ফেনী-৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরুদ্ধে দাখিল করা একটি আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুনানির দিন ধার্য করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন অডিটোরিয়ামে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন সেন্টুর দাখিল করা এই আপত্তিকে কেন্দ্র করে ফেনী-৩ এবং ফেনী-২ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।আপত্তি প্রসঙ্গে জামাল উদ্দিন সেন্টু বলেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফেনী-৩ আসনের যে সীমানা ছিল, তা ভৌগোলিকভাবে অনেক বেশি সুবিধাজনক ছিল।তিনি বলেন, "ভৌগোলিক দিক থেকে সোনাগাজীর তিন দিকে নদী, একপাশে নোয়াখালী। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সীমানা ছিল ফেনী সদরের পাঁচ ইউনিয়ন ফরহাদনগর, ফাজিলপুর, লেমুয়া, ছনুয়া এবং ধলিয়াসহ সোনাগাজী উপজেলা। এতে যোগাযোগ সহজ ও উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রেও সুবিধা ছিল।"তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান সীমানায় দাগনভূঞা উপজেলার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দূরত্ব একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তারা কোনো নতুন সীমানা দাবি করছেন না, বরং পূর্বের সীমানায় ফিরে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।এই আপত্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূঁইয়া। তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে বললেন, "নির্বাচনী আসন সীমানায় সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সীমানায় দাগনভূঞার সঙ্গে সোনাগাজীর দূরত্ব রয়েছে। প্রধান সড়ক ধরে যেতে হলে লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।"ফেনী-৩ আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ফেনী-২ আসনের ওপর। সেক্ষেত্রে ফেনী-২ আসনের সীমানা হবে ফেনী সদর উপজেলার বাকি সাতটি ইউনিয়ন এবং দাগনভূঞা উপজেলা নিয়ে, যা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ছিল। তবে এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছেন ফেনী-২ আসনে জামায়াতের দলীয় প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞা।তিনি বলেন, "আমরা এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। কারণ শুধু সদর উপজেলা নিয়ে ফেনী-২ আসনের সীমানা হলে যোগাযোগ ও কাজের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক। এতে কাজের পরিবেশও সুন্দর থাকে।"এদিকে, ফেনী-২ আসন থেকে তিনবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, "সীমানা সম্পর্কিত আপত্তির বিষয়টি জানা নেই। এ মুহূর্তে প্রসঙ্গটিতে বক্তব্য দিতে চাই না।"ভোরের আকাশ/মো.আ.