ছবি: সংগৃহীত
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় রব্বানী বেপরী (২৫) নামে এক ট্রলার চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কাপলিরহাটের খাল থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহত যুবকের হাত পা বাঁধা অবস্থায় ইট বেধে ঝুলানো ছিল।
রোববার (৩ আগস্ট) রাতে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। তাকে পূর্ববিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেওয়া হতে পারে বলে গ্রামবাসির ধারণা।
নিহত যুবক রব্বানী উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের মন্টু বেপারীর ছেলে।
থানা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মাদক কারবার নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সাথে ট্রলার চালক রব্বানীর পূর্ব বিরোধ ছিল। রোববার রাত ১০ টার দিকে প্রতিপক্ষ রবিউল,সুদেব,ইলিয়াস ও মিলন নামে তিন ব্যক্তি রব্বানীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। সকালে স্থানীয় গ্রামবাসী কাপালির হাট খালে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নিহত যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। এসময় তার হাত পা বাঁধা অবস্থায় ইট দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় ছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দিনার মাহমুদ রাসেল ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে । সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করছি।
নিহত রব্বানীর বাবা মন্টু ব্যাপারী বলেন, আমার ছেলেকে প্রতিপক্ষরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া থানার উপ পরিদর্শক মানিক হালদার লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে ওই যুবক হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ভোরের আকাশ/মো. আ.
সংশ্লিষ্ট
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৫ অক্টোবর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার টি. এম. মোশাররফ হোসেন।তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের নিরপেক্ষতা, শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে হলে প্রত্যেক সদস্যকে দায়িত্ববোধ ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনী আইন, আচরণবিধি, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও জনসম্পৃক্ততা সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করবেন। “জনগণের আস্থা অর্জন করাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা,” যোগ করেন পুলিশ সুপার।তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের কৌশল, জনসংযোগ ও সংকট মোকাবিলা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ বিষয়ে বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) ও অতিরিক্ত দায়িত্বে (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আনিসুজ্জামানসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।ভোরের আকাশ//হর
শেষ বয়সে তারেক রহমান-এর সঙ্গে দেখা করতে চান মোতালেব আকন এমন শিরোনামে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল 'দেশ টিভি' একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। অতঃপর তিনি 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনকে নির্দেশ দেন দলের এক সময়ের সক্রিয় ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী মোতালেব আকনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল সোমবার, বিকাল ৪টায় (০৬ অক্টোবর ২০২৫) বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান পিরোজপুরের মোতালেব আকনের সাথে ভার্চুয়ালি সাক্ষাৎ করবেন। ররিবার (৫ অক্টোবর) আমরা বিএনপি পরিবার এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের অন্যতম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল 'দেশ টিভি' এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনটি লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়। অতঃপর তিনি 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনকে নির্দেশ দেন দলের একসময়ের সক্রিয় ও নিবেদিত প্রাণ কর্মী মোতালেব আকনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল সোমবার, বিকাল ৪টায় (৬ অক্টোবর ২০২৫) বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান পিরোজপুরের মোতালেব আকনের সঙ্গে তার নিজ গ্রাম মুল্গ্রামে সাক্ষাৎ করবেন। এই সাক্ষাৎতের মাধ্যমে দলের বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মীর মনের আশা পূরণ করবেন তিনি।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় এ সময় বিএনপি'র প্রবীণ এই ত্যাগী কর্মী মোতালেব আকনের সঙ্গে জনাব তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত থাকবেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এসময় 'আমরা বিএনপি পরিবার'-এর আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে সংগঠনটির উপদেষ্টাবৃন্দ, সদস্য সচিব ও সদস্য বৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন জানান, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এলিজা জামান প্রধান সম্বনয়ক ছিলেন সাবেক জেলা বিএনপি সদস্য মোতালেব আকন। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী তার উপর হামলা করে গুরুতর আহাত করে। দীর্ঘ দিন চিকিৎসা করে তিনি কিছু টা সুস্থ হলেও হারিয়ে ফেলেন তার চলাচল ক্ষমতা। আলমগীর হোসেন আরো ও জানান, সদর উপজেলা বিএনপি সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোতালেব আকন হুইল চেয়ার বসে ও তিনি নিয়মিত বিএনপি কর্মসূচির খোজ খবর রাখছেন।ভোরের আকাশ//হর
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে বয়ে যাওয়া আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ঝড়ে গাছপালা উপড়ে গেছে এবং ফসলের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।রবিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল দিয়ে প্রবলবেগে ঝড়টি বয়ে যায়। স্থানীয়দের মতে, হঠাৎ করেই শুরু হওয়া এই ঝড়ে অন্তত কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ক্ষেত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।প্রভাবিত এলাকাগুলোর মধ্যে হরিপুর ইউনিয়নের মাদারীপাড়া ও উজান তেওরা গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব গ্রামের বাসিন্দা জোমর আলী, আছর আলী, নূরুল ইসলাম, সুলতান আলী, মোকছেদুল আলম, খেলাফত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, জবদুল হক ও ইউনুস আলীর ঘরবাড়ি ঝড়ে উড়ে গেছে।স্থানীয় ইউপি সদস্য জহুরুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন মোবাইলফোনে জানান, “সন্ধ্যার দিকে প্রচণ্ডবেগে ঝড় শুরু হয়। মুহূর্তেই ঘরবাড়ি উড়ে যায়, গাছপালা পড়ে যায়। ইউনুস আলীর শয়নকক্ষের উপর দুটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন, তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। আমরা মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।”স্থানীয়রা বলছেন, ঝড়ে ধানের ক্ষেত ও সবজিচাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকে এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের জরুরি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।ভোরের আকাশ//হর
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে চলছে প্রকাশ্যে মা ইলিশ নিধন। সন্ধ্যা নামতেই মৌসুমি জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে নদীতে নেমে পড়ছে ইলিশ ধরতে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন এ কর্মকাণ্ডের পরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরকে।সরকার ঘোষিত জাতীয় মা ইলিশ সংরক্ষণ ও প্রজনন মৌসুম-২০২৫ উপলক্ষে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত (২২ দিন) দেশের সব নদ-নদীতে মা ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, বিক্রি ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে গোয়ালন্দে দেখা যাচ্ছে তার উল্টো চিত্র। প্রকাশ্যে মা ইলিশ শিকার করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা মৎস্য অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশেই মৌসুমি জেলেরা মা ইলিশ ধরছে। তারা অভিযোগ করেন, “মৌসুমি জেলেদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েই তাদের মৌখিক অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।”অভিযোগ আরও রয়েছে, অভিযানের সময়ের খবর আগেভাগেই পৌঁছে যায় জেলেদের কাছে। ফলে নৌ পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযানে গেলেও নদীতে কাউকে পাওয়া যায় না। স্থানীয়রা এটিকে ‘লোক দেখানো অভিযান’ বলেই মন্তব্য করেছেন।এদিকে গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলটের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রচারণামূলক কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার গুরুত্বপূর্ণ মাছঘাট, আড়ৎ ও জেলেপল্লীতে মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, সভা-সমাবেশ আয়োজন, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং গণমাধ্যমে প্রচারণার কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা গেছে কেবল কয়েকটি ব্যানার টানানো ছাড়া তেমন কিছুই করা হয়নি।অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা সরকারি বিধি অনুযায়ী যথাসাধ্য প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি, তবে সারাদিন নদীতে থাকা সম্ভব নয়।”উপজেলা মৎস্য অফিসের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী মৌসুমি জেলেদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা কোনো জেলের কাছ থেকে কোনো অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করিনি। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”স্থানীয়দের দাবি, কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযান না হলে চলমান মা ইলিশ নিধন বন্ধ হবে না। এতে আগামী বছরের ইলিশ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।ভোরের আকাশ//হর