ছবি- সংগৃহীত
চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই খবরের পরই রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেজদায় লুটিয়ে পড়েছেন ছাত্র-জনতা। কিছু ছাত্রের সেজদায় লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখে একে একে অন্যরাও সেজদায় লুটিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রশংসা করেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পরপর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকার আশপাশের সড়ক ও ফুটপাতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সেজদায় পর দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা। এ সময় জুলাই আন্দোলনে শহীদদের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। এরপর আবারও স্লোগানে স্লোগানে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান ছাত্র-জনতা।
আজ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায় ঘোষণার খবর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় শুরু হয় উল্লাস। আনন্দ মিছিল নিয়ে স্লোগান দেন ছাত্র-জনতা।
এর আগে, রায় ঘোষণার দিন সকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২-এ টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। কয়েক দফা মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘর্ষ, টিয়ারশেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে তিনি প্রথম আলোর ভবনে যান। এ সময় আইজিপি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের আশপাশ ঘুরে দেখেন এবং দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন। তবে পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা হলেও এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তার মৃত্যু হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের পর আজ সকালেও শাহবাগে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। মিছিল স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহবাগ।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ছাত্র-জনতা শাহবাগে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদী মিছিল করছেন।কেউ মিছিল সহকারে আসছেন, আবার কেউ নিজ উদ্যোগেই শাহবাগে এসে জড়ো হচ্ছেন। তাদের হাতে পতাকা, মুখে স্লোগান।‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না,’ ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুদ্ধরা।শনিরআখড়া থেকে এসে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমরা একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিককে হারিয়েছি। রাতে ঘুমাতে পারিনি। প্রতিবাদ জানাতে সকালেই এখানে চলে এসেছি। ওসমান হাদির মতো দেশপ্রেমিক সাহসী মানুষকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।রামপুরা থেকে শাহবাগে এসেছেন ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, ওসমান হাদির মৃত্যু পুরো বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে এই হত্যার প্রতিশোধ নেব। হাদি ভাইয়ের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকা। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ থেকে আগুন দেওয়া হয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে। হামলার কারণে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার প্রকাশ হয়নি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা।এদিকে ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছে অন্তর্বতী সরকার।গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন ঢাকা-৮ আসনের স্বত্রন্ত্র প্রার্থী এবং রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চে’র মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে (এসজিএইচ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যান তিনি।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর শাহবাগে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর এবার ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালাতে দেখা গেছে তাদের।এর আগে বিক্ষুদ্ধ জনতা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে বিক্ষুব্ধ জনতা শাহবাগের দিক থেকে মিছিল নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে সামনে উপস্থিত হন। এ সময় তারা প্রথম আলো ও ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে কিছু লোকজন অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। সেখানকার কাগজপত্র, কম্পিউটার নীচে ফেলে দেন। এ ছাড়া, কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগও করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর কাওরানবাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্দ ছাত্র-জনতা।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কাওরানবাজারে অবস্থিত পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালাতে দেখা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মধ্যরাতে বিক্ষুব্ধ জনতা শাহবাগের দিক থেকে মিছিল নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে সামনে উপস্তিত হন। এ সময় তারা প্রথম আলো ও ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দেন। এক পর্যায়ে কিছু লোকজন অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। সেখানকার কাগজপত্র, কম্পিউটার নিচে ফেলে দেন। এছাড়া কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগও করেন।এর আগে রাত পৌনে ১০টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় চিকিৎসাধিন অবস্থায় লন্ডনে মারা গেছেন ওসমান হাদি।পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।এর আগে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা অবস্থায় শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে জানা গেছে, হামলার আগে কয়েক মাস ধরে হাদির নিয়মিত চলাচল, বাসা ও অফিসের রুট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। দীর্ঘ পরিকল্পনার নেপথ্যে কারা জড়িত এবং কার স্বার্থে এ হামলা তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ