বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৩ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
যে মাঠে ছুটে বেড়ানো শুরু, যে গ্যালারিতে বসে স্বপ্ন দেখেছিল এক কিশোর—সেই শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামেই আজ আবেগে ভেসে গেলেন মুশফিকুর রহিম। শততম টেস্ট খেলার মাইলফলক ছুঁয়ে নিজ শহরে ফিরে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ পেলেন ভালোবাসার উষ্ণ সংবর্ধনা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তরুণ ক্রিকেটারদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বগুড়ার এই কৃতি সন্তানকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানান জাতীয় দলের বর্তমান তারকা ও আরেক বগুড়াবাসী তৌহিদ হৃদয়। পরিচিত মুখ, চেনা মাঠ আর শৈশবের স্মৃতিতে ভরা পরিবেশে সংবর্ধনা যেন পরিণত হয় এক আবেগঘন পুনর্মিলনে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নিজের স্বপ্নের কথা অকপটে জানান মুশফিকুর রহিম। বলেন, উত্তরবঙ্গের মাটিতে প্রতিভার অভাব নেই, অভাব কেবল সুযোগের। সেই অভাব ঘোচাতেই বগুড়ায় একটি মানসম্মত ক্রিকেট একাডেমি গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। যেখানে বারো মাস অনুশীলনের সুযোগ থাকবে, থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ। কোনো বিলাসী অবকাঠামো নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকর একটি ক্রিকেট চর্চাকেন্দ্র গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
নিজের শুরুর দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তরুণদের উদ্দেশে মুশফিক বলেন, আমিও একসময় এই মাঠেই স্বপ্ন দেখেছি। পরিবার আর আল্লাহর রহমতই আমাকে আজকের জায়গায় এনেছে। সময়ের নিয়মে আমরা সরে যাব, কিন্তু হৃদয়-তামিমদের হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৌহিদ হৃদয় আবেগ লুকাতে পারেননি। তিনি বলেন, মুশফিক ভাইকে দেখেই ক্রিকেটে বড় হওয়া। শৈশবের সেই দিনগুলো আজও চোখে ভাসে। এমন একজন কিংবদন্তির পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলাটা আমার জন্য গর্বের।
স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের উদীয়মান ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠকরা। অনেক খুদে ক্রিকেটারের চোখেমুখে স্পষ্ট ছিল অনুপ্রেরণার আলো।
বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা—ক্যারিয়ার শেষ করার আগে যেন মুশফিকুর রহিম অন্তত একবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেন নিজের ঘরের মাঠে। সংবর্ধনা শেষে মাঠে নেমে তরুণদের সঙ্গে সময় কাটান মুশফিক, দেন উৎসাহ আর স্বপ্ন দেখার সাহস।
ভোরের আকাশ/এসএইচ