ছবি: ভোরের আকাশ
ফেনীকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জলবায়ু স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
"People's adaptation plans for inclusive climate smart cities" শীর্ষক এই সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও এর থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়। সভায় বক্তারা ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা চিহ্নিতকরণ ও কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রশাসক সুলতানা নাসরিন কান্তা মহোদয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফেনী সদর উপজেলার সম্মানিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুল ইসলাম মহোদয়। ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন মহোদয়ের সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালিত হয়।
আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবেলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি বিশেষভাবে উঠে আসে। আলোচকগণ শহরের ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে এবং কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নে জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ম্যাপিংয়ের ব্যবহার অপরিহার্য বলে মত দেন।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা, সুপেয় পানির সংকট এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির মতো বহুমুখী সমস্যা নিরসনে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য জনগণের অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। এই আলোচনা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও সুপারিশগুলো ফেনীকে একটি টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে অংশগ্রহণকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুরে একমাত্র নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী এলিজা জামান। তিনি পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন। সোমবার বিকেলে বিএনপি'র গুলশান কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পিরোজপুর জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেন। ওই সাক্ষাৎকারে পিরোজপুর জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী ছিলেন এলিজা জামান। এই সাক্ষাৎকারের পর থেকেই জেলা জুড়ে তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।এলিজা জামান বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পিরোজপুর জেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।২০০৩ সালে তিনি জাতীয় মহিলা সংস্থার পিরোজপুর জেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ওই বছরই শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। পরের বছর সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পান মাদার তেরেসা স্বর্ণপদক।রাজনীতির পাশাপাশি এলিজা জামান সমাজসেবামূলক কার্যক্রমেও সমানভাবে সক্রিয়। নারীর শিক্ষার প্রসার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন পিরোজপুর মহিলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ। একই সঙ্গে নারী ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য গড়ে তুলেছেন জুজখোলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা।এছাড়া তিনি এতিম ও অনাথ শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন আব্দুল বারেকিয়া এতিমখানা এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় গঠন করেছেন সরদার সুলতান মাহমুদ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। এইসব উদ্যোগ তাঁকে শুধু রাজনৈতিক নয়, সমাজসেবী নেত্রী হিসেবেও পিরোজপুরে পরিচিত করেছে।তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও, তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চাপের কারণে মাঠে টিকতে পারেননি। রাজনৈতিক জীবনে নানা প্রতিকূলতার মুখেও তিনি দৃঢ় ছিলেন। ২০১৩ সালের “মার্চ ফর ডেমোক্রেসি” কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সময় গ্রেফতার হন এবং পরবর্তীতে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে রাজনৈতিক মামলায় তিন মাস করে কারাভোগ করেন।তাঁর পিতা সরদার সুলতান মাহমুদ ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য, বরিশাল বৃহত্তর জেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। ১৯৬৯ সালে জন্ম নেওয়া বিএ ডিগ্রিধারী এ রাজনীতিক পিরোজপুরের রাজনীতিতে বিএনপির নারী নেতৃত্বের নতুন সম্ভাবনার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিবে এ প্রত্যাশা দলীয় নেতা কর্মীদের।ভোরের আকাশ//হর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পিরোজপুরের নাজিরপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা যুবদলের আয়োজনে নাজিরপুর বাজার রোডে এ কর্মসূচি পালিত হয়।অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস. এম. রেজাউল কবির সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান খান রিপন সঞ্চালনা করেন।প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রেজাউল করিম লিটন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান হাজরা টিপু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ লিলন, সাবেক আহ্বায়ক এস. এম. মাজেদুল কবির রাসেল, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান শরীফ, এবং যুবনেতা মাহমুদ হাসান লিমন প্রমুখ।বক্তারা বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়ে ওঠা জাতীয়তাবাদী যুবদল সবসময় দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে যুবদল অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ গেটে গিয়ে শেষ হয়।ভোরের আকাশ//হর
গাজীপুরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় অভিযুক্ত মামলায় আসামি গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা সুজন মিয়া (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।গ্রেফতার আসামি সুজন মিয়া গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ঘোড়াবান্ধা (তালুকঘোড়া) গ্রামের শুক্কুর আলী ও মালেকা বেগম দম্পত্তির ছেলে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে সুজন মিয়ার পুর্বপরিচিত সুবাদে প্রায়ই গাজীপুরের কাশিমপুর বাসায় যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে গত ১৮ মে সকালের দিকে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় সুজন মিয়া প্রবেশ করেন। এরপর জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে সুজন মিয়া ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও মোবাইলফোনে ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনা গৃহবধূ গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টা ও পর্ণোগ্রাফি মামলা দায়ের করেন। তখন থেকে আসামি সুজন মিয়া আত্নগোপনে থাকেন। তাকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখার একপর্যায়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ও র্যাব-১ গাজীপুর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মধ্য জয়েনপুর গ্রাম থেকে আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, গ্রেফতার আসামি সুজন মিয়াকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ধরণের নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা প্রতিরোধে র্যাব দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।ভোরের আকাশ//হর
দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অংশীজনদের সাথে গ্রাম আদালত বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।মতবিনিময় সভায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও স্থানীয় সরকার দিনাজপুর এর উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নুর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জানে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, ইউএনডিপি’র ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-র্ডিনেটর বিভাষ চক্রবর্তী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল মতিন, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খন্দকার মো. রওনাকুল ইসলাম, সিনিয়র জেলা তথ্য অফিসার সাদিয়া আফরিন শেফা, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোর্শেদ আলী খান, ইএসডিও’র ফোকাল পার্সন মো. তোফাজ্জল হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, হিসাব সহকারী ও আমন্ত্রিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন ডিডিএলজি মো. রিয়াজ উদ্দিন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় প্রকল্প পরিচালক (এডিসিবি-তৃতীয় পর্যায় প্রকল্প) সুরাইয়া আখতার জাহান বলেছেন, গ্রাম্য আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হবে। তবেই বিচার প্রার্থীরা নিরপেক্ষ বিচার পাবে। বিচার কাজ পরিচালনার সময় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে তারা কোন পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত না হয়। যদি এ ধরনের কার্যক্রম গ্রাম্য আদালতে হয়, তাহলে বিচারের প্রার্থীরা নিরপেক্ষ বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যারা এখন কর্মরত রয়েছে তারা প্রত্যেকেই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ, দুর্নীতিমুক্তভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ অবস্থা জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন ও গ্রাম্য আদালতকে অবশ্যই পালন করতে হবে। তবেই দেশের তৃণমূল পর্যায়ের গ্রাম্য আদালতের স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে। এ অবস্থা বহাল করতে পারলে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের অনেক ঘটনাই গ্রাম্য আদালতে সহজেই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ