আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০৪ এএম
সাবেক আইনমন্ত্রীর এপিএসের শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক
অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য করে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তদন্তে নেমেছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ভারত সীমান্তে গরু পাচার, মাদক ব্যবসা, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করছেন।
পাশাপাশি তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার, ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি চক্রবর্তীর সম্পদের খোঁজও নেওয়া হচ্ছে। উত্তম কুমার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রাশেদুল কাউছার ও উত্তম চক্রবর্তীর বাড়ি বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে।
রাশেদুল কাউছার গত বছরের ১৯ অক্টোবর ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। দুই বছর আগে বিএনপির পল্টন কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের সময় মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তম কুমার বর্তমানে পলাতক আছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক হত্যাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন। রাশেদুল কাউছার জীবন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই সাইদুল হক স্বপনকে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে বিজয়ী করা হয়েছে দাবি করে রাশেদুল কাউছার জীবনের সঙ্গে আনিসুল হকের বিরোধ দেখা দেয়। এছাড়া আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আলাউদ্দিন বাবু স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করলে এ নিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রীর সঙ্গে রাশেদুল কাউসারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। মঙ্গলবার তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন চিঠি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে।
দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত উপ-সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ভারত সীমান্তে গরু পাচার, মাদক ব্যবসা, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে শত কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রাশেদুল কাউছারসহ তার স্ত্রী মোছা. লুৎফুন নাহার, তার সহচর আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী চক্রবর্তীর স্থাবর সম্পদের তথ্য যাচাই করে মে মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন সরবরাহ করার জন্য আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রারকে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ডাকযোগে পাঠানো হয় এই চিঠি। এর আগের দিন বুধবার চিঠিতে স্বাক্ষর করে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা। আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রার সায়মন ইমতিয়াজ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এই চিঠি এসে পৌঁছে। চিঠির বিবরণ অনুযায়ী তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন পাঠানো হবে দুদকে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৪ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
সাবেক আইনমন্ত্রীর এপিএসের শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক
অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য করে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তদন্তে নেমেছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ভারত সীমান্তে গরু পাচার, মাদক ব্যবসা, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করছেন।
পাশাপাশি তার স্ত্রী লুৎফুন নাহার, ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরি চক্রবর্তীর সম্পদের খোঁজও নেওয়া হচ্ছে। উত্তম কুমার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। রাশেদুল কাউছার ও উত্তম চক্রবর্তীর বাড়ি বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে।
রাশেদুল কাউছার গত বছরের ১৯ অক্টোবর ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। দুই বছর আগে বিএনপির পল্টন কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের সময় মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উত্তম কুমার বর্তমানে পলাতক আছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক হত্যাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন। রাশেদুল কাউছার জীবন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই সাইদুল হক স্বপনকে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে বিজয়ী করা হয়েছে দাবি করে রাশেদুল কাউছার জীবনের সঙ্গে আনিসুল হকের বিরোধ দেখা দেয়। এছাড়া আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আলাউদ্দিন বাবু স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করলে এ নিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রীর সঙ্গে রাশেদুল কাউসারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। মঙ্গলবার তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন চিঠি দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে।
দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত উপ-সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ভারত সীমান্তে গরু পাচার, মাদক ব্যবসা, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে শত কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রাশেদুল কাউছারসহ তার স্ত্রী মোছা. লুৎফুন নাহার, তার সহচর আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী চক্রবর্তীর স্থাবর সম্পদের তথ্য যাচাই করে মে মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন সরবরাহ করার জন্য আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রারকে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ডাকযোগে পাঠানো হয় এই চিঠি। এর আগের দিন বুধবার চিঠিতে স্বাক্ষর করে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা। আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রার সায়মন ইমতিয়াজ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এই চিঠি এসে পৌঁছে। চিঠির বিবরণ অনুযায়ী তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন পাঠানো হবে দুদকে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ