চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৬ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভা করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। মঙ্গলবার বিকেল ৩ টা থেকে রাত পর্যন্ত উথলী ইউনিয়নের ১০টি স্থানে তিনি নির্বাচনী পথসভা করেন।
পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু বলেন, ভোটের অধিকারের জন্য দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর বিএনপির প্রতিটা নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষ সর্বশেষ ছাত্রজনতাকে জীবন দিতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। তার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি ভোটের অধিকার। ভোটের অধিকার আমরা প্রয়োগ করতে পারবো আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে আপনি আপনার ইচ্ছামতো ভোটের অধিকার প্রোয়াগ করতে পারবেন। এই ভোটের অধিকার প্রয়োগ করা মানে খুব ছোটভাবে দেখা হয়, আসলে ছোট না। বিষয়টা হচ্ছে এই, আপনিযে দেশের মালিক, আপনিযে রাষ্ট্রের মালিক সেটা প্রমাণ করা। পাঁচ বছর পরপর আমরাযে ভোট দেওয়ার অধিকারটা পাই, সেটা হচ্ছে দেশ কারা পরিচালনা করবে সেটা নির্ধারিত হয়। এইযে ভোটের অধিকার আমরা ফিরে পেয়েছি, এটার জন্য যে সংগ্রাম আমাদের করতে হয়েছে, এটা রক্ষা করার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। সেটা হচ্ছে চিন্তা-ভাবনা করে সঠিক যায়গায় আপনার ভোটটা দিতে হবে।
যারা দীর্ঘ ১৬ বছর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপিড়ন করে গেছে, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়েছে, কিন্তু আমরা আমাদের ঈমানটা ঠিক রেখে যে যার মতো যে যায়গায় ছিলাম সে যায়গায় আছি। আপনাদের যে অধিকার যেটা ফিরে পেয়েছেন সেটা যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ না করি তাহলে আমরা এই অধিকারটা কিন্তু আবার হারাবো। বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিভিন্ন দল আসবে, আপনারা আপনাদের বিবেক, বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে যাচাই করে দেখবেন যে কাদেরকে ভোট দেওয়া উচিত। যারা এদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তাদেরকে ভোট দিবেন কিনা? যে দলের নেতা নিজের জীবনবাজী রেখে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনা করে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো তাকে ভোট দিবেন কিনা। আমাদের দলের নেত্রী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন অত্যাচার, নির্যাতন, নিপিড়নের পরও বিভিন্ন প্রলোভনের পরও আপষহীন চরিত্র বজায় রেখে বাংলাদেশের মানুষের সাথে ছিলেন তাঁর দলকে ভোট দিবেন কিনা।
আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বিএনপির মতো একটি বড়ো দলকে ঐকবদ্ধ রেখেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য তাঁর প্রতিনিধিকে ভোট দেবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত আপনাদেরকেই নিতে হবে। ধানেরশীষের পক্ষে আপনাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবেন। নেতাদের সাথে জনগণের দুরত্ব তৈরী করতে দেওয়া যাবে না। যত বেশি দুরত্ব তৈরী করবেন, ততবেশী স্বৈরাচার হয়ে যাবেন। সেটা যেনো না হয়, আমাদেরকে জনগণের কাছে থাকতে হবে সেটাই জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ। তিনি বলেন, কোনো নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিয়ে বেহেশতে যাওয়া যাবে না। বেহেশতে যেতে হলে যার যার আমলের উপর ভিত্তি করে সেটা সিদ্ধান্ত হবে। এছাড়া উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হলে রাজনৈতিকভাবে আপনাকে সচেতন হতে হবে এবং সঠিক যায়গায় আপনার মূল্যবান ভোটের অধিকারটা প্রয়োগ করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম খাঁন খোকন, সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উথলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দীন জাহিদ, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক ঝন্টু, জীবননগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জিল্লুর রহমান, উথলী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক নাজমুল হুসাইন, সদস্যসচিব আরমান আলী, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুচ আলী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি অমিত খান, সাধারণ সম্পাদক রানা আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এনামুল হক, কৃষক দলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রতিটি ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মী ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/জাআ