ছবি-ভোরের আকাশ
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ, বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ-আড্ডায় দিনভর নানা আয়োজনে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্ত্র ও প্রকৌশল বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী। এসময় দীর্ঘদিন পর হারানো দিনের বন্ধু, বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই-বোনদের কাছে পেয়ে আবেগে আত্মহারা হয়ে পড়েন অনেকেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানা ঘটনার কথা স্মরণ করে স্মৃতিকাতর হন অনেকেই।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কালিয়াকৈর উপজেলার স্থানীয় একটি রিসোর্টে আয়োজিত পুনর্মিলনীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল রাহাত খানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম, একেএইচ নিটিং এন্ড ডাইং কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম, এস এম সোর্সিং এর ফাউন্ডার মির্জা শামস মাহমুদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মোর্শেদসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আধুনিক ও শিল্প নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় টেক্সটাইল অ্যালামনাই কাজ করে যাচ্ছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে টেক্সটাইল এক্সপার্টরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতার সঙ্গে দ্বায়ীত্বপালন করছে।
পরে মনোজ্ঞ সঙ্গীত ও আনন্দঘন পরিবেশে লটারিসহ নানা আয়োজনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই সদস্যরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঝালকাঠির নলছিটির ওসমান হাদির গ্রামের বাড়িটি এখন শোকে স্তব্ধ। হাদিশূন্য তার বসতভিটায় ভিড় করছেন চেনা-অচেনা বহু মানুষ। শোকের মাতম চলছে শ্বশুর বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জেও। শেষবার মত দেখার অপেক্ষার প্রহর গুনছে এখন গ্রামবাসী।পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হাদির ইচ্ছে ছিলো তাকে যেন তার বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। তবে সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নিহত হাদির ভগ্নপতি আমীর হোসেন জানান, হাদির ইচ্ছে ছিল তাকে তার বাবার পাশে সমাহিত করার।টিনসেড ঘরেই জন্ম নিয়েছিলেন সৈয়দ শরীফ ওসমান হাদি। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হাদির বেড়ে ওঠা এখানেই। তবে এই ঘরে হাদি যেন এখন কেবলই, ছবি। ঘাতকের গুলিতে চিরতরে বিদায় নেয়ায়, শূন্যতায় ছেয়ে তার জন্মভূমি।ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল পৌর এলাকায় ১৯৯৩ সালের জন্ম নেয় ওসমান হাদি। বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ও মা তাসলিমা হাদির ঘরে ৬ সন্তানের মধ্যে হাদি ছিলেন সবার ছোট।এলাকাবাসী জানান, শৈশব থেকেই হাদি ছিলেন প্রতিবাদের এক কণ্ঠস্বর। নেছারাবাদ এন এস কামিল মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম শেষ করে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমির পাঠ চুকান। স্বজনদের পাশাপাশি গ্রামবাসীর কাছে হাদি যেন কেবল একটি নাম নয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি হয়েছেন। তাইতো তার নিহতের ঘটনা মানতে পারছে না কেউই। কেউ অঝরে, কেউ কাঁদছেন গুমরে গুমরে।শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই চেনা, অচেনা বহু মানুষ ভিড় করেন হাদির এই ভাঙাচুরা ঘরের সামনেই। বাড়িতে থাকা হাদির বোন আর বোনের পরিবারকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা পাচ্ছে না আগতরা। এ সময় কেউ স্মৃতি আওড়ান, কারো মুখে হাদি হত্যার বিচারের দাবি। অপরদিকে, হাদির শ্বশুরবাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জেও চলছে শোকের মাতম। অল্প বয়সে স্বামী হারা স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যতে উদ্বিগ্ন স্বজনরা। দাবি, আর যেন কোন মায়ের কোল খালি না হয় হাদির মত।প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওসমান হাদি। ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
খুলনার আদালত পাড়ায় দুই হত্যা মিশন সফল করতে সরাসরি ৭ জন অংশ নেয়। আরও বেশ কয়েকজন আদালত চত্বরকে সেন্টারে রেখে বিভিন্নস্থানে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান নেয়। প্রতিপক্ষ হামলা চালালে তাদের ওপর পাল্টা হামলার প্রস্তুতিও নিয়েছিল তারা।গত ৩০ নভেম্বর সকাল থেকে আদালত পাড়ায় সোর্সও নিয়োগ করা হয়। সোর্সের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুনে অংশ নেওয়া একশন টিমের ৭ জন হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজনের ওপর হামলা চালায়।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ইজাজুল হোসেনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল নিস্তার আহমেদ।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, “হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীদের সাথে ইজাজুল ছিলেন। আদালত চত্বর থেকে ধারণ করা ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে হলুদ গেঞ্জি পরা অবস্থায় তার উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেছে। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে রূপসা উপজেলার আইচগাতি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। রাতভর তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার এবং অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া ৭ জনের নাম উল্লেখ করেছে আটক ইজাজুল। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি র্যাবের ওই কর্মকর্তা।সাংবাদিকদের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আদালত পাড়ায় নিয়োগকৃত সোর্সের মাধ্যমে একশন টিমের সদস্যরা খবর পায় হাসিব এবং রাজন হাজিরা দিয়ে বের হয়েছে এবং প্রধান ফটকের পাশে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে একশান টিমের ৭ সদস্য হাসিব এবং রাজনের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তাদের দু’জনকে গুলি এবং পরে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।”তিনি আরও জানান, “খুলনার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এলাকার আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি এবং মাদক কারবার নিয়ে দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে খুলনায় একাধিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড গুলোর সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়া তদন্ত করছে।”উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রবেশ দ্বারের পাশে সন্ত্রাসীরা গুলি এবং কুপিয়ে হাসিব হাওলাদার এবং ফজলে রাব্বি রাজনকে হত্যা করে। নিহত দুই যুবক ওইদিন আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে এসেছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ায় পানিভর্তি গর্তে পড়ে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বাড়ির পেছনে মাটি কাটার ফলে সৃষ্ট পানিভর্তি একটি গর্তে পড়ে প্রাণ হারায় আবদুল মাবুদের শিশু সন্তান নোমান এবং তার প্রতিবেশী বেলাল উদ্দিনের শিশুকন্যা জন্নাতুল ফেরদৌস। তারা দুজনই একই পাড়ার বাসিন্দা ও খেলাধুলার সঙ্গী ছিল।স্থানীয়দের মতে, দুপুরে খেলতে গিয়ে অজান্তে গর্তে পড়ে যায় শিশু দুটি। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিজুল হক জানান, ঘটনাটি থানাকে অবহিত করা হয়েছে এবং এ ধরনের গর্ত দ্রুত ভরাটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বরগুনার পাথরঘাটায় জামায়াতের কর্মীসভায় সোলায়মান বাহিনীর হামলায় জামায়াতের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আসরের নামাজের পর জামায়াতের ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে পাথরঘাটা শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় নেতারা দাবি করেন খুলনা শ্রমিকলীগের নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনির ভাইয়ের ছেলে সোলায়মান সাদিকে তাদের কর্মীদের উপর এ হামলা করেন। তবে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাংচেনলা বলেন এই ঘটনার সত্যতা নাই। এবং এবিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মোশারফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে জামায়াতের কর্মী বৈঠকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে জামায়াত।এঘটনায় আহতরা হলো, পাথরঘাটা পৌর যুব বিভাগের সেক্রেটারি আব্দুল কাইয়ুম, পাথরঘাটা পৌর প্রচার সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম, জামায়াত কর্মী ওয়ালিদ পহলান, ফুলমিয়া, ইলিয়াস, মোহাম্মদ হানিফ, ফিরোজ হোসেন, মাহবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, ইউনুছ হাওলাদারের নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে আব্দুল কাইয়ুম এবং তাওহিদুল ইসলামকে রেফার করা হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় পাথরঘাটা উপজেলা জামায়াতের আমির মাসুদুল আলম জানান, বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আমরা নাচনাপাড়া ইউনিয়ন এর জামাত কর্মীর বাড়িতে নিয়মিত দলের কর্মসূচি পালন করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে খুলনা পরিবহন শ্রমিকলীগের নেতা সোলাইমান সাদিক তার বাহিনী নিয়ে আমাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় এতে আমাদের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার চাই।এসময় ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি এসএম সোলায়মান বাদশা বলেন, বিএনপি'র ভাইস-চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম মনির ভাইয়ের ছেলে এই সুলাইমান সাদিক একসময়ে খুলনাতে শ্রমিক লীগ সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন। জুলাই আগস্ট এর পর তিনি তার নিজ বাড়িতে এসে বিশেষ বিএনপির নব্য নেতা হিসাবে সমাজকর্মী দাবি করে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছেন। এরপর থেকে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি জমি দখল সালিশ নামে অন্যের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করে আসছে। সোলাইমান সাদিক ফুটপাতের একজন টোকাই থেকে গত এক বছরে কোটিপতি হয়ে গেছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে এই সন্ত্রাসীর বিচার দাবি করছি। তা না হলে আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সোলায়মান বাহিনী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও তিনি জানান। এসময় তিনি এই বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য জামায়াতের ও ইসলামী আন্দোলনের সবাই আড়াই হাত গাবের কচা প্রস্তুত রাখতে বলেন।জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলের পরপরই তাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এনামুল হোসেন। এসময় বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, সদ্য সাবেক পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এম ইসমাইল সিকদার এসমে সহ বিএনপির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর পর তারাও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে শহরে উত্তপ্ত ছড়িয়ে পড়ে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোলায়মান সাদিক জানান, আমি ৫ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করতেছি। জামায়াত নেতারা নির্বাচনী ফায়দা নেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করতেছেন। আমি বিএনপি পরিবারের সদস্য। আমাকে জোর করে শ্রমিকলীগের নেতা বানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমার চাচা বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মনি। তিনি বিএনপি'র ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী। তার জনপ্রিয়তা দেখে জামাত নেতারা নানা রকমের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে । এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাংচেনলা দৈনিক ভোরের আকাশকে জানান, জামায়াতের লোকজন যেভাবে বুধবার রাতের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন আসলে ঘটনানি তেমন না। জামায়াতের কর্মীসভা শেষে স্থানীয় কিছু লোকদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়েছে এমনটাই জানা গেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এবিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্তাপের বিষয়ে ওসি জানান, পাথরঘাটা আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। যাতে কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে অতিরিক্ত নজরদারি রয়েছে পাথরঘাটা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি বিষয়টি ওসির কাছ থেকে জেনে নিন।ভোরের আকাশ/মো.আ.