পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫ ০৯:০৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও পারিবারিক পরকীয়ার জেরে মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) নামে এক ইউপি সদস্য ও তার ভাবী মৌকলি বেগম (৪৮) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৭ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী রেহানা বেগম (৪০) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ইন্দুরকানি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শহিদুল ইসলাম চর বলেশ্বর গ্রামের আসলাম হাওলাদারের পুত্র, এবং স্থানীয় চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। এছাড়াও তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক বলে জানা গেছে। এবং নিহত মৌকলি বেগম ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ভাই মর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন এসে দেখে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবিকে পুকুর পাড়ে কুপিয়ে ফেলে রাখে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার স্ত্রী রেহেনা বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গুরুতর আহত রেহেনা বেগম বলেন, রাতে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ আরো ৪-৫ জন তাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে তার স্বামীকে এবং ভাবিকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এরপর তাকেও মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। ইউনুস এর সাথে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ ছিলো বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির সাথে পরিবারিক পরকীয়ার জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ