ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৩ এএম
আল্লাহর রহমত পেতে নামাজে সামনের কাতার পূরণ জরুরি
ইসলামে নামাজের সময় কাতারবদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নামাজে সামনের কাতারগুলো ফাঁকা না রেখে একেকটি কাতার পরিপূর্ণ করা জরুরি। এ বিষয়ে বিভিন্ন হাদিস শরিফে নির্দেশনা এবং সতর্কতা পাওয়া যায়, যা মুসল্লিদের জন্য বড় শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
হাদিসে সামনের কাতার পূরণের গুরুত্ব:
সহিহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে, জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বলা হয়, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, “তোমরা কি সেইভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে ফেরেশতাগণ তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন?” আমরা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন, “ফেরেশতারা প্রথম কাতারগুলো পূর্ণ করে, তারপর কাতারে মিলে দাঁড়ায়।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৩০)
আরেকটি হাদিসে আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবীদের মাঝে কেউ পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন এবং বললেন, “তোমরা সামনে এগিয়ে আসো, আমার অনুসরণ করো। তোমাদের পেছনেররা যেন তোমাদের অনুসরণ করে। এক শ্রেণির লোক থাকবে, যারা সবসময় নামাজে পেছনে থাকবে। আল্লাহও তাদের রহমত থেকে পেছনে রাখবেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৪৩৮)
কাতারে অপূর্ণতা ও সওয়াব:
সুনানে আবু দাউদে এসেছে, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “তোমরা সামনের কাতার পূর্ণ করো, তারপর পরের কাতার। কাতারে যদি কোথাও ঘাটতি থাকে, তা শেষের কাতারে থাকবে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৬৭১)
প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার সওয়াব আলাদা উল্লেখযোগ্য। সহিহ বুখারীতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যদি মানুষ জানতো আজানের ও প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার কত বড় ফযীলত আছে, এবং এটি পাওয়ার জন্য লটারির মতো কোনো মাধ্যম ছাড়া উপায় না থাকতো, তাহলে তারা লটারির মাধ্যমে হলেও এই সওয়াব অর্জন করত।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৫)
উপসংহার:
নামাজে সামনের কাতার খালি না রেখে পূর্ণ করা শুধু নিয়ম নয়, বরং এটি আল্লাহর রহমত অর্জনের অন্যতম পথ। যারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এই বিষয়টি অবজ্ঞা করেন, তারা আল্লাহর রহমত থেকে পেছনে থাকতে পারেন। তাই মুসল্লিদের জন্য জোরালো আহ্বান, নামাজে সতর্কতা অবলম্বন করে কাতারগুলো একেক করে পূর্ণ করে দাঁড়ানোর।
ভোরের আকাশ//হ.র