সংগৃহীত ছবি
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৯ জন এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরের।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫ হাজার ১১৭ জন। মারা গেছেন ৬১ জন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।শুক্রবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৯ জন এবং বাকিরা ঢাকা সিটির বাইরের। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫ হাজার ১১৭ জন। মারা গেছেন ৬১ জন।ভোরের আকাশ/জাআ
অনেকেই জানেন না, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ শরীরে কী ধরনের প্রভাব ফেলে বা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক সময় অসাবধানতাবশত আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে ফেলি, পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের মতামত জানলে বিভ্রান্তি দূর হবে।সাধারণ চিকিৎসক ডা. রাহুল মেহতার মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ মানেই ওষুধ সঙ্গে সঙ্গে বিষে পরিণত হয়—এই ধারণা ভুল। বেশিরভাগ ওষুধ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকারিতা হারালেও তা সরাসরি ক্ষতিকর হয় না। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, হার্টের ওষুধ বা ইনসুলিনের মেয়াদ শেষ হলে কাঙ্ক্ষিত ফল নাও আসতে পারে। এতে রোগের জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে।স্টেরিস হেলথকেয়ারের সিইও জীবন কাসারা জানান, তরল ওষুধ, ইনসুলিন কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক মেয়াদ পেরোলেই দ্রুত প্রতিক্রিয়া করে। এসব ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হলে শরীরে অস্বস্তিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, হালকা পেটের সমস্যা কিংবা অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। আবার দীর্ঘমেয়াদি রোগে এসব ওষুধ অকার্যকর হয়ে শারীরিক ক্ষতি বাড়াতে পারে।গ্রাম বা শহরের অনেক পরিবারেই ওষুধ জমিয়ে রাখার প্রবণতা রয়েছে। পুরোনো পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক বা সিরাপ ফেলে না দিয়ে রেখে দেন অনেকে। আইকিউরের সিইও সুজয় সান্ত্রা সতর্ক করেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক খেলে সংক্রমণ পুরোপুরি সারে না, বরং জীবাণু আরও শক্তিশালী হয়ে ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়।ডা. জীবন কাসারার মতে, ওষুধ ফ্লাশ করা বা ডাস্টবিনে ফেলা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে অনেক ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা আছে, সেটিই নিরাপদ উপায়।চিকিৎসকদের মতে, ভুল করে এক-আধবার খেয়ে ফেললে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে নিয়মিতভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ওষুধ ব্যবহারের আগে মেয়াদ দেখে নেয়া ও সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি। ভোরের আকাশ/হ.র
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১২১ জনই বরিশাল বিভাগে। তবে এই সময়ের মধ্যে কেউ মারা যাননি। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৮৫ জন।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, জুলাইয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ২৮৯ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৬ জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ২১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ৩৩৪ জন, বাকি ৮৭৬ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এই বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন জন, এপ্রিলে সাত জন, মে মাসে তিন জন এবং জুনে ১৯ জন মারা গেছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য দিনের একটি বা একাধিক বেলা খাবার না খাওয়ার অভ্যাসে লিপ্ত হন। কেউ মনে করেন, এতে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকে। কিন্তু এ ধারণা কতটা সঠিক?খাবার গ্রহণের পর শরীর খাবারের প্রধান পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে রূপান্তর করে। এই গ্লুকোজ রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায়। তখন অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়, যা গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করিয়ে শক্তিতে পরিণত করে বা সংরক্ষণ করে।বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের নাস্তা বাদ দিলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে। ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নাস্তা না খেয়েছিলেন তাদের লাঞ্চের পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর ফলে প্রিডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।২০২০ সালের আরেকটি গবেষণায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নাস্তা বাদ দিলে রক্তে চিনির মাত্রা আরও খারাপ অবস্থায় চলে যায়।লাঞ্চ বা ডিনার বাদ দিলে রক্তে চিনির প্রভাব পড়লেও তা সকালের তুলনায় কম। কারণ সকালের খাবার মেটাবলিজম শুরু করে, যা না হলে দিনের বাকি সময় শরীরের রক্তচিনির প্রতিক্রিয়া অনিয়মিত হয়।তাই ওজন কমাতে মাঝে মাঝে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবার গ্রহণ বা উপবাস উপকারী হতে পারে, কিন্তু পুরোপুরি খাবার বাদ দেওয়া, বিশেষ করে সকালের নাস্তা না খাওয়া, শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত ও সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমাতে হলে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ, খাবার বাদ দেওয়া নয়।সূত্র: জিও নিউজভোরের আকাশ//হ.র