প্রতিনিধি,কক্সবাজার
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৫৫ এএম
ছবি সংগ্রহীত
ইলিশ মাছের প্রজনন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মৎস্য অধিদপ্তরের জারিকৃত ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে আজ এক উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার নাজিরটেক উপকূলীয় এলাকায় এ যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগর থেকে ধরা মোট ৩২ ব্যারেল মাছ জব্দ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাছগুলো বিভিন্ন ধরনের হলেও অধিকাংশই ইলিশজাতীয় মাছ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মৎস্য অধিদপ্তর প্রতিবছরের মতো এবারও ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা, মজুদ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মা-ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করা এবং সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণ।
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ী গভীর সমুদ্রে গোপনে মাছ শিকার করে তা উপকূলে এনে মজুদ করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বিমান বাহিনী তাদের নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়। পরে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মাছগুলো জব্দ করা হয়।
অভিযানে অংশ নেয়া কোস্ট গার্ড সদস্যরা জানান, নাজিরটেকের উপকূলবর্তী একাধিক গোপন মজুদকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের একটি চক্র সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করে সেগুলো ব্যারেলে ভরে রাখছিল। অভিযানকালে সংশ্লিষ্টদের অধিকাংশই পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয় ৩২ ব্যারেল মাছ।
কোস্ট গার্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “জব্দকৃত মাছগুলো নষ্ট না করে জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব মাছ কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও দুঃস্থ শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হবে।”
কোস্ট গার্ড ও বিমান বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানান, মা-ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতেও এ ধরনের যৌথ অভিযান আরও জোরদার করা হবে। তারা বলেন, “জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সাগর ও উপকূলজুড়ে কঠোর নজরদারি চলছে।”
অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যারা এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরেছে তাদের চিহ্নিত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ//হ.র