টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫ ১২:০১ পিএম
ফাইল ছবি
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। শুক্রবার (৬ জুন) সকালে মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে উত্তরের পথে ৩০ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রী ও চালকরা।
অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এছাড়াও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ার নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল ইসলাম পাভেল বলেন, যমুনা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ যানবাহন পারাপার হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুতে প্রায় ৬৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এটিই সেতু তৈরির পর সর্বোচ্চ যানবাহন ও টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ ।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে যমুনা সেতু থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত গাড়ির সারি দেখা গেলেও তীব্র যানজট ছিল না; তবে যান চলাচল ছিল ধীরগতির। কোথাও কোথাও একেবারে থেমে থাকছে যানবাহন, আবার কিছু সময় পর ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ শরীফুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে একাধিক বাস ও ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে আছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ