সংগৃহীত ছবি
ভারতের মহারাষ্ট্রে এক চলন্ত বাসে সন্তান প্রসব করেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। তবে জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই নবজাতকটিকে বাসের জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলা হয়, এবং সেখানেই শিশুটির মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী ও তার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির দাবি, শিশুটির পিতা—যিনি নিজেকে তরুণীর স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন—এই নিষ্ঠুর কাজটি করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাত দিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পারভানি জেলার পাটরি-সেলু সড়কে, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে। ওই তরুণী এবং তার সঙ্গী পুনে থেকে পারভানির উদ্দেশ্যে সান্ত প্রয়াগ ট্রাভেলসের একটি স্লিপার কোচে ভ্রমণ করছিলেন।
বাস চলার সময় গর্ভবতী তরুণীর প্রসবব্যথা শুরু হলে তিনি সেখানেই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। পরে শিশুটিকে কাপড়ে জড়িয়ে বাসের জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
পথচারী এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি দেখতে পান বাস থেকে কাপড়ে মোড়া কিছু একটা বাইরে ফেলা হয়েছে। সন্দেহ হলে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর নাম ঋত্বিকা ধোরে। তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তির নাম আলতাফ শেখ। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও এর কোনো বৈধ প্রমাণ দেখাতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন, শিশুটিকে লালন-পালনের সামর্থ্য না থাকায় তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
বাসচালক জানিয়েছেন, বাসটি স্লিপার কোচ হওয়ায় ভেতরের উপরের ও নিচের বার্থগুলো আলাদা, তাই তিনি শিশুর প্রসব বা ফেলে দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তবে জানালা দিয়ে কিছু পড়তে দেখেছিলেন। জিজ্ঞেস করলে আলতাফ জানান, তার স্ত্রী বমি করেছেন।
ঘটনার পর ঋত্বিকাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং দুজনকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্ত করছে পাটরি থানার পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির নতুন ফৌজদারি ধারাবাহিকতা (বিএনএস) অনুযায়ী ৯৪(৩) ও ৯৪(৫) ধারায়, গোপনে নবজাতককে ফেলে দিয়ে জন্ম গোপন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিশুটিকে যে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তারা আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের মহারাষ্ট্রে এক চলন্ত বাসে সন্তান প্রসব করেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। তবে জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই নবজাতকটিকে বাসের জানালা দিয়ে বাইরে ছুড়ে ফেলা হয়, এবং সেখানেই শিশুটির মৃত্যু ঘটে।এ ঘটনায় ওই তরুণী ও তার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির দাবি, শিশুটির পিতা—যিনি নিজেকে তরুণীর স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন—এই নিষ্ঠুর কাজটি করেছেন।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাত দিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পারভানি জেলার পাটরি-সেলু সড়কে, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে। ওই তরুণী এবং তার সঙ্গী পুনে থেকে পারভানির উদ্দেশ্যে সান্ত প্রয়াগ ট্রাভেলসের একটি স্লিপার কোচে ভ্রমণ করছিলেন।বাস চলার সময় গর্ভবতী তরুণীর প্রসবব্যথা শুরু হলে তিনি সেখানেই একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। পরে শিশুটিকে কাপড়ে জড়িয়ে বাসের জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।পথচারী এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি দেখতে পান বাস থেকে কাপড়ে মোড়া কিছু একটা বাইরে ফেলা হয়েছে। সন্দেহ হলে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে।পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর নাম ঋত্বিকা ধোরে। তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তির নাম আলতাফ শেখ। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও এর কোনো বৈধ প্রমাণ দেখাতে পারেননি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন, শিশুটিকে লালন-পালনের সামর্থ্য না থাকায় তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।বাসচালক জানিয়েছেন, বাসটি স্লিপার কোচ হওয়ায় ভেতরের উপরের ও নিচের বার্থগুলো আলাদা, তাই তিনি শিশুর প্রসব বা ফেলে দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তবে জানালা দিয়ে কিছু পড়তে দেখেছিলেন। জিজ্ঞেস করলে আলতাফ জানান, তার স্ত্রী বমি করেছেন।ঘটনার পর ঋত্বিকাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং দুজনকে আটক করা হয়।মামলার তদন্ত করছে পাটরি থানার পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির নতুন ফৌজদারি ধারাবাহিকতা (বিএনএস) অনুযায়ী ৯৪(৩) ও ৯৪(৫) ধারায়, গোপনে নবজাতককে ফেলে দিয়ে জন্ম গোপন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ জানায়, শিশুটিকে যে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তারা আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ইন্টারনেট গতির ক্ষেত্রে বিশ্বে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (এনআইসিটি) দাবি করেছে, তারা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তরের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।এই পরীক্ষায় ডেটা ১ হাজার ১২০ মাইল বা প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এই গতি যুক্তরাষ্ট্রের গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতির তুলনায় প্রায় ৪০ লাখ গুণ বেশি বলেও জানিয়েছেন গবেষকেরা।লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই গতি এতটাই অসাধারণ যে, ইন্টারনেট আর্কাইভে থাকা সমস্ত তথ্য চার মিনিটেরও কম সময়ে ডাউনলোড করা সম্ভব। ২০২৪ সালে সর্বশেষ রেকর্ড ছিল প্রতি সেকেন্ডে ৫০ হাজার ২৫০ গিগাবাইট—সেই রেকর্ডের চেয়েও দ্বিগুণের বেশি গতি অর্জন করেছে এবার এনআইসিটি।রেকর্ড গড়তে গবেষকেরা নতুন ধরনের অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেছেন। এই ফাইবারের ব্যাস মাত্র ০.১২৭ মিলিমিটার হলেও এটি প্রচলিত একক ফাইবার ক্যাবলের সমান পুরু এবং তাই বিদ্যমান অবকাঠামোতেই এটি ব্যবহারযোগ্য।এনআইসিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ৪৮তম অপটিক্যাল ফাইবার কমিউনিকেশন কনফারেন্সে এই গবেষণার বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়।নতুন ফাইবারটির ভেতরে ১৯টি আলাদা চ্যানেল রয়েছে, যেগুলো একইসঙ্গে আলোর সংকেত বহন করে। এতে করে ডেটা ট্রান্সফারের সময় বিভ্রান্তি বা তথ্য ক্ষতি অনেক কম হয়, ফলে দীর্ঘ দূরত্বেও নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর তথ্য পরিবহন সম্ভব হয়েছে।২০২৩ সালের মার্চ মাসে এই গবেষক দল একই প্রযুক্তিতে উচ্চ গতির ডেটা পরিবহনের পরীক্ষা চালায়, তবে তখন তারা তুলনামূলকভাবে কম দূরত্বে সফলতা পান। এবার বৃহত্তর পরিসরে সফলভাবে ডেটা প্রেরণ এবং সংকেত সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা ২১ বার ঘূর্ণনের পর ডেটা নির্ধারিত রিসিভারে পৌঁছায়—যা ১ হাজার ১২০ মাইলের পূর্ণ দূরত্ব অতিক্রম করে।গবেষকেরা বলছেন, এ রেকর্ড উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, দীর্ঘ পরিসরের এবং বিস্তৃত সক্ষমতাসম্পন্ন অপটিক্যাল যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ডেটা চাহিদা মেটাতে এমন প্রযুক্তির বাস্তব ব্যবহার এখন সময়ের দাবি।পরবর্তী ধাপে তারা এই প্রযুক্তিকে টেলিকম খাতে কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় পরিবর্তন এনেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নতুন স্থানকে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্থান প্রাকৃতিক এবং কিছু স্থান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। ইউনেস্কোর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো বিশ্ব দরবারে আরও পরিচিতি লাভ করবে।ইউনেস্কোর মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় বেশ কয়েকটি নতুন সংযোজনের মধ্যে একটি জার্মানির নিউশওয়ানস্টাইন দুর্গ। এটি জার্মানির বাভারিয়ার একটি বিখ্যাত দুর্গ। এটি জার্মানির অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত দুর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম।জার্মানির ফুসেন শহরের কাছে পোল্লাট গিরিখাতের উপরে এটি অবস্থিত। এই দুর্গটি রাজা দ্বিতীয় লুডভিগ-এর আদেশে নির্মিত হয়েছিল। ১৮৬৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এবং এটি ছিল একটি কল্পনাবাদী স্থাপত্যের নিদর্শন। যদিও এটি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রাজা মারা যান, তবুও এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।দুর্গটি রোমান্টিক স্থাপত্যশৈলীর একটি চমৎকার উদাহরণ এবং এর ভেতরের কক্ষগুলোও দারুণ কারুকার্য করা। পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই দুর্গ। প্রতি বছর এখানে অসংখ্য মানুষ আসে। এটি জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক।ইউনেস্কো প্রতি বছরই নতুন স্থান বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত করে। চলতি বছরও এর ব্যতিক্রম নয়। এই স্থানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত এবং এদের মধ্যে কিছু স্থান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, কিছু স্থান প্রাকৃতিক ঐতিহ্য এবং কিছু স্থান উভয় ধরনের ঐতিহ্য বহন করে। এবার ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় আরও বেশ কিছু নতুন স্থান যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ২১টি মানবিক কারণে সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। যেসব নতুন স্থান ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পেয়েছে সেগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়া: মুরুজুগা সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যব্রাজিল: ক্যাভারনাস দো পেরুচু জাতীয় উদ্যানকম্বোডিয়া: কম্বোডিয়ান স্মৃতিস্তম্ভ: দমন-পীড়নের কেন্দ্র থেকে শান্তি ও প্রতিফলনের স্থানক্যামেরুন: মান্দারা পর্বতমালার দি-গিদ-বি সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যচীন: জিক্সিয়া ইম্পেরিয়াল সমাধিগণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া: মাউন্ট কুমগাং—সমুদ্র থেকে হীরা পর্বতডেনমার্ক: মোনস ক্লিন্টফ্রান্স: কার্নাকের মেগালিথ এবং মরবিহানের তীরজার্মানি: বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডভিগের প্রাসাদ: নিউশওয়ানস্টাইন, লিন্ডারহফ, শাচেন এবং হেরেনচিমসিগ্রীস: মিনোয়ান প্রাসাদ কেন্দ্রগিনি-বিসাউ: বিজাগোস দ্বীপপুঞ্জের উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র—ওমাতি মিনহোভারত: ভারতের মারাঠা সামরিক ভূদৃশ্যইরান (ইসলামী প্রজাতন্ত্র): খোররামাবাদের প্রাগৈতিহাসিক স্থান উপত্যকাইতালি: সার্ডিনিয়ার প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ঐতিহ্য — জানাসের আস্তানাজ্যামাইকা: ১৭ শতকের পোর্ট রয়েলের প্রত্নতাত্ত্বিক সমাহারমালাউই: মাউন্ট মুলানজে সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যমালয়েশিয়া: বন গবেষণা ইনস্টিটিউট মালয়েশিয়া বন উদ্যান সেলাঙ্গরমেক্সিকো: পবিত্র স্থানগুলির মধ্য দিয়ে উইরিকুটা (তাতেহুয়ারি হুয়াজুয়ে) পর্যন্ত উইক্সারিকা রুটপানামা: পানামার ঔপনিবেশিক ট্রানজিস্টমিয়ান রুটকোরিয়া প্রজাতন্ত্র: বাঙ্গুচিয়ন স্রোতের ধারে পেট্রোগ্লিফরাশিয়ান ফেডারেশন: শুলগান-তাশ গুহার শিলা চিত্রসিয়েরা লিওন: গোলা-তিওয়াই কমপ্লেক্সতাজিকিস্তান: প্রাচীন খুত্তালের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থানতুরস্ক: সার্ডিস এবং বিন টেপের লিডিয়ান তুমুলিসংযুক্ত আরব আমিরাত: ফায়া প্যালিওল্যান্ডস্কেপভিয়েতনাম: ইয়েন তু-ভিনহ এনঘিয়েম-কন সন, স্মৃতিস্তম্ভ এবং ভূদৃশ্যের কিপ বাক কমপ্লেক্সইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা হালনাগাদ করার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং এই ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণে উৎসাহিত করে। নতুন স্থানগুলো এই তালিকায় যুক্ত হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তাদের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আরো বেশি মনোযোগ দেবে এবং বিশ্ববাসীও এই স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে।ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরছে এবং সেগুলোর সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় উৎসাহিত করছে।ভোরের আকাশ/জাআ
সাবেক ক্রিকেটার ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী রেহাম খান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। দলটির নাম ‘পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি’। এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন এই সাংবাদিক ও সমাজকর্মী।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) করাচি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রেহাম নতুন দলের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এ দল হবে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর এবং শাসক শ্রেণির জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে তাদের প্রধান লক্ষ্য।রেহাম বলেন, 'এটা কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং একটি আন্দোলন—যা জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে চায়।' তিনি আরও বলেন, '২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আমি যে পাকিস্তান দেখেছি, সেখানে আজও বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসার অভাব রয়েছে। এটি আর মেনে নেওয়া যায় না।'প্রাক্তন স্বামীর প্রতি ইঙ্গিত করে রেহাম বলেন, 'আমি এর আগে একজন ব্যক্তির জন্য একটি দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার নিজের শর্তে, নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি।'তিনি স্পষ্ট করেন, তার দল ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতায় নামেনি, বরং জনগণের বাস্তব চাহিদা ও পরিবর্তনের জন্য এই দল গঠিত হয়েছে।তিনি আরো বলেন, 'সংসদে জনগণের প্রকৃত প্রতিফলন থাকা উচিত। প্রতিটি শ্রেণির প্রতিনিধি সেই শ্রেণি থেকেই আসা প্রয়োজন।'রেহাম পাকিস্তানের বংশানুক্রমিক রাজনীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, 'এখনকার সংসদে মাত্র পাঁচটি পরিবার আধিপত্য বিস্তার করে আছে। আমাদের দল কোনো প্রভাবশালীর আশীর্বাদ নিয়ে তৈরি হয়নি। কেউ চারটি আসন থেকে প্রার্থী হবে না। আমরা রাজনীতিকে ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য তৈরির হাতিয়ার বানাতে চাই না।'দলের ঘোষণা অনুযায়ী, ‘পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি’ সংবিধানিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং শিগগিরই দলের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।সংবাদ সম্মেলনের একদম শেষে রেহাম খান বলেন, 'আমি এসেছি, যেন সব দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদের জায়গা নিতে পারি।'ভোরের আকাশ/জাআ