সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক পুনর্গঠনের ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ঘোষণায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানান। এরপর সৌদি আরবের রিয়াদে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে তার একটি অপ্রত্যাশিত বৈঠক হয়।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার ফলে সিরিয়ায় বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সেবা সহজে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাবে।তিনি আরও জানান, নতুন এই উদ্যোগের আওতায় সিরিয়ায় বিনিয়োগ, আর্থিক লেনদেন ও পেট্রোলিয়াম সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সিরিয়ার সঙ্গে একটি নতুন ধরণের সম্পর্ক গড়ার ইঙ্গিত বহন করছে।এর আগে, গত ১৩ মে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেন—সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তিনি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছেন। ওই সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আল-শারাকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকেও বাদ দেয়।প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সিরিয়ায় শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে দেশটির অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে পড়ে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘাতের প্রথম আট বছরে দেশটির আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪৪২ বিলিয়ন ডলার। এর ওপর যুক্ত হয় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপ।এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও সম্প্রতি জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করছে। তবে রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লেনদেন এখনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
২৫ মে ২০২৫ ১০:০৫ এএম
পুতিন ও আমি একসঙ্গে না হলে শান্তি সম্ভব নয়: ট্রাম্প
রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয় যতক্ষণ না তিনি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একসঙ্গে বসেন—এমন মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, "পুতিন এবং আমি একসঙ্গে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না।"তিনি আরও বলেন, "তিনি (পুতিন) তুরস্কে যাচ্ছেন না কারণ তিনি ভেবেছেন আমি সেখানে যাব। আমি না গেলে তিনিও যাবেন না।"ট্রাম্প বলেন, "আপনি পছন্দ করুন আর না করুন, যতক্ষণ না আমরা দুজন একসঙ্গে হই, ততক্ষণ কিছুই হবে না। কিন্তু এই যুদ্ধ থামাতে হবে, কারণ অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।"এদিকে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার তুরস্কে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার কথা রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, পুতিন আলোচনায় অংশ নিলে তিনিও বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিনিধিদলের তালিকায় পুতিনের নাম নেই।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শীর্ষ পর্যায়ের সরাসরি সংলাপ ছাড়া এই সংকট নিরসনের আশা ক্ষীণ।ভোরের আকাশ//হ.র
১৬ মে ২০২৫ ১১:০২ এএম
পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে আগ্রহী ইরান
যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট শর্ত মানলে পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করার চুক্তিতে প্রস্তুত রয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির শীর্ষ পরামর্শক শাখমানি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।বুধবার (১৪ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাখমানি বলেন, ইরান প্রতিশ্রুতি দিতে প্রস্তুত যে তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না, ইউরেনিয়ামের মজুদ সীমিত রাখবে এবং তা কেবল বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে। পাশাপাশি এসব কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে।তবে এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর আরোপিত সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে বলে স্পষ্ট করেন তিনি। সাক্ষাৎকারে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়— যুক্তরাষ্ট্র যদি আজই এসব শর্ত মেনে নেয়, তাহলে ইরান চুক্তি করবে কিনা— উত্তরে তিনি বলেন, “হ্যাঁ।”শাখমানি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে, তাহলে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। সেটি আমাদের পারস্পরিক স্বার্থেই উপকারী হবে।”অন্যদিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এক বক্তব্যে পশ্চিমা চাপের বিরুদ্ধাচরণ করে বলেন, “ট্রাম্প মনে করেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে এসে উচ্চবাচ্য করবেন আর আমরা ভয় পেয়ে যাব— সেটা কখনো হবে না। শহীদি মৃত্যু আমাদের কাছে অনেক বেশি মর্যাদার।”তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান কোনো ধমক বা হুমকির সামনে মাথা নত করবে না।”অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। বৃহস্পতিবার দোহায় এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে একটি কার্যকর চুক্তির খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছি।”তবে ট্রাম্প বারবারই বলে আসছেন, কোনো চুক্তি হলে তাতে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেওয়া হবে না। যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা কখনোই এমন অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করেনি।সূত্র: এনবিসি নিউজভোরের আকাশ//হ.র
১৬ মে ২০২৫ ০৯:৫১ এএম
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৬০টি বিমান কিনছে কাতার
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৬০টি বিমান কেনার চুক্তি করেছে কাতার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির মধ্যে দোহায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এ বিষয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কাতার এয়ারওয়েজ মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের ১৬০টি বিমান কেনার রেকর্ড অর্ডার দিয়েছে।চুক্তির অংশ হিসেবে কাতার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এমকিউ-৯বি ড্রোন কেনার বিষয়ে ‘অফার অ্যান্ড অ্যাকসেপ্টেন্স’ চিঠি গ্রহণ করেছে।এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদারে একটি অভিপ্রায় বিবৃতি এবং একটি যৌথ ঘোষণাপত্রেও স্বাক্ষর করা হয়েছে।বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারের আমির সম্পর্কে বলেন, “তিনি একজন অসাধারণ ব্যক্তি। আমরা একে অপরকে পছন্দ করি।” তিনি কাতারের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্বের জন্য আমিরকে ধন্যবাদ জানান।সূত্র: বিবিসিভোরের আকাশ//হ.র