গাজীপুরের শ্রীপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সায়েদুল ইসলাম, শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক, উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরুণ কুমার দাস,সাধারণ সম্পাদক সুমন কর্মকার, শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহফুল হাসান হান্নান, পৌর পূজা উদযাপন কমিটির কৃষ্ণ ভাষপুর প্রমুখ। সভায় উপজেলার ৬০টি পূজামণ্ডপে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় উদযাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আনসার সদস্যসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।তাছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
পিরোজপুর নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে উপজেলা নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে নাজিরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়াম হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাজিয়া শাহনাজ তমার সভাপতিত্বে উক্ত আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রস্তুতি মূলক সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ।নাজিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ আল মাহমুদ ভূইয়া, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসান খান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আমির আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অনুপ কুমার সিকদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিকাশ বাওয়ালীসহ উপজেলার সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ। প্রস্তুতিমূলক সভায় উপজেলার ১২৭ টি সার্বজনীন দুর্গামন্ডের সভাপতি ও সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:২০ পিএম
দুর্গাপূজায় কোথাও নিরাপত্তার কোন ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পূজার শুরু থেকেই ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, কোথাও নিরাপত্তার কোন ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।এ সময় তিনি বলেন, এবারের পূজার আয়োজন খুবই ভালো। কোনো ধরনের সমস্যা নেই।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটার পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সব ধর্ম মিলে যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে কোনও ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ব্যবস্থা করা হয়েছে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয় পূজার শুরু থেকেই ২৪ ঘণ্টায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের সরকারি বাহিনী ছাড়াও তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আনসার যুক্ত হবে। এবারের পূজা অনেক উৎসবমুখর হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজা যেন ভালোভাবে উদযাপন কতে পারে, সেজন্য নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মোট ৩২ লাখ টাকা এবং প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৫১ পিএম
দুর্গাপূজায় কোথাও নিরাপত্তার কোন ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পূজার শুরু থেকেই ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, কোথাও নিরাপত্তার কোন ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।এ সময় তিনি বলেন, এবারের পূজার আয়োজন খুবই ভালো। কোনো ধরনের সমস্যা নেই।সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটার পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সব ধর্ম মিলে যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে কোনও ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ব্যবস্থা করা হয়েছে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে নির্দেশনা দেওয়া হয় পূজার শুরু থেকেই ২৪ ঘণ্টায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের সরকারি বাহিনী ছাড়াও তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আনসার যুক্ত হবে। এবারের পূজা অনেক উৎসবমুখর হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশি উন্নত হবে।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজা যেন ভালোভাবে উদযাপন কতে পারে, সেজন্য নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মোট ৩২ লাখ টাকা এবং প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৫১ পিএম
পিরোজপুরে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদের
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন পিরোজপুরের প্রতিমা কারখানার মৃৎশিল্পীরা। তাদের হাতের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিটি প্রতিমা।পিরোজপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী পালপাড়া এলাকায় চলছে সবচেয়ে বেশি কর্মচাঞ্চল্য।দুই শত বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিমা তৈরির জন্য বিখ্যাত পিরোজপুর শহরের পালপাড়া এলাকা। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম প্রতিমা শিল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই এলাকা। এখানকার প্রতিমার চাহিদা শুধু পিরোজপুরেই নয়, বরিশাল, ঝালকাঠি, বাগেরহাট সহ আশপাশের জেলাগুলোতেও ব্যাপক। ফলে প্রতিমা বিক্রিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অর্থনীতিতে ও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেবী দুর্গা, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিককে আকৃতি দিতে রাত দিন পরিশ্রম করছেন মৃৎশিল্পীরা। দম ফেলারও যেন সময়টুকু নেই তাদের। কেউ কাদা তৈরি করছেন, কেউ আবার কাদা দিয়ে প্রতিমার আকৃতি তৈরি করছেন। বেশিরভাগ এলাকাতেই প্রতিমাতে কাদামাটি লাগানোর কাজ শেষ। তবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, বাড়তি খরচের চাপ তাদের দীর্ঘদিনের এ ঐতিহ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। কাঁচামাল ও শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে অনেক, কিন্তু প্রতিমার দাম বাড়েনি সেই অনুপাতে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।প্রতিমা শিল্পের কারিগর জগদীশ জানান, আমাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী শিল্প টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু খরচ বাড়ছে,আয় বাড়ছে না। এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো এই শিল্প আর থাকবে না। প্রতিমা শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। না হলে এ শিল্প ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে পারে।বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট পিরোজপুরে জেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক ও দৈনিক আমার পিরোজপুর পত্রিকার সম্পাদক অনুপ কুমার সিকদার জানান,পিরোজপুর জেলায় এ বছর ৪৫৬ মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা আর ক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে প্রতিমা কারখানাগুলো। চারদিকে এখন একটাই অপেক্ষা—দুর্গা মা আসছেন, শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালির সর্ববৃহৎ শারদীয় উৎসব।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৩৯ পিএম
আজ শুভ মহালয়া
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) মহালয়া। মহালয়ার সকালে সূচনা হলো এ পূজার। ভোর থেকে মন্দিরে মন্দিরে চলছে চণ্ডীপাঠ ও দেবী বন্দনা।এ দিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। পুরাণমতে, এ দিন দেবীদুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু এ দিন থেকে। শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীদুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত।পূজার এ সূচনার দিনটি সারা দেশে আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে। এ দিন সকাল থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এ উপলক্ষে শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এ মহালয়া। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন করেন ভক্ত-অনুসারীরা। চণ্ডীতেই আছে দেবীদুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও প্রশস্তি। দেবীদুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীকরূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।মহালয়ার ছয় দিন পর আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে এবার দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ওই দিন মহাষষ্ঠী। পরদিন মহাসপ্তমী। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব।সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, দেবীদুর্গা এবার গজ বা হাতিতে চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে। আর দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেবেন দোলা বা পালকিতে চড়ে। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে।পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবীদুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী, কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়। এমন অবস্থায় ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবীদুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।মহালয়ার আরও একটি দিক হচ্ছে, এই তিথিতে যারা বাবা-মা ছাড়া, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে, এ দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয়, তাকেই বলা হয় মহালয়া।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৪০ এএম
আজ শুভ মহালয়া
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) মহালয়া। মহালয়ার সকালে সূচনা হলো এ পূজার। ভোর থেকে মন্দিরে মন্দিরে চলছে চণ্ডীপাঠ ও দেবী বন্দনা।এ দিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। পুরাণমতে, এ দিন দেবীদুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু এ দিন থেকে। শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীদুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত।পূজার এ সূচনার দিনটি সারা দেশে আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে। এ দিন সকাল থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এ উপলক্ষে শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে মহালয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এ মহালয়া। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীর আবাহন করেন ভক্ত-অনুসারীরা। চণ্ডীতেই আছে দেবীদুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও প্রশস্তি। দেবীদুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীকরূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস।মহালয়ার ছয় দিন পর আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে এবার দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। ওই দিন মহাষষ্ঠী। পরদিন মহাসপ্তমী। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসব।সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, দেবীদুর্গা এবার গজ বা হাতিতে চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে। আর দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেবেন দোলা বা পালকিতে চড়ে। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে।পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবীদুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী, কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলে অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়। এমন অবস্থায় ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবীদুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করেন।মহালয়ার আরও একটি দিক হচ্ছে, এই তিথিতে যারা বাবা-মা ছাড়া, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে, এ দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয়, তাকেই বলা হয় মহালয়া।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:৪০ এএম
কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা পুলিশের উদ্যোগে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।সভায় পুলিশ সুপার পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি পূজা পূর্ববর্তী ও পূজাকালীন সময়ে করণীয়-বর্জনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।এ সময় তিনি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ নিরাপত্তা জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।তিনি বলেন, “আমরা সকলে মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবো।”সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়া, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণ এবং জেলা, মহানগর ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।ভোরের আকাশ/জাআ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৩১ পিএম
শারদীয় দুর্গাপূজায় টানা ১২ দিন ছুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ ছুটি শুরু হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এবং চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।এর আগে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা কার্যত টানা দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছে। এছাড়া ৬ অক্টোবর শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজার দিন শিক্ষার্থীরা ঐচ্ছিক ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।এ সময়ে দুর্গাপূজার পাশাপাশি ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি সব মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ছুটির আওতায় আসবে।তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে ছুটির সিদ্ধান্ত নিজ নিজ সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত হবে বলে জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন সদর দফতরে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সভাপতিত্বে সভায় জেলার পূজা কমিটি, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান, সদর উপজেলা ইউএনও তাছলিমা শিরিন।এছাড়া জেলা বিএনপি আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এড সাখাওত হোসেন খান, মহানগর সদস্য সচিব এড আবু আল ইউসুফ খান টিপু, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সুজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ ও মহানগর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার সহ বিভিন্ন থানা ও জেলা পর্যায়ের পূজা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইনের সঞ্চালনায় সভায় পূজা কমিটির সদস্যরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিসমূহ তুলে ধরেন।সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজা কোনো নতুন উৎসব নয়। এটি শতাব্দী ধরে পালিত হয়ে আসছে এবং আগামীতেও চলবে। আমাদের লক্ষ্য হলো উৎসবকে বিশ্বের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা এবং এর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা। আগের যারা এই দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের সফলতা বা ব্যর্থতা ছিল। আমাদের লক্ষ্য হলো নিজেদের স্বার্থকতা ফুটিয়ে তোলা।”তিনি আরও বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করব। সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উৎসবটি নিরাপদ ও সুন্দরভাবে উদযাপন করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে এবং সবাইকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”সভা শেষে উপস্থিত সবাই শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২৩ পিএম
কাউখালীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
পিরোজপুর কাউখালী থানা পুলিশ আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর বারোটায় থানার সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোলায়মান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।বক্তব্য রাখেন কাউখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, আখড়াবাড়ি দূর্গা পূজা কমিটির সভাপতি পলাশ কর্মকার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি ও আখড়া বাড়ি দুর্গাপূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল শীল ধলু, হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কাউখালী উপজেলার সদস্য সচিব পল্লব সিকদার, লিটন কান্তি বড়াল, অপু দাস, রনজিত কুমার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনের দায়িত্ব পালন করেন কাউখালী থানার এসআই দীপক চন্দ্র বালা।ভোরের আকাশ/জাআ