ছবি- সংগৃহীত
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শনিবার (২২ নভেম্বর) হোটেল থামেল পার্কে “এশিয়ার বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে উন্নয়নে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে “নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরাম এবং নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিল।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নাইন সিং মাহার, নেপালি কংগ্রেসের শিক্ষা বিভাগের প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সাগর পান্ডে, কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির উপাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন তীর্থ রাজ খানিয়া, সাবেক উপাচার্য, ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কৃত হন জেকের উদ্দিন সম্রাট, ডিরেক্টর, নিউজ অ্যান্ড ব্রডকাস্ট, মাই টিভি। পরিবেশ ও পশুসম্পদ রক্ষায় অবদানের জন্য সম্মাননা পান ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান, ডক্টরস ডিজিটাল লিমিটেড। স্বাস্থ্য ও কল্যাণ প্রচারে ক্রীড়ার ভূমিকার জন্য সম্মাননা পান দীর্ঘদূরত্ব দৌড়বিদ মো. নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ হাসান), অফিসার, এনআরবিসি ব্যাংক।
সফল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কৃত হন মো. জামশেদ খান রিয়াজ, চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি বাজার, এছাড়াও নেপাল, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশের আরও কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের শিক্ষা বিভাগের প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাইন সিং মাহার। প্রধান বক্তা ছিলেন কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাগর পান্ডে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তীর্থ রাজ খানিয়া, নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দ্র রিজাল, কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ডা. বোধ রাজ অধিকারী এবং হোটেল থামেল পার্ক প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষ্ণা ঢাকাল।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এমএইচ আরমান চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফোরামের পরিচালক ড. কিরণ ভট্ট এবং নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিলের পরিচালক ও গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশনের সিইও আরকে রিপন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শনিবার (২২ নভেম্বর) হোটেল থামেল পার্কে “এশিয়ার বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে উন্নয়নে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।অনুষ্ঠানে “নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরাম এবং নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিল।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নাইন সিং মাহার, নেপালি কংগ্রেসের শিক্ষা বিভাগের প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সাগর পান্ডে, কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির উপাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন তীর্থ রাজ খানিয়া, সাবেক উপাচার্য, ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে পুরস্কৃত হন জেকের উদ্দিন সম্রাট, ডিরেক্টর, নিউজ অ্যান্ড ব্রডকাস্ট, মাই টিভি। পরিবেশ ও পশুসম্পদ রক্ষায় অবদানের জন্য সম্মাননা পান ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান, ডক্টরস ডিজিটাল লিমিটেড। স্বাস্থ্য ও কল্যাণ প্রচারে ক্রীড়ার ভূমিকার জন্য সম্মাননা পান দীর্ঘদূরত্ব দৌড়বিদ মো. নাহিদুল ইসলাম (নাহিদ হাসান), অফিসার, এনআরবিসি ব্যাংক।সফল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কৃত হন মো. জামশেদ খান রিয়াজ, চেয়ারম্যান, ট্রাস্টি বাজার, এছাড়াও নেপাল, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশের আরও কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা লাভ করেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের শিক্ষা বিভাগের প্রধান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাইন সিং মাহার। প্রধান বক্তা ছিলেন কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাগর পান্ডে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তীর্থ রাজ খানিয়া, নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট চন্দ্র রিজাল, কাঠমান্ডু ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ডা. বোধ রাজ অধিকারী এবং হোটেল থামেল পার্ক প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষ্ণা ঢাকাল।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এমএইচ আরমান চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফোরামের পরিচালক ড. কিরণ ভট্ট এবং নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিলের পরিচালক ও গ্লোবাল স্টার কমিউনিকেশনের সিইও আরকে রিপন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মেট্রোরেলের র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস অনলাইন রিচার্জ প্রক্রিয়া চালু হতে যাচ্ছে আজ।ফলে কার্ডধারীরা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে এই দুটি পাসে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন।মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে এই প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।অনুষ্ঠানে অনলাইন রিচার্জ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, আজকে আমাদের জন্য আসলে খুবই এক্সপেক্টেড একটা দিন। এটাকে বলতে পারি যে বহুল কাঙ্ক্ষিত। অনেকেই বলছিলেন যে, এই যে আমাদের স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে দিন কাটা এবং অনেক ভিড় অনেক মানুষের অনেক হয়রানি হচ্ছে। এটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছি সেটি লাঘব করতে। আজকে সেই উদ্যোগের আমরা শুভ সূচনা করতে যাচ্ছি। যা আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক সহজ নিরাপদ ও সময় উপযোগী করে তুলবে।তিনি বলেন, আমাদের মেট্রোরেলে এখন ১৬টি স্টেশন আছে। প্রতিটি স্টেশনে দুটো করে এই মেশিন বসিয়েছি। আপনি বাসায় বসে বা স্টেশনের বাইরে থেকে রিচার্জ করে এসে মেশিনে ট্যাব করবেন তখন আপনার রিচার্জ সফল দেখাবে।সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস বলেন, আসলে মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে পলিসি সাপোর্ট দেওয়া। ডিএমটিসিএল বাংলাদেশে যোগাযোগ সেক্টরে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়ন করেছে। আমরা যারা ব্যবহার করি বা ভবিষ্যৎ ব্যবহার করব তাদেরকে যত স্বাচ্ছন্দে স্বচ্ছতার সাথে নির্বিঘ্নে আমরা টিকিট কাটা থেকে ভ্রমণ সহযোগিতা দিতে পারবো সেটা আমাদের যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আছে এটা আমাদের কর্তব্য।যেভাবে পাস রিচার্জ করবেনঅনলাইন রিচার্জ করার জন্য প্রথমে ব্যবহারকারীকে www.rapidpass.com.bd ওয়েবসাইট বা অ্যাপ–এ নিবন্ধন করতে হবে এবং প্রয়োজনে তার র্যাপিড পাস কার্ডটিও রেজিস্টার করতে হবে। যেকোনো পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে, তবে এভিএমে (AVM) ট্যাপ করার আগ পর্যন্ত রিচার্জটি “Pending/অপেক্ষমাণ” অবস্থায় থাকবে। এভিএমে ট্যাপ করার পর রিচার্জ করা ব্যালেন্স আপডেট হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সফল রিচার্জের পর নিবন্ধিত মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে। একবারে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায় এবং আগের পেন্ডিং রিচার্জ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন রিচার্জ করা যায় না। যদি কার্ড ব্ল্যাকলিস্টেড, রিফান্ডেড বা অবৈধ হয়, তবে রিচার্জ করা সম্ভব নয়। ব্যবহারকারী তার রিচার্জ হিস্ট্রি অ্যাপ বা ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।রিচার্জ বাতিলের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী চাইলে এভিএমে ট্যাপ করার আগে ৭ দিনের মধ্যে রিফান্ডের অনুরোধ করতে পারেন, তবে এ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হবে। কোনো কার্ড ব্ল্যাকলিস্টেড থাকার কারণে অনলাইনে রিচার্জ করা হলেও এভিএমে ট্যাপ না করা পর্যন্ত ব্যালেন্স আপডেট সম্ভব না হলে ব্যবহারকারী রিফান্ড চাইতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রেও একই হারে ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ খান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, এসএসএল কমার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।ভোরের আকাশ/তা.কা
ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান এর পিতা শনিবার দিবাগত রাত একটা ২৫ মিনিটে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইলের আইসিইউতে চৈতার পীর আলহাজ্ব মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ৮৮ বছর। দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলে ও মেয়ের সংসারে ১৪ জন নাতি-নাতনি ও অজস্র ভক্তবৃন্দ রেখে গেছেন। রোববার (২৩ নভেম্বর) প্রথম জানাজা ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল কাকরাইলে সকাল ৭ টায় এবং পটুয়াখালী জেলাধিন মির্জাগঞ্জ উপজেলার চৈতা নেছারিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা মাঠে আসর নামাজ বাদ অনুষ্ঠিত হবে। পটুয়াখালী জেলাধীন মির্জাগঞ্জ উপজেলার চৈতা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম সাধক পীরে কামেল আলহাজ্ব মাওলানা ইউনুস (রহ) ছিলেন আধ্যাত্মিক জগতের উচ্চ মাকামের একজন ওলিয়ে কামেল। তিনি তার জীবনে সবটুকু সময় ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজে নিবেদিত করেছেন। তিনি ছারছীনা দরবার শরীফের অন্যতম খলিফা ছিলেন। এই বংশেরই অষ্টম পুরুষ হেশামত উদ্দিন খান ইসলামের সূতিকাগার সুদূর ইরান থেকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসেন।মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান একটি অজপারাগায়ে জন্ম নিলেও তার প্রতিভার বিকাশ ঘটেছে জাতীয় পর্যায়। নিজ বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা। নিজ বাড়ি ছাড়াও নিজ জেলা পটুয়াখালীর বিভিন্ন স্থান ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছেন এমপিওভুক্ত আলিয়া মাদ্রাসা। তিনি একদিকে একজন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন, লেখক, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনেক পাঠ্য তার হাতে লেখা।চৈতা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে কর্মরত অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বোর্ড অফ গভর্নর ছিলেন। এছাড়াও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অনেক বিষয়ে হেড এক্সামিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সংগঠনিকভাবে বাংলাদেশ জমিয়তে হিজবুল্লাহরকেন্দ্রিয় নায়েবে আমির, মজলিসের সুরের স্পিকার ছিলেন। বেসরকারি শিক্ষকদের তদানীন্তন একক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেসিনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ কাজী এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। আশির দশকে স্কুল কলেজ মাদরাসার সম্মিলিত শিক্ষক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পদ ছিলেন। ইবতেদায়ী মাদ্রাসার রূপকার তিনি। রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামীর সদস্য ছিলেন এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে বহু দেশে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাংলাদেশের সমস্যা সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন। তিনি সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ বিশ্বের প্রায় ২১টি দেশ সফর করেছেন।সর্বশেষ অধ্যক্ষ পদ থেকে অবসরের পর নিজ ইউনিয়ন ১ নং মাধবখালী ইউনিয়ন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি চৈতা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে তার স্বপ্নের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে আছেন। তারপর বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতি কথা অনেক, তার জীবনের পুরোটা সময় মানব সেবায়নিষ্ঠার সাথে কাজ করে গেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্ব খাদ্য দিবস আজ। ‘হাত রেখে হাতে, উত্তম খাদ্য ও উন্নত আগামীর পথে’ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।খাদ্য উৎপাদনে দেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করলেও এই দিনে একটি বড় প্রশ্ন সামনে এসেছে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও তাদের ন্যূনতম খাদ্য নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশের ১৯.২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার জন্ম দিয়েছে।গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। চাল, মাছ, মাংস এবং সবজি উৎপাদনে দেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং কিছু পণ্য রপ্তানির পর্যায়েও পৌঁছেছে।জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে প্রধান খাদ্যশস্যের উৎপাদন তিন থেকে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, কৃষিখাতে বিনিয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সঠিক নীতি সহায়তার কারণেই এই সাফল্য এসেছে।চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে খাদ্যশস্যের মজুত ছিল ২১ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অক্টোবরের শুরুতে তা কিছুটা কমে ১৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যখন খাদ্যভাণ্ডার পরিপূর্ণ, অন্যদিকে তখন শহরের বস্তি থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের বহু পরিবারে তিনবেলা খাবার জোটানো এক কঠিন সংগ্রাম। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এবং দিনমজুরদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অপুষ্টির শিকার হয়ে অনেক শিশু স্কুলে যাচ্ছে এবং গর্ভবতী মায়েরা প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান দারিদ্র্য পরিস্থিতি সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বড় বাধা। বিবিএসের দারিদ্র্য মানচিত্র অনুযায়ী, ২০২২ সালের তুলনায় দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।জরিপে দেখা যায়, গ্রামীণ দারিদ্র্য সামান্য কমলেও (২০.৫% থেকে ২০.৩%) শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। শহরে এই হার ১৪.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৬.৫ শতাংশ হয়েছে।বিভাগীয় পর্যায়ে বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার সর্বোচ্চ (২৬.৬%) এবং চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বনিম্ন (১৫.২%)। জেলা পর্যায়ে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা মাদারীপুর, যেখানে ৫৪.৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।অন্যদিকে, নোয়াখালী জেলায় দারিদ্র্যের হার মাত্র ৬.১ শতাংশ। এই বৈষম্য উপজেলা ও শহর পর্যায়ে আরও প্রকট। মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় দারিদ্র্যের হার ৬৩.২ শতাংশ, যা দেশের সর্বোচ্চ। বিপরীতে, ঢাকার পল্টন থানা এলাকায় দারিদ্র্য মাত্র ১ শতাংশ।রাজধানী ঢাকাতেও এই বৈষম্য স্পষ্ট। কামরাঙ্গীরচরের ১৯.১ শতাংশ এবং ভাষানটেকের ১৬.২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হলেও ধানমন্ডিতে এই হার মাত্র ১.৫ শতাংশ এবং গুলশানে ৩.২ শতাংশ।১৯৭৯ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সম্মেলনে হাঙ্গেরির প্রস্তাবে বিশ্ব খাদ্য দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করা। খাদ্য সংকট মোকাবিলায় এবং যুদ্ধ ও সংঘাতে খাদ্যের ব্যবহার বন্ধে ভূমিকা রাখায় ২০২০ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ