ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমে নতুন নিয়ম: ১৬ বছরের নিচে একা লাইভ নয়
ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা চালু করতে যাচ্ছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ বছরের নিচে কেউ একা লাইভে যেতে পারবে না।পূর্বে ১৩-১৫ বছর বয়সীরা একা লাইভে আসতে পারলেও এখন তাদের জন্যও লাইভে প্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইউটিউব জানিয়েছে, নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য অনলাইন নিরাপত্তা, সাইবারবুলিং প্রতিরোধ ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।নতুন নিয়ম অনুযায়ী:১৬ বছরের নিচে একা লাইভ স্ট্রিম নিষিদ্ধ১৩-১৫ বছর বয়সীদের লাইভে প্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকের সরাসরি উপস্থিতি প্রয়োজনলাইভ চলাকালীন প্রাপ্তবয়স্ককে ক্যামেরার সামনে এবং স্ট্রিমের গুরুত্বপূর্ণ অংশে থাকতে হবেপ্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবককে চ্যানেলের এডিটর, ম্যানেজার বা মালিক হিসেবে যুক্ত করতে হবেনিয়ম ভাঙলে কী হবে?লাইভ চ্যাট ও সুপার চ্যাট ফিচার সাময়িকভাবে স্থগিতবারবার নিয়ম লঙ্ঘন করলে চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারেএকাধিক চ্যানেল খুলে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলে নীতিমালা লঙ্ঘনের আওতায় পড়বেইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো স্ট্রিম সরিয়ে দেওয়া হলে ই-মেইলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে শিশু সুরক্ষা আইন কঠোর হওয়ায় ইউটিউবসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আগেভাগেই নিজেদের নীতিমালা আপডেট করছে। অনলাইনে শিশুদের মানসিক নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ।ভোরের আকাশ//হ.র
০১ জুলাই ২০২৫ ০৩:০১ এএম
সৌদিতে চালু হলো বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ক্লিনিক
চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলো সৌদি আরব। বিশ্বে প্রথমবারের মতো চালু হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নির্ভর একটি আধুনিক ক্লিনিক, যেখানে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেবে এআই চিকিৎসক ‘ডক্টর হুয়া’।সৌদির আলমুসা গোষ্ঠীর উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই বিশেষ ক্লিনিকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে চীনের সিন-ই নামের একটি এআই প্রতিষ্ঠান। রোগীরা আগে থেকেই নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ক্লিনিকে যেতে পারবেন— লম্বা লাইনের ঝামেলা বা দীর্ঘ অপেক্ষার প্রয়োজন পড়বে না।ক্লিনিকে পৌঁছানোর পর ‘ডক্টর হুয়া’ রোগীর সঙ্গে কথোপকথন শুরু করে তার সমস্যার ধরন বুঝে নেবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে। এরপর সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে একটি চিকিৎসা প্রেসক্রিপশন তৈরি করবে, যা পরে একজন মানব চিকিৎসক যাচাই ও অনুমোদন করবেন।যদিও পুরো ব্যবস্থাটির কেন্দ্রে এআই প্রযুক্তি, তবুও চিকিৎসার প্রতিটি ধাপই থাকছে মানব চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে। এছাড়া ক্লিনিক পরিচালনায় থাকবেন সহকারী কর্মী, নিরাপত্তাকর্মীসহ অতিরিক্ত জনবল।প্রকল্পটির অন্যতম লক্ষ্য— আউটডোর ভিত্তিক চিকিৎসাসেবাকে আরও কার্যকর ও সময়োপযোগী করে তোলা। তবে এই সেবায় এখনো জরুরি বিভাগে এআই প্রয়োগ করা হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ও জটিল পরিস্থিতি সামাল দিতে এখনো এআই পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।ভাষা ছিল এ প্রকল্পের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে নির্মাতাদের দাবি, ‘ডক্টর হুয়া’ বহুভাষায় পারদর্শী, ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রোগীরাও অনায়াসে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।এই প্রকল্পটি ১৮ মাস মেয়াদি একটি পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে শুরু হয়েছে। সিন-ই এর সিইও ঝ্যাং শাওদিয়ান বলেন, “এতদিন এআই চিকিৎসকদের সহকারী হিসেবে কাজ করেছে, এবার পুরো দায়িত্বই তার হাতে তুলে দিচ্ছি।”তবে এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করবে সময় ও বাস্তব প্রয়োগের ফলাফলের ওপর।ভোরের আকাশ//হ.র
২৬ জুন ২০২৫ ০২:৫১ এএম
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ‘স্ট্যাটাস শেয়ার’ অপশন
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর! স্ট্যাটাস পছন্দ হলেও এতদিন সেটি শেয়ার করার সুযোগ ছিল না। তবে এবার সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে আনছে নতুন ফিচার—‘স্ট্যাটাস শেয়ার’ অপশন।হোয়াটসঅ্যাপে এখন অনেকেই নিজের ছবি, ভিডিও, গান বা নানা মুহূর্ত শেয়ার করেন স্ট্যাটাসে। শুধু দেখা বা রিঅ্যাক্ট করা গেলেও এতদিন সেটি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা যেত না। কিন্তু এখন থেকে পছন্দের স্ট্যাটাস অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করাও সম্ভব হবে।কীভাবে কাজ করবে এই ফিচার?এই ফিচার ব্যবহার করতে গেলে স্ট্যাটাস পোস্ট দেওয়ার সময় ‘Allow Sharing’ অপশনটি চালু রাখতে হবে। যদি আপনি এই অপশন অন না করেন, তাহলে আপনার স্ট্যাটাস শেয়ার করা যাবে না।একইভাবে, আপনি অন্যের স্ট্যাটাস যদি পছন্দ করেন এবং সেই স্ট্যাটাসে ‘Allow Sharing’ চালু থাকে, তাহলে সেটিও শেয়ার করতে পারবেন সহজেই।স্ট্যাটাস শেয়ার করলেও ফেসবুকের মতো মূল প্রেরকের নাম দেখা যাবে না। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি অনুযায়ী, শেয়ারের ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস কার করা তা গোপনই থাকবে।এর আগেও ছিল সীমিত শেয়ার ফিচারবর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে এক ধরনের শেয়ার অপশন রয়েছে, তবে তা কেবল তখনই কাজ করে, যদি কাউকে স্ট্যাটাসে মেনশন করা হয়। নতুন এই ‘শেয়ার’ ফিচার সেই সীমাবদ্ধতাও দূর করবে।শুধু শেয়ার নয়, হোয়াটসঅ্যাপ এনেছে আরও একটি কাজের আপডেট—মেসেজের অংশবিশেষ কপি-পেস্টের সুবিধা। অর্থাৎ আপনি এখন আর পুরো মেসেজ নয়, প্রয়োজনীয় অংশটুকু কপি করে অন্যত্র ব্যবহার করতে পারবেন।নতুন এই ফিচারগুলো হোয়াটসঅ্যাপকে শুধু ইনবক্সের জন্য নয়, বরং আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ ও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত করছে। প্রযুক্তির দুনিয়ায় ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা যতো উন্নত হয়, ততই এগিয়ে যায় প্ল্যাটফর্ম—আর হোয়াটসঅ্যাপ ঠিক সেই পথেই হাঁটছে।ভোরের আকাশ//হ.র
২৪ জুন ২০২৫ ১২:৩৯ এএম
চ্যাটজিপিটির পর এবার অ্যাপলের চমক, এআই প্রযুক্তিতে বড় পদক্ষেপ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন পিছিয়ে নেই অ্যাপলও। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, নিজেদের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘সিরি’-তে এআই প্রযুক্তি সংযোজনের পাশাপাশি, শক্তিশালী এআই কোম্পানি পারপ্লেক্সিটি অধিগ্রহণের কথাও ভাবছে মার্কিন টেক জায়ান্টটি।এমন প্রেক্ষাপটে, শুক্রবার অ্যাপলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন শেয়ারহোল্ডাররা। তাদের অভিযোগ, অ্যাপল ইচ্ছাকৃতভাবে সিরি-তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযোজনের দীর্ঘ সময় নেওয়ার বিষয়টি গোপন রেখেছে। এতে করে আইফোনের বিক্রি হ্রাস পেয়েছে এবং কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এবার ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি পথে হাঁটছেন।এদিকে, ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, অ্যাপলের শীর্ষ কর্মকর্তারা এআই প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানি পারপ্লেক্সিটি অধিগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করছেন। যদিও পারপ্লেক্সিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এমন কোনো আলোচনা সম্পর্কে অবগত নয়।প্রসঙ্গত, পারপ্লেক্সিটি এমন একটি অনুসন্ধান প্রযুক্তি তৈরি করেছে, যা মানুষের প্রশ্নের সহজ ও সরাসরি উত্তর দিতে সক্ষম—যা অনেকটা চ্যাটজিপিটি বা গুগলের মতোই। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ১৪ বিলিয়ন ডলার বলে জানা গেছে। অ্যাপল যদি প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয়, তবে সেটি হবে কোম্পানির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ।এর আগে মেটা (Meta) পারপ্লেক্সিটি কিনতে চেয়েছিল। পাশাপাশি তারা সম্প্রতি স্কেল এআই নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৪.৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইউনিটের দায়িত্ব দিয়েছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অ্যাপল ভবিষ্যতে তাদের ইন্টারনেট ব্রাউজার সাফারি-তে এআই নির্ভর সার্চ ইঞ্জিন চালু করতে পারে, যা গুগলের সঙ্গে তাদের বর্তমান অংশীদারিত্বকে প্রভাবিত করতে পারে।প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এআই এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। আর সেই দৌড়ে অ্যাপলের এমন কৌশল তাদের নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের।ভোরের আকাশ//হ.র