জুলাই আন্দোলনের ১৩ শহীদ পরিবারকে বিএনপির আর্থিক অনুদান
ভোলার চরফ্যাশনে জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ১৩ পরিবারের মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় চরফ্যাশনের ব্রজগোপাল টাউন হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে এই অনুদান বিতরণ করেন দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম।
অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া,উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মীর শাহাদাৎ হোসেন ছায়েদ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুর রহমান দিপু ফরাজি, স্বেচ্ছাসেবক নেতা ফিরোজ, পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরু সাজি, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আমজাদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
অনুদান গ্রহণ করতে আসা শহীদ ফজলুর পিতা আমিনুল হক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ফজলু ছিল আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান। তাকে হারিয়ে আমরা দিশেহারা। ঈদের আগে বিএনপির দেওয়া এই সহযোগিতা আমাদের মতো অসহায় পরিবারের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি আনবে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে কোনো খোঁজ কেউ নেয়নি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, এই শহীদ পরিবারগুলো শুধু বিএনপির নয়, পুরো জাতির সম্পদ। যে কোনো প্রয়োজনে বিএনপি তাদের পাশে আছে এবং থাকবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এ শহীদদের ‘বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চরফ্যাশনের ১৩ জন তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। ঈদ উপলক্ষে তাদের পরিবারকে অনুদান দেওয়া হয়েছে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে। আমরা এই পরিবারগুলোর পাশে থাকব এবং তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাব। শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থেকে ভবিষ্যতেও বিএনপির সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চরকাচি কাটা(সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের বাড়ি সংলগ্ন) এলাকার রানু বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর এলাকার চরকান্দি থেকে একটি হত্যা মামলার আসামী কাজী রাসেল সবুজকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প।গ্রেফতারকৃত আসামী ঢাকার ইব্রাহিমপুর থানার পশ্চিম শেওড়া পাড়ার মৃত কাজী কেরামত আলীর ছেলে।বর্তমানে সে উপজেলার যাদুয়রচর এলাকায় বসবাস করেন।সে আগে নিহত রানু বেগমের বাড়িতে ভাড়া ছিলেন।নিহতের বাড়িতে চুরির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সন্দেহ করার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে রানু বেগমকে হত্যা করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানান। নিহত রেনু বেগমকে গত ২২ সেপ্টেম্বর নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলায় উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দীর্ঘদিন প্রেমের পর বিয়ে; তারপরও শ্বশুরবাড়িতে জায়গা হচ্ছিল না তরুণীর। অনেক জোরাজুরি ও অনুরোধের পরও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিয়ের কাগজপত্র, ছবি ও ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণাদি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন ওই তরুণী।কিন্তু, মীমাংসার বদলে তাকে সইতে হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। গাছের সঙ্গে বেঁধে ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণীকে নির্যাতন করেছে ছেলের বাড়ির লোকজন। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। ইতোমধ্যে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।এদিকে নির্যাতনের শিকার তরুণী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।স্থানীয়রা জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল গ্রামের আব্দুর রশিদের (২৪) প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পরে তারা আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আব্দুর রশিদ তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে তরুণীকে নিয়ে রাতও কাটান। পরে স্বামীর বাড়িতে উঠতে চাইলে রশিদ ও তার পরিবার সম্পর্ক অস্বীকার করেন।বৃহস্পতিবার বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে রশিদের বাড়িতে গেলে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় তাকে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘আমার কাছে কোর্ট ম্যারেজের কাগজপত্র, ভিডিও, ছবিসহ সব প্রমাণ আছে। ওরা আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে মোবাইলে আমার সম্পর্ক হয়। পরে বেড়াতে গেলে সে ও তার লোকজন আমাকে আটকিয়ে মোবাইল ফোন এবং টাকাপয়সা কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে উকিল ডেকে জোর করে কাগজে সই নেয়। সে আমার বাড়িতে এসে ফাঁসি দিতে চেয়েছিল। এ কারণে তাকে বেঁধে রাখা হয়।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দুটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ, জৈন্তাপুরের আবাসিক প্রকৌশলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৩৩ কেভি লাইনে গাছপালা কর্তন এবং ডিএস (ডিসকানেক্ট সুইচ) পয়েন্টে কপার আই ক্লাম স্থাপনসহ অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জৈন্তাপুর ৩৩ কেভি ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।ফলে উপজেলার দরবস্থ, চাঙহিল ও জাফলং ফিডার বন্ধ থাকবে। কাজ শেষে যথারীতি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। উন্নয়নমূলক ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/মো.আ.
পিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমার (৪৬) আহত হন।অসীম কুমার জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যালয় শেষে প্রধান শিক্ষক বিপুলের মোটরসাইকেলে তিনি পিরোজপুর শহরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের ঝরঝরিয়াতলা এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেলে এসে তাদের পথরোধ করে। পরে তারা বিপুল মিত্রকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তার দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয়। এ সময় অসীম কুমারও হামলায় আহত হন।স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে বিপুল মিত্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার অর্থোপেডিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সহকারী শিক্ষক অসীমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রঞ্জন কুমার বলেন, বিপুল মিত্রকে দুই পা ও ডান হাত ভাঙা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এলিজা জামান জানান, মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পর বিকেলে এ হামলার খবর পান।পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.