ফাইল ছবি
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ। সমাবেশ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে লোকজন।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ চলাকালে ছুরিসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করে সমাবেশে আসা লোকজন। পরে ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা।
এদিন সকাল ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আয়োজনের প্রথম পর্ব শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন।
দুপুর ২টায় সমাবেশের মূলপর্ব শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ ও রাজস্বখাতের বোর্ডের অংশগ্রহণমূলক সংস্কারের দাবিতে আবারও কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর ঘোষণা করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। আগামী রোববার (২৯ জুন) থেকে সারা দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালিত হবে।শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এ ঘোষণা দেয়।এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, শার্টডাউন কর্মসূচি পালন ও অফিসে থেকে বের হলে এনবিআর কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুমকি দেয়। সকালে এনবিআরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার পরও গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার মধ্য দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আরও বেশি উজ্জীবিত হয়েছে। এনবিআরের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি, বাইরে বসে কর্মসূচি পালন করেছে। ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, ব্যবসায়ী সমাজ বলেছেন এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ কোনো মতেই কাম্য নয় এবং তাতে কোনো সফলতা আসবে না। কি কারণে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর একজন আমলার অপসারণকে ব্যবসায়ী সমাজ কাম্য নয়, বলছে সেটি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খোলাসা করে বলেনি। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ী সমাজসহ পুরো দেশবাসীর কাছে এরই মধ্যে আগের প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং আজকের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খোলাসা করেছি যে, রাজস্ব ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ, প্রকৃত, টেকসই ও বাস্তব সম্মত সংস্কারের স্বার্থে কেন ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানকে অপসারণ করতে হবে।কর্মসূচি প্রসঙ্গে হাছান মুহম্মদ তারেক বলেন, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ ঘোষিত ২৮ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন যথারীতি চলবে। অর্থাৎ ২৯ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন যথারীতি চলবে। আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কমপ্লিট শাটডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এ ছাড়া ২৯ জুন দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর' কর্মসূচি পালিত হবে। সংগঠনটির মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা বলেন, আগামী মঙ্গলবার আমাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। আলোচনার সদিচ্ছা থাকলে আজকেই এ কর্মসূচির মধ্যেই ডাকা যেত। মঙ্গলবার অনেক লম্বা সময়। তাদের আলোচনার আদৌ কতটা ইচ্ছা আছে আমরা জানি না। যেকোনো মুহূর্তে আমাদের ডাকলে আমরা নিশ্চয়ই আলোচনায় যাবো। কিন্তু আলোচনায় যাবো কি নিয়ে? আমরা যৌক্তিক রাজস্ব সংস্কারের দাবি নিয়ে যাবো।নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা বলেন, রোববার (২৯ জুন) থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন যথারীতি চলবে। আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই কমপ্লিট শাটডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে।একইদিনে সারা দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তর থেকে এনবিআর অভিমুখে ‘শান্তিপূর্ণ মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালিত হবে।উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত প্রেস বিজ্ঞপ্তির আলোকে সংস্কার কার্যক্রম বিষয়ে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের যৌক্তিকতা জানাতে যেকোনো সময় অর্থ উপদেষ্টা সাথে আলোচনায় বসতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে এনবিআর সংস্কার বিষয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ কামনা করছে।কর্মসূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত কর কমিশনার ও সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মির্জা আশিক রানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। ভোরের আকাশ/আজাসা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ। সমাবেশ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে লোকজন।শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ চলাকালে ছুরিসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করে সমাবেশে আসা লোকজন। পরে ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা।এদিন সকাল ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আয়োজনের প্রথম পর্ব শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন।দুপুর ২টায় সমাবেশের মূলপর্ব শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রেস্তোরাঁ ও মিষ্টি বেকারি গ্রেডিং সেবা ডিজিটাইজেশন সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বিএফএসএ প্রশিক্ষণ কক্ষে রেস্তোরাঁ ও মিষ্টি বেকারি গ্রেডিং সেবা ডিজিটাইজেশন সংক্রান্ত কর্মশালার আয়োজন করা হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফএসএ’র উপপরিচালক বি এম রুহুল আমিন রিমন।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. মোহাম্মদ মোস্তফা।অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ’র সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ড. মোহাম্মদ শোয়েব, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান চৌধুরী বিপু, ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেডের কোয়ালিটি এ্যাস্যুরেন্স ম্যানেজার কৃষ্ণ পদ পাল প্রমূখ। প্রধান অতিথি বলেন, সুস্থতার জন্য নিরাপদ খাদ্য অপরিহার্য। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ফুড ভ্যালু চেইনের প্রতিটি স্তরে কাজ করতে হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। খাদ্য ব্যবসাকে শুধু ব্যবসা হিসেবে না দেখে সেবা হিসেবে দেখার অনুরোধ করেন প্রধান অতিথি।সভাপতির বক্তব্যে বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান বলেন, ব্যবসায়ী ও ভোক্তার সেবা সহজ করার জন্য আমরা গ্রেডিং পদ্ধতি ডিজিটাইজেশন করার উদ্যোগ নিয়েছি। গ্রেড দেখে ভোক্তা সহজেই হোটেল রেস্তোরাঁর মান সম্পর্কে জানতে পারবে।অনুষ্ঠানে রেস্তোরাঁ, মিষ্টি ও বেকারি শিল্পের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, উত্তরা সেন্টার, মেট্রো রেল স্টেশন, উত্তরা এবং বিজয় সরণিতে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা ও বহির্গমন বিষয়ক মহড়া করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় উত্তরা সেন্টারে এবং বিকেল ৩টায় বিজয় সরণি সেন্টারে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। ম হড়ায় ওয়াটার টেন্ডার, পাম্প ক্যারিং টেন্ডার, সিজার লিফট, অ্যাম্বুলেন্স ও স্নোরকেল গাড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়।মেট্রো রেলে বা মেট্রো রেল স্টেশনে হঠাৎ করে অগ্নিদুর্ঘটনা সংঘটিত হলে কিভাবে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে, কিভাবে অগ্নিনির্বাপণ করতে হবে, কিভাবে সাধারণ লোককে ইভাকুয়েট করতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক শুশ্রূষা প্রদান করে কিভাবে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে মহড়ায় তার বাস্তব অনুশীলন দেখানো হয়। মহড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মী এবং ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় ভলান্টিয়াররা অংশগ্রহণ করেন। মহড়া চলাকালীন মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যগণ যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।মহড়া শেষে বক্তব্য দেন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসন) একেএম খায়রুল আলম। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মো. ছালেহ উদ্দিন। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সচেতনতা সৃষ্টিসহ প্রকৃত দুর্ঘটনায় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এবং যাত্রী সাধারণের কার কী করণীয় সে সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।মহড়া দুটি পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাজাহান শিকদার ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার একেএম রায়হানুল আশরাফ। এ সময় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন প্রধানগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/আজাসা