নিরাপত্তা শঙ্কা আরও বাড়ে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষপানকারী চারজন বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তারা শঙ্কামুক্ত।ভোরের আকাশ/এসএইচ