নীলফামারী সরকারি কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কলেজের পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত শিশুরা হলো, নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের মতিউর রহমানের মেয়ে সাফরিন আক্তার (৬) ও কুন্দপুকুর ইউনিয়নের পাটকামুড়ী গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে তানহা আক্তার (৫)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুই শিশু বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় তারা পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা পুকুরপাড়ের কাছে তাদের ভাসতে দেখেন। পরে তাদের উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।তানহা আক্তারের চাচা মিজানুর রহমান জানান, দুই শিশু খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে। আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে মরদেহ দুটি দাফনের ব্যবস্থা করছি।তিনি জানান, তানহার বাবা জহুরুল ইসলাম শহরের উকিলের মোড়ের বিসমিল্লাহ কম্পিউটার সেন্টারের মালিক এবং সাফরিনের বাবা মতিউর রহমান নীলফামারী সোনালী ব্যাংকের কর্মচারী।নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ হোসেন বলেন, ‘স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দুটি পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:২২ এএম
গোপালগঞ্জে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশুর নাম সাদমান শেখ (৬)। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার মাচারতারা গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশু সাদমান দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে পানিতে ডুবে যায় সাদমান। পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মৃত শিশু সাদমান এর মা-বাবা জীবন-জীবিকার জন্য ঢাকায় থাকেন। সাদমান তার দাদা-দাদীর কাছে থাকতো।ভোরের আকাশ/জাআ
০১ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৩৮ এএম
নবীনগরে ভিমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিষাক্ত ভিমরুল পোকার কামড়ে তামিম (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তামিম উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জুলাইপাড়া গ্রামের মেহেরুল ইসলামের ছেলে।বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিমরুল পোকার কামড়ে তামিম নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক।বুধবার সকালে ভিমরুল পোকার কামড়ে আহত হয় শিশু তামিম। পরে তাকে স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নেওয়া হয়; অবস্থার অবনতি ঘটলে দুপুর ২টার দিকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, ভিমরুল কামড়ানোর পর যদি দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হতো, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁচানোর সুযোগ ছিল। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সময় নষ্ট হওয়ায় শিশুটি মারা গেছে।ভিমরুলসহ বিষাক্ত পোকার কামড়ে কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।ভোরের আকাশ/জাআ
০১ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৪০ এএম
মধুখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মেছড়দিয়া গ্রামের ইমামুল শেখ (৭) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।শিশুর পিতার নাম মো. জামাল শেখ। শিশুটি স্থানীয় আর এম একাডেমির প্রে শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা সিঙ্গাপুর প্রবাসি।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিশু ইমামুলকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি কামালদিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে বেড়াতে গেলে সোসবার সকালে ওই শিশুটি নানি বাড়ীর পাশের খাদে বর্শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য যায়। বাড়ীতে ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে একটি পানির খাদ থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।ভোরের আকাশ/জাআ
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৬ এএম
রাজবাড়ীতে ইজিবাইক পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
রাজবাড়ী পাংশার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইজিবাইক খাদে পড়ে আরিফ (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।নিহত আরিফ ওই ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নিজাম প্রামাণিকের ছেলে।বাবা -মা ঢাকাতে চাকরি করায় সে পার্শ্ববর্তী তারাপুর গ্রামে নানা আমজাদ মণ্ডলের বাড়িতে থাকতো।স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, তারাপুর গোরস্তান সংলগ্ন শিশুটির নানা বাড়ির সামনে নানা আমজাদ প্রামাণিকের একটি বিচেলী (খর) বিক্রয়কারী দোকান রয়েছে।সোমবার সন্ধ্যার দিকে বাহাদুপুর থেকে হাবাসপুরগামী একটি অটো গাড়ি বিচেলী (খর) কেনার জন্য ওখানে এসে থামে। এসময় শিশুটি নানার দোকানেই ছিল।অটো চালক অটোর স্ট্রাট অফ করে চাবি রেখেই বিচেলী কিনতে ব্যস্ত হয়ে পরে। এরই কোন এক ফাঁকে সকলের অগোচরে শিশুটি অটোতে উঠে স্ট্রাট দিলে অটোটি কয়েক গজ সামনে এগিয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী খাদে গিয়ে উলটে পড়ে। অটো পড়ে যেতে দেখে চালক সহ স্থানীয়রা দ্রুত এসে অটাটি উদ্ধার করে। এসময় শিশুটিকে খুঁজে না পাওয়ায় সন্দেহ হলে স্থানীয়রা খাদের পানিতে তল্লাশি চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:১২ এএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭২, ক্ষুধা-অনাহারে শিশুসহ আরও ৭ মৃত্যু
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ক্ষুধায় মারা গেছেন আরও ৭ জন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭১৮ জনে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে এক শিশুসহ আরও ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত একদিনে ৭২ জনের মরদেহ হাসপাতালে পৌঁছেছে, আহত হয়েছেন আরও ৩৫৬ জন। এতে ইসরায়েলি হামলায় মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জনে। অনেক নিহত এখনো ধ্বংসস্তূপ আর রাস্তায় পড়ে আছে, উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ৮৭ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৪৬৫ জনে, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ হাজার ৯৪৮ জন।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুর্ভিক্ষে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১১ জনে, যাদের মধ্যে ১৪২ জন শিশু।এর মধ্যে শুধু গত মাসে জাতিসংঘ সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইপিসি গাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকে ১৩৩ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ২৭ জনই শিশু।মূলত চলতি বছরের মার্চের শুরু থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের জনপদটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষে পতিত হয়েছে।এরপর ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করার পর এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১৭০ জন নিহত এবং ৫১ হাজার ৮১৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি কার্যত ভেঙে যায়।এর আগে গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।একইসঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) মামলা চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:০৯ এএম
শ্বাসনালিতে নুডলস আটকে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শ্বাসনালিতে নুডলস আটকে গিয়ে সাত মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুর নাম ফাতেমা জান্নাত। সে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ডিলার পাড়া এলাকার জাহেদুল ইসলামের মেয়ে।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে।পরিবারের সদস্যরা জানান, জন্মের পর কয়েক মাস মায়ের বুকের দুধ খেলেও কিছুদিন আগে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পাঁচ মাস বয়স থেকেই ফাতেমাকে মসলাবিহীন সেদ্ধ নুডলস খাওয়ানো হতো। ছোট্ট এ শিশুটি নুডলস খেতেও পছন্দ করত। সাধারণত একটি নুডলস তিন ভাগে ভাগ করে তাকে খাওয়ানো হতো। কিন্তু সেদিন অসাবধানতাবশত একসঙ্গে বেশি নুডলস দেওয়ায় তা শ্বাসনালিতে আটকে যায়।এসময় পরিবারের লোকজন দ্রুত শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, খাবার আটকে শ্বাস নিতে না পারায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।শিশুর দাদি শাহীন আক্তার বলেন, “নুডলস আটকে যাওয়ার পর আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসক জানান, শ্বাসরোধ হয়ে সে মারা গেছে।”ভোরের আকাশ/জাআ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৯ এএম
গোপালগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পানিতে ডুবে অয়ন ঢালি নামের ৪ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত অয়ন হলেন তালপুকুরিয়া গ্রামের নারায়ন ঢালি ও সীমা ঢালীর একমাত্র সন্তান। পরিবারের একমাত্র সন্তান নিহত হওয়ায় আত্মীয়-স্বজনসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।জানাগেছে, দুপুর ২টার দিকে অয়ন দাদির সঙ্গে নিজেদের পুকুরের পাশে থাকা পোল্ট্রি মুরগির ফার্মে যায়। এসময় দাদি মুরগির খাবার দিচ্ছিলেন। কিছু সময় পর অয়নকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির লোকরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। আশেপাশে কোথাও না পেয়ে ফার্মের নিচে পুকুরের পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় অয়নকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, “হাসপাতাল থেকে ফোনে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। হাসপাতাল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবার ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ভোরের আকাশ/হ.র
২৯ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৩০ এএম
সাভারে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু
সাভারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রাতুল (১৩) নামে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন রাতুলের বাবা জাহিদুর রহমান (৪২)। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. জুয়েল মিঞা। এর আগে গত ১৮ আগস্ট সাভারের স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাতুলের টনসিলের অপারেশন হলে চিকিৎসা অবহেলায় তার মৃত্যু হয়। মৃত রাতুল (১৩) মানিকগঞ্জ জেলা সদরের কসবা এলাকার জাহিদুর রহমানের ছেলে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শামীম আহম্মেদ ওই হাসপাতালে নিয়ে রাতুলের অপারেশন করান। মামলার আসামিরা হলেন- ডাক্তার আসিফ আল মেহেদী ওরফে অনিক (ইএনটি) (৪৫), ডাক্তার শাজাহান (৪৫) (এনেস্থিসিয়া), মানিকগঞ্জ জেলা সদরের চান্দিরচর এরাকান তমেজ মুহরির ছেলে ও সাভার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ শামীম আহম্মেদ (৫২), মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার মজলিসপুর গ্রামের শহীদ মফিজ উদ্দিনের ছেলে ও হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ মোঃ বাবুল (৬৫), হাসপাতাল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ আসাদ (৪৫) সহ অজ্ঞাত নামা ডাক্তার ও নার্সরা। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিবাদী শামীম ভুক্তভোগী পরিবারের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ছেলের সমস্যার কথা খুলে বলেন বাবা জাহাঙ্গীর। তিনি ছেলের চিকিৎসার জন্য সাভার স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিতে বলেন। তার কথা অনুযায়ী গত ১৮ আগস্ট ছেলে রাতুলকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। দুপুর আড়াইটার দিকে দায়িত্ব থাকা লোকজনদের সাথে কথা বলে ডাক্তারের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে বলেন শামীম। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপারেশন করতে হবে বলে জানায়।রাতুলের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ছেলের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর আমার ছেলের রিপোর্ট আমাকে দেয়নি। ডাক্তার ঠিকমত রিপোর্ট দেখছে কিনা সেটাও জানায়নি। আমাকে কিছুই না জানিয়ে শামীম আহম্মেদ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটর রুমে আমার ছেলেকে নিয়ে যায়। রাত ১১ টার দিকে আমার ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় অপারেশন থিয়েটর থেকে কেবিনে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন লাগায়। কিছুক্ষণ পর ছেলের নাক দিয়ে রক্ত আসে। আমার ছেলের অক্সিজেন সরবরাহও বন্ধ ছিল। এসময় হাসপাতালের স্টাফদের বারবার বলার পরও তারা আমার ছেলের কাছে আসে নাই। আমার ছেলের অক্সিজেন বন্ধ থাকায় আমরা পুনরায় ডাক্তার নার্সদের ডাকাডাকি করিলে কেউ আসে নি। অনেকক্ষণ পর আমার ছেলেকে পুনরায় অপারেশন থিয়েটরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শামীম আমাকে বলে আমার ছেলেকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। পরে সমস্ত টেস্টের কাগজ নিয়ে এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে টেস্টগুলো পর্যবেক্ষন করে জানতে পারি, আমার ছেলের ইসিজি রিপোর্টে (Incomplete Right Bundle Branch Block) আছে। এই অবস্থায় রোগীকে কোন অবস্থায় অপারেশন করানো যাবেনা এবং কার্ডিওলজী স্পেশালিষ্ট ডাক্তারের কাছে রেফার করতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ওই হাসপাতালে রোগীকে অপারেশন করার পর আইসিইউ (ICU) না থাকায় সরাসরি কেবিনে হস্তান্তর করা হয়। আমরা মৃত ছেলেকে নিয়ে সাভার স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেলে অবহেলার কথা জিজ্ঞাস করলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এছাড়া আমার ও আমার স্ত্রীর উপর অর্তিকিত হামলা করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সাভার স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে চিকিৎসায় অবহেলা করে আমার ছেলের মৃত্যু ঘটায়। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, হাসপাতালে অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২১ আগস্ট ২০২৫ ০৭:০০ এএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডোবার পানিতে তিন শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ডোবার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।রোববার সকাল ও বিকেলে আলাদা দুটি ঘটনায় মারা যায় তারা। এরমধ্যে চাঁপাইননবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চরমোহনপুর-চকপাড়ার একটি ডোবায় ডুবে মারা যায় দুই শিশু।চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মতিউর রহমান ও শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মৃতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চরমোহনপুর-চকপাড়ার কাউসার আলী লিটনের ছেলে মোজাহিদুর রিহান (৭) ও মো. খোকনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল আরিয়ান (৫) ও শিবগঞ্জ উপজেলার দশরশিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (১০) মাস।সদর থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, মহানন্দা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে চরমোহনপুর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। সেখানকার একটি ডোবায় জমে থাকা পানিতে ডুবে যায় মোজাহিদুর ও আরিয়ান। পরে দুইজনের মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাঃ মনিরা খাতুন বলেন, বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের ইসিজি করে মৃত ঘোষণা করি এবং পুলিশকে খবর দিলে তারা প্রক্রিয়াধীন করে।এ ব্যাপারে সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।অন্যদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলার দশরশিয়া এলাকায় বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ডুবে মারা যায় আবু সাঈদ নামে ১৩ মাস বয়সের এক শিশুর। বাড়ির পাশে খেলার সময় অসাবধানতা ডোবায় পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানান শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া।ভোরের আকাশ/জাআ
১৭ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৪২ এএম
টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে এসে হাউজবোট থেকে পানিতে ডুবে মাসুম (৫ ) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৫ টার দিকে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।নিহত মাসুম মিয়া সিলেটের শেখঘাট এলাকার কবির আহমদের ছেলে।তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সিলেটের শেখঘাট এলাকা থেকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিবারের সাথে বেড়াতে আসে শিশু মাসুম মিয়া। দুপুরে হাওরের লালনতরী নামের একটি হাউজবোট থেকে পরিবারের অগোচরে হঠাৎ পানিতে পড়ে শিশু মাসুম নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন ও অন্যান্য পর্যটকরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকাল ৫ টায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, পরিবারের সম্মতিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র