পিরোজপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প অনুমোদনের দাবি
পিরোজপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন ও বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) সকালে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রকল্পের শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এ মানববন্ধন করেন।
এ সময় তারা প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন করে ঈদ-উল আযহার পূর্বে প্রকল্পের সকল জনবলের ৫ মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দেওয়া, প্রকল্পের গ্রেডভূক্ত জনবলকে রাজস্বভূক্ত করা, সপ্তম পর্যায়ের বিদ্যমান জনবলকে অষ্টম পর্যায় প্রকল্পে স্বয়ংক্রীয়ভাবে স্থানান্তর করা, কেয়ারটেকার ও কর্মীদের স্কেলভুক্ত করে বেতন প্রদান করা, শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি সম্মানজন হারে বৃদ্ধি করার ৫ টি দফা দাবি করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জেলা ফিল্ড অফিসার রেজা মো. মহসিন বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, আলেমদেরকে রমজানের সময় মাঠে নামিয়েছেন, এরপরে প্রচন্ড রোদের ভেতরে আলেম-ওলামা সহ বিভিন্ন স্তরের মা-বোনেরা তাদের সন্তান নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে । আমাদের বকেয়া বেতন কোরবানির আগে বোনাস না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিব। দরকার হলে ঢাকায় রাজপথ অবরুদ্ধ করব।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজ মোল্লা, জেলা ফিল্ড অফিসার রেজা মো. মোহসীন, মঠবাড়িয়া ফিল্ড সুপারভাইজার মো. ওমর ফারুক, ইন্দুরকানী মডেল কেয়ারটেকার মো. আব্দুল জলিল, নেছারাবাদ উপজেলার কেন্দ্র শিক্ষক আরাফাত রহমান প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
'সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন'- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে।শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৮ টায় চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর প্রদক্ষিণ করে বহির্বিভাগ (ওপিডি) প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।র্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।র্যালি শেষে ওপিডি চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ সাইফুল ইসলাম।তিনি বক্তব্যে বলেন, উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। এটি সময়মতো শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ না করলে হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ, সঠিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনই হতে পারে দীর্ঘজীবনের চাবিকাঠি।এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস. এ. এম. হুসনায়েন (নান্না), সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক ডা.কামরুল হুদা মোহাম্মদ সোহেল, সহকারী অধ্যাপক ডা. আফসানা মৌরি শোহানী প্রমুখ।বক্তারা বলেন, নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপনই হলো উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তির প্রধান উপায়। এ সময় তাঁরা সাধারণ জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগ এবং সহযোগিতায় ছিল ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।আয়োজকরা জানান, এই ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রবণতা গড়ে উঠবে। ভোরের আকাশ/জাআ
চাঁদপুরে ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২ হাজার ৯৮ পশু। জেলায় চাহিদা রয়েছে ৭৬হাজার পশু। এতে দাপ্তরিক হিসেবে পশুর সংকট থাকবে ১৪ হাজার। তবে আশপাশের জেলার পশু হাটে উঠলে এই সংকট থাকবে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। দাম ভালো পেলে লোকসান কাটাতে পারবে বলে মনে করেন খামারিরা।সাম্প্রতিক সময়ে সদর ও আশপাশের উপজেলায় খামারি এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যে জানাযায়, জেলায় তালিকাভুক্ত খামারি রয়েছে ৩ হাজার ৭৭০ জন। খামারগুলোতে গরু উৎপাদন হয়েছে ৪২ হাজার ৪ শত ৯৭টি। ছাগল ভেড়া ও অন্যান্য পশু উৎপাদন হয়েছে ১৯ হাজার ৬০১টি। সব মিলিয়ে মোট উৎপাদন হয়েছে ৬২ হাজার ৯৮টি।কোরবানির জন্য গবাদি পশু প্রয়োজন ৭৬ হাজার ৩৫৪টি। হিসেব মতে গবাদি পশু সংকট রয়েছে ১৪ হাজার ২৫৬টি। চলতি বছর জেলায় ষাঁড় গরু উৎপাদন হয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭, বলদ ৭ হাজার ৭৮১, গাভী ১০ হাজার ৪৬৯ টি। সর্বমোট গরু উৎপাদন হয়েছে ৪২ হাজার ৪৯৭টি। মহিষ ২১৭, ছাগল ১৮ হাজার ৪৫৮, ভেড়া ৮৩০ ও অন্যান্য পশু ৯৬টি।সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের খামারি কামাল ফরাজি বলেন, গত ৭ বছর আমাদের খামারে দুগ্ধ উৎপাদনের পাশাপাশি কোরবানির জন্য পশু পালন করা হয়। এ বছর আমাদের শতাধিক ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত। আশাকরি দাম ভালো পেলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। কারণ পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে।একই এলাকার খামারি মো. মোশারফ বলেন, অন্য জেলা থেকে পশু আসলেও স্থানীয়ভাবে পালিত কোরবানির পশুর চাহিদা বেশি। আমাদের খামারে নিজেদের উৎপাদিত ঘাস ও দানাদার খাদ্যে ষাঁড়গুলো কোরবানির প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে আমাদের সমস্যা হচ্ছে শ্রমিকের দৈনিক হাজিরা ও খাদ্যের দাম বেশি। বিক্রি মূল্যের উপর নির্ভর করবে আমাদের লাভ- লোকসান। দেড় লাখ থেকে শুরু করে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যে ষাঁড় আছে খামারে।কল্যাণপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন গাজী বলেন, এলাকায় একাধিক খামারি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাবারে এস ষাঁড় প্রস্তুত করেছে। তারা যদি ষাঁড়গুলোর দাম ভালো পায় তাহলে টিকে থাকতে পারবে। লোকসানে পড়লে খামারি সংখ্যা কমে যাবে এবং বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে।ওই এলাকার ফারিজ এগ্রো ফার্মে শহর থেকে কোরবানির জন্য ষাঁড় দেখতে এসেছেন ক্রেতা গিয়াস উদ্দিন মিলন। তিনি বলেন, এই খামারের ষাঁড়গুলো দেখে পছন্দ হয়েছে। তবে দরদামে ঠিক থাকলে কেনা যাবে।সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের খামারি মান্নান বলেন, খামারে এখন গরুর সংখ্যা কম। কারণ বিক্রিতে খরচ উঠে আসে না। এতে অনেকে আগ্রহ হারিয়েছে।ফরিদগঞ্জ উপজেলার খামারি জসিম উদ্দীন মিন্টু বলেন, গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, খড়ের অপর্যাপ্ততা এবং শ্রমিক সংকটের কারণে অনেকের ইচ্ছে থাকলেও গবাদিপশু পালনে আগ্রহ হারাচ্ছে। খামারি তৈরি করার জন্য সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন।একই উপজেলার সকদীরামপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন, ছামাদ মিজি, আক্তার হোসেন পাশাপাশি বাসিন্দা। তারা পারিবারিকভাবে ৫ থেকে ৭টি করে কোরবানির ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন। এদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন বলেন, তারা নিজেদের পরিশ্রমে এসব পশু লালন পালন করেন। আশা করছেন তাদের ষাঁড় বিক্রিতে লাভবান হবেন।চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, এ বছর আমরা কোরবানি প্রস্তুত করার জন্য সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছি। যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। আর পশুগুলো প্রাকৃতিক খাবারে বেড়ে উঠেছে।তিনি বলেন, জেলায় দুই শতাধিক কোরবানির পশুর হাট বসবে। চাহিদার আলোকে কোন ধরণের পশুই সংকট হবে না। কারণ কোরবানির হাটে অন্য জেলার পশু আসলে চাহিদা মিটে যায়। সংকট অবশ্য কাগজে কলমে।চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে আর্থিক লেনদেন ও ক্রেতার নিরাপত্তায় পুলিশবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও পুলিশের টহল সদস্যরাও কাজ করবে। ভোরের আকাশ/এসআই
রাজবাড়ী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে রুপল শেখ (২৭) হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ মে) ভোর সাড়ে ৪ টায় রাজাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জহিরুদ্দিন বিশ্বাস (৬৫), মৈজদ্দি বিশ্বাস (৫৫), ফরহাদ বিশ্বাস (৪৫) ও মুন্নু মোল্লা (৫০)। তারা সকলেই রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।পুলিশ জানায়, নিরীহ রুপল শেখকে চুরির অপবাদ দিয়ে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দ্বারা পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পর নিহতের মামা কালাম মোল্লা বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বাংলাদেশ হাট এলাকা থেকে যৌতুক ও জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর মামলায় মো. হাবিব মোল্লা (২৪) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। সে পাংশা উপজেলার বড় চৌবাড়িয়া গ্রামের মো. হাচেন আলীর ছেলে।শুক্রবার (১৬ মে) বিকাল ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সহকারী পুলিশ সুপার শামীম হাসান সরদার গণমাধ্যমকে জানান, ভিকটিমের সঙ্গে আসামি হাবিবের বিয়ে হয় ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি। বিয়ের পর থেকেই হাবিব ও তার পরিবারের সদস্যরা ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে।গত বছরের ১ এপ্রিল হাবিবসহ অন্য আসামিরা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিমকে নির্মমভাবে মারধর করা হয় এবং পরিকল্পিতভাবে তার ৪ মাসের গর্ভজাত সন্তানকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। এতে ভিকটিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।এই ঘটনার পর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রাজবাড়ীর পাংশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অনুরোধে র্যাব-১০ অভিযানে অংশ নেয় এবং অবশেষে পলাতক হাবিবকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ